ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: বাংলাদেশের কক্সবাজারে বিমানঘাঁটিতে (Bangladesh Incident) দুষ্কৃতীদের হামলায় এক নাগরিক নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে এলাকার পরিস্থিতি। বাংলাদেশের সংবাদপত্র ডেইলি স্টার সূত্রে জানা গিয়েছে, হামলায় নিহত ব্যক্তির মাথার পিছনে গভীর ক্ষতের চিহ্ন রয়েছে। এই ঘটনায় বাংলাদেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
হামলার দিন (Bangladesh Incident)
বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর জনসংযোগ বিভাগ আইএসপিআর (Bangladesh Incident) এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে জানিয়েছে, “কক্সবাজার বিমানঘাঁটি সংলগ্ন সমিতি পাড়ার কিছু অপরাধী বিমান বাহিনীঘাঁটিতে হামলা চালায়। বাংলাদেশ বিমান বাহিনী এই ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে।”
পাথর ছোঁড়াছুড়ি (Bangladesh Incident)
হামলার সময় স্থানীয়রা পাথর ছুঁড়লে উভয় পক্ষের (Bangladesh Incident) বেশ কিছু লোক আহত হয়। সংঘর্ষ হিংসাত্মক রূপ নেয়। তবে আহতের সঠিক সংখ্যা জানানো হয়নি। আধিকারিকরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
আরও পড়ুন: Elon Musk in the US: ইলন মাস্কের কড়া বার্তা, রিপোর্ট জমা না দিলে চাকরি থেকে ছাঁটাই!
ঘটনার তদন্ত হবে
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, সংঘর্ষের সময় এক ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন। তাকে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তার মাথার পিছনে গভীর আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন জানান, কী কারণে সংঘর্ষ হয়েছে তা তদন্ত করা হবে। দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতি মূল্যায়ন করে এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করছে।

সরব শেখ হাসিনা
এই ঘটনার প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি ভার্চুয়াল সভায় বক্তব্য রাখেন। তিনি সম্প্রতি বাংলাদেশে ‘হিংসাত্মক আন্দোলনে’ নিহত পুলিশ বাহিনীর বিধবাদের সঙ্গে কথা বলেন। শেখ হাসিনা বলেন, “আমাদের পুলিশ বাহিনীর কর্মীদের হত্যা করা হয়েছে। প্রায় সাড়ে চারশো থানায় পুলিশদের ভিতরে রেখে হামলা চালানো হয়েছে। থানা লুঠ করেছে হামলাকারীরা। মহিলা পুলিশ অন্ত:সত্ত্বা কনস্টেবলদেরও ছাড়েনি এই ঘাতকরা। যারা মানুষের জীবন রক্ষা করার জন্য দিন-রাত পরিশ্রম করে তাদের হত্যা করেছে এই ইউনূস সরকার। আমি দেশে ফিরব, আমাদের শহিদদের প্রতিশোধ নেব।”
হাসিনার বক্তব্য
শেখ হাসিনা আরও বলেন, “ইউনূস নিজেই এই হত্যার পরিকল্পনার কথা স্বীকার করেছেন। অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করার জন্য ইউনূস এই পরিকল্পনা করেছে। শুধুমাত্র শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য। এখানে কোনও ছাত্র-জনতা ছিল না। অর্থাৎ ৭ জুলাই থেকে আন্দোলনের নামে যে খেলা চলছিল, তাতে পুলিশ কোনও গ্রেনেড মারেনি বরং ছাত্রদের বঙ্গভবনে যাওয়ার সময় নিরাপত্তা দিয়েছে।”