ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: বাংলাদেশের নানা প্রান্তে একসময় বিশেষ ধরনের রান্নার (Bangladeshi Cooking) প্রচলন ছিল, যা আজকাল প্রায় হারিয়ে গেছে। আধুনিক যুগে দ্রুত রান্না এবং ফাস্ট ফুডের প্রবণতা বাড়লেও, সেই সব ঐতিহ্যবাহী রান্না আজ প্রায় অচেনা। আজকের প্রতিবেদনে থাকলো পড়শী দেশের এমন কিছু রান্নার রেসিপি, যাতে মিশে আছে মাটির গন্ধ, মায়ের হাতের ভালোবাসা।
১. বাড়ির পোলাও (Bangladeshi Cooking)
পুরনো দিনে বিশেষ করে গ্রামীণ অঞ্চলে পোলাও রান্নার এক বিশেষ (Bangladeshi Cooking) পদ্ধতি ছিল। এতে মাংস এবং চাল মিশিয়ে ধীরে ধীরে রান্না করা হত, ফলে মাংসের স্বাদ চালের মধ্যে মিশে যেত। বিশেষত ঈদ বা অন্য বড় দিনে এই পোলাও একটি বিশেষ আকর্ষণ ছিল। কিন্তু বর্তমানে দ্রুত পোলাও রান্নার পদ্ধতি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে, যার ফলে সেই পুরোনো স্বাদ আর পাওয়া যায় না।
২. মাটির হাঁড়ির ভর্তা (Bangladeshi Cooking)
মাটির হাঁড়িতে রান্না করা বিভিন্ন ভর্তা ছিল গ্রামের বাড়িতে খুব জনপ্রিয় (Bangladeshi Cooking)। বিশেষ করে মাটির হাঁড়িতে ভর্তা হলে তার স্বাদ ছিল একেবারেই আলাদা। বেগুন, আলু, কুমড়ো ইত্যাদি সব ধরনের ভর্তা মাটির হাঁড়িতে রান্না করে খাওয়া হত। কিন্তু আধুনিক সময়ে গ্যাসের ব্যবহারের কারণে এইসব রান্না যেন হারিয়েই গেছে।
৩. হলুদ মাছে কাঁচামরিচ (Bangladeshi Cooking)
এই রান্নাটি ছিল বিশেষত সাগরপাড়ের গ্রামাঞ্চলে খুব জনপ্রিয়। মাছে সরষে, হলুদ এবং কাঁচামরিচ দিয়ে তৈরি করা হত এই সুস্বাদু রান্না। মাছটি বেশ ভাজা ভাজা হওয়া পর্যন্ত রান্না করা হত, ফলে এর স্বাদ ছিল অসাধারণ। বর্তমানে মাছের আরও অনেক আধুনিক রান্নার পদ্ধতি থাকলেও, ঐতিহ্যগত এই খাবারের গুরুত্ব অনেকটাই কমেছে।
আরও পড়ুন: Fat loss Journey: মেদহীন শরীর চাই? সকালে উঠে খান এই পাঁচটি জিনিস!
৪. জমিদারের খিচুড়ি
আগেকার জমিদার পরিবারগুলোতে খিচুড়ি ছিল বিশেষ একটি খাবার। মুগ ডাল, চাল, মাংস, ঘি এবং মসলার সমন্বয়ে একটি ভিন্নধর্মী খিচুড়ি তৈরি হত। এই খিচুড়ি তৈরির সময় একটি বিশেষ পদ্ধতি অনুসরণ করা হতো, যাতে তার স্বাদ এবং গন্ধ অসাধারণ হতো। তবে এখন আর এই ধরনের খিচুড়ি তেমন পাওয়া যায় না।
আরও পড়ুন: Weekly Horoscope: চন্দ্র-মঙ্গল রাশি পরিবর্তন যোগ, জানুন মেষ থেকে কন্যা রাশির কেমন যাবে এই সপ্তাহ?
৫. খাঁটি কাবাব
পুরনো দিনে গ্রামে বা শহরে কিছু বিশেষ দোকান ছিল, যেগুলোতে কাঠের আগুনে কাবাব তৈরি করা হতো। এই কাবাবগুলো ছিল খুব সুস্বাদু, কারণ এতে ব্যবহৃত মাংসটি অত্যন্ত নরম এবং মশলা ছিল খুব অল্প। তবে এখন আধুনিক ওভেন এবং তাওয়া কাবাবের কারণে ঐতিহ্যবাহী এই রান্না প্রায় বিলুপ্তির পথে।
এই পুরোনো রান্নাগুলোর স্বাদ ও গন্ধ আজকাল খুঁজে পাওয়া কঠিন। তবে সময়ের সঙ্গে কিছু রান্না এখনও নির্দিষ্ট অঞ্চলে বা বিশেষ অনুষ্ঠানে পাওয়া যায়, যা আমাদের ঐতিহ্যের স্মৃতি মনে করিয়ে দেয়।