ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: বাংলাদেশি যুবতীকে জাল নথি বানিয়ে ‘মেয়ে’ পরিচয়ে রেখেছিল স্বামী-স্ত্রী। উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট মহকুমার তেতুলিয়া গ্রামে জাল নথিপত্র বানিয়ে এক বাংলাদেশি যুবতীকে (Bangladeshi Woman) আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে এবার গ্রেফতার দু’জন। ‘বাবা’ পালিয়ে গেলেও হাতেনাতে ধরা পড়ল ‘মা’ ও ‘মেয়ে’।
দীর্ঘদিন ধরে এক অজ্ঞাতপরিচয় যুবতীকে আশ্রয় দিয়ে রেখেছিল তেতুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা বিশ্বনাথ শিকদার ও তাঁর স্ত্রী শ্যামলী শিকদার। মেয়েটির নাম চুমকি বলে জানালেও, তার পরিচয় ঘিরে ছিল একাধিক প্রশ্ন। স্থানীয় বাসিন্দারা বিষয়টি নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন। পুলিশের কাছেও জমা পড়েছিল বেশ কয়েকটি অভিযোগ। তারপরই তদন্ত শুরু করে পুলিশ।
আরও পড়ুন:Illegal Call Center: অবৈধ কল সেন্টারে ডিডি ও সাইবার পুলিশের হানা, গ্রেফতার ১৮
তদন্ত উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা যায়, চুমকি (Bangladeshi Woman) বাংলাদেশের নড়াইল এলাকার সীমান্ত পার করে এদেশে প্রবেশ করে। তারপর থেকেই শ্যামলী ও বিশ্বনাথ তাকে নিজেদের মেয়ের পরিচয় দিয়ে আশ্রয় দেন এবং অবৈধভাবে জাল নথিপত্র তৈরি করে বসবাসের ব্যবস্থা করেন।
গ্রেফতার শ্যামলী ও চুমকি (Bangladeshi Woman)
শনিবার ভোরে পুলিশ হানা দেয় তেতুলিয়ায় শ্যামলী শিকদারের বাড়িতে। গ্রেফতার করা হয় শ্যামলী ও অবৈধ বাংলাদেশি যুবতী চুমকিকে। তাঁদের বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত স্বামী বিশ্বনাথ শিকদার পলাতক। তাকেও শীঘ্রই গ্রেফতার করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
পাচার চক্রের যোগ? উঠছে বড়সড় প্রশ্ন
তদন্তকারীদের সন্দেহ, এই ঘটনার পিছনে রয়েছে বৃহৎ চক্র। কীভাবে সীমান্ত অতিক্রম করে একজন বাংলাদেশি যুবতী এত সহজে এদেশে আশ্রয় পেল? কে বা কারা তাকে সাহায্য করল জাল ভোটার কার্ড বা আধার কার্ড বানাতে? তদন্তে নেমে পুলিশ এখন সেই দিকেই নজর দিচ্ছে।
আরও পড়ুন:Weather Forecast: বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের আশঙ্কা, দক্ষিণবঙ্গে আবার টানা ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস!
এই ঘটনার পর ফের একবার প্রশ্ন উঠছে সীমান্ত নিরাপত্তা নিয়ে। কীভাবে নজরদারির ফাঁক গলে এই ধরনের অনুপ্রবেশ সম্ভব? স্থানীয় প্রশাসন ও বিএসএফকেও তদন্তে যুক্ত করা হতে পারে বলে জানা গেছে (Bangladeshi Woman)। সব মিলিয়ে বসিরহাটের তেতুলিয়ায় এই ঘটনা ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। স্থানীয়দের প্রশ্ন, আর কে কে এভাবে গা ঢাকা দিয়ে বসবাস করছে সীমান্ত এলাকায়?