ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ঢাকায় এক মানবাধিকার সংগঠনের ইদ (Bangladesh) অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মহম্মদ মাহফুজ আলম এক বিতর্কিত বক্তব্য করেছেন। তিনি দাবি করেছেন, শেখ হাসিনার পতনের পর আওয়ামী লীগের প্রায় এক লাখ কর্মী ও সমর্থক ভারতে পালিয়ে গেছেন। তেজগাঁওয়ে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে ‘গুমখুন’ হওয়া ব্যক্তিদের পরিবারবর্গ উপস্থিত ছিল।
‘বাংলাদেশের শত্রু’ (Bangladesh)
মাহফুজ আলম তাঁর বক্তব্যে আওয়ামী লীগকে ‘বাংলাদেশের শত্রু’ আখ্যা দিয়ে বলেন, “এটি কোনো রাজনৈতিক দল নয়, বরং একটি মাফিয়া চক্র ছিল।” তিনি ভারতের তীব্র সমালোচনা করে যোগ করেন, “অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক যে ভারত (Bangladesh) এখনও হাসিনা ও তাঁর সন্ত্রাসী বাহিনীকে আশ্রয় দিচ্ছে।” তাঁর এই মন্তব্য দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক উত্তেজনা বাড়াতে পারে বলে বিশ্লেষকদের ধারণা।
মাহফুজের হুঁশিয়ারি (Bangladesh)
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ‘গুমখুন’ হওয়া ব্যক্তিদের পরিবারের উদ্দেশ্যে মাহফুজ বলেন, “হাসিনার শাসনামলে তিন হাজারের বেশি বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ও দেড় থেকে দুই হাজার মানুষ গুম হয়েছেন।” তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “আওয়ামী লীগ যদি আবার ক্ষমতায় আসে, এই সংখ্যা আরও বহুগুণ বাড়বে। তাই আমাদের অঙ্গীকার, কোনোদিনই এই দলকে বাংলাদেশে রাজনৈতিকভাবে পুনরুত্থান করতে দেওয়া হবে না।”
উপদেষ্টার অভিযোগ
তথ্য উপদেষ্টার আরও অভিযোগ, হাসিনা সরকার জঙ্গিবাদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করত বিরোধী রাজনৈতিকদের। তাঁর দাবি, “যে কেউ সরকারের বিরোধিতা করলে তাকে সন্ত্রাসী ট্যাগ দিয়ে গুম করে দেওয়া হতো। অনেককে গুম করে ভারতে পাঠানো হয়েছে।” মাহফুজ আলমের কথায়, “সমগ্র বাংলাদেশ জুড়ে আয়নাঘরের মতো গুমখুনের স্থান ছিল। আমরা আসলে দ্বিতীয় বার স্বাধীনতা পেয়েছি।”

নতুন বিতর্কের সূত্রপাত
গত ফেব্রুয়ারিতে নাহিদ ইসলামের স্থলে মাহফুজ আলমকে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়। তিনি গত বছরের জুলাই-আগস্টে হাসিনা সরকারবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম নেতৃত্বদানকারী ছিলেন। তাঁর এই বক্তব্য বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন বিতর্কের সূত্রপাত করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: Russia ukraine war : রাশিয়াকে সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহের অভিযোগ, দাবি অস্বীকার ভারতের!
বিচারের কাঠগড়ায় আওয়ামী লীগ
মাহফুজ আলম জানান, গুমখুনের পেছনে যারা জড়িত ছিল, তাদের সবাইকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হবে। তবে আওয়ামী লীগের তরফে এখন পর্যন্ত এই অভিযোগের কোনো জবাব আসেনি। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই বক্তব্য বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের ওপর দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব ফেলতে পারে। বিশেষ করে যখন দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক ইতিমধ্যেই কিছুটা টানাপোড়েনের মধ্যে রয়েছে।