ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: বাংলাদেশে ফের অশান্তি ছড়িয়ে (Bangladesh News) পড়েছে, আর সেই কেন্দ্রবিন্দু এবার বঙ্গবন্ধুর জন্মভূমি গোপালগঞ্জ। পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত যে প্রশাসন বাধ্য হয়ে বুধবার রাত থেকে গোপালগঞ্জে কারফিউ জারি করেছে। কারফিউ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত বলবৎ থাকবে বলে জানানো হয়েছে।
ঘটনার সূত্রপাত (Bangladesh News)
ঘটনার সূত্রপাত জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-র ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ কর্মসূচিক (Bangladesh News) কেন্দ্র করে। এই কর্মসূচি ঘিরে শহরে শুরু হয় উত্তেজনা, যা ধীরে ধীরে রূপ নেয় সহিংস সংঘর্ষে। দলটির এক বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশকে ঘিরেই ঘটে বিস্ফোরক পরিস্থিতি। অভিযোগ উঠেছে, ওই সমাবেশে হামলা চালিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠনের সদস্যরা। ঘটনায় ভাঙচুর করা হয় মঞ্চ, সমাবেশস্থল এবং প্রশাসনিক ভবনের আশেপাশে।
এনসিপি নেতাদের এলাকা ত্যাগ (Bangladesh News)
হামলার মুখে পড়ে এনসিপি নেতাদের সেনাবাহিনীর পাহারায় এলাকা ত্যাগ (Bangladesh News) করতে হয়। পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ হয়ে ওঠে যে জেলা প্রশাসকের বাসভবন ও জেল চত্বরে হামলার খবরও সামনে এসেছে। পুলিশের ওপর হামলা চালানো হয়, গাড়িতে আগুন লাগানো হয়। বিভিন্ন এলাকায় রাস্তা অবরোধ, যান চলাচলে ব্যাঘাত, সংঘর্ষ সব মিলিয়ে গোটা গোপালগঞ্জ কার্যত রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
চারজনের মৃত্যু
সূত্রের দাবি অনুযায়ী, অন্তত চারজনের মৃত্যু হয়েছে এবং নয়জন গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। সংঘর্ষ চলাকালীন পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনীও গুলি ছুড়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। কার গুলিতে মৃত্যু হয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
সড়ক ও মহাসড়ক অবরোধ
ঢাকার বাইরেও অন্তত ২০টি স্থানে সড়ক ও মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখানো হয়। পুলিশের তরফে পরিস্থিতি সামাল দিতে সাউন্ড গ্রেনেড এবং গুলি ছোড়ার কথা স্বীকার করা হয়েছে। প্রশাসনের একাধিক স্তরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে এবং শহরের বিভিন্ন প্রান্তে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে।

ছাত্র সংগঠনের মদতেই এই সহিংসতা
আওয়ামী লীগের তরফে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হলেও অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে সাফ জানানো হয়েছে, ছাত্র সংগঠনের মদতেই এই সহিংসতা ঘটেছে। গত এক বছর ধরে বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা চরমে উঠেছে। কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে শুরু করে সরকারের বিরুদ্ধে একাধিক ইস্যুতে জনমনে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। তারই ফলশ্রুতিতে এখন একের পর এক জায়গায় বিস্ফোরক পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে।
আরও পড়ুন: Weather Update: উত্তর ও পূর্ব ভারতে টানা বর্ষণের সতর্কতা, হিমাচলে ব্যাপক প্রাণহানি!
এই মুহূর্তে প্রশ্ন উঠছে এক সময়ের আওয়ামী লীগের দুর্গ গোপালগঞ্জে এত বড় রাজনৈতিক সংঘর্ষের জন্য দায়ী কে? সত্য সামনে আসবে তদন্তের পর। তবে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে, আর সেই আতঙ্কের ছায়া রাজনীতির ওপর স্পষ্টভাবে প্রভাব ফেলবে বলেই মনে করা হচ্ছে।