ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ক্যানারা ব্যাঙ্ক ১ জুন থেকে নতুন একটি নিয়ম চালু (Bank Updates) করেছে যা দেশের প্রথম প্রধান রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক হিসেবে গ্রাহকদের জন্য সুখবর বয়ে এনেছে। নতুন নিয়ম অনুসারে, আর কোনও সেভিংস অ্যাকাউন্টে অ্যাভারেজ মান্থলি ব্যালেন্স (AMB) রাখার বাধ্যবাধকতা থাকবে না। এর ফলে গ্রাহকদের ব্যাঙ্কে কম টাকা রাখার কারণে আর কোনও চার্জ বা জরিমানা কাটবে না।
জিরো ব্যালেন্সেই অ্যাকাউন্ট (Bank Updates)
এখন থেকে ক্যানারা ব্যাঙ্কের সব ধরনের সেভিংস ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টধারী জিরো (Bank Updates) ব্যালেন্সেই তাদের অ্যাকাউন্ট চালাতে পারবেন। এটি একটি বড় পরিবর্তন, যা বিশেষ করে সেভিংস, স্যালারি এবং এনআরআই সেভিংস অ্যাকাউন্টধারীদের জন্য উপকারী হবে। আগে গ্রাহকদের অ্যাকাউন্টে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা রাখতে হত, না থাকলে শাখার ধরন অনুসারে জরিমানা দিতে হত।
মাসিক ব্যালেন্স (Bank Updates)
আগে শহর বা মেট্রো শাখাগুলিতে গ্রাহকদের (Bank Updates) গড় মাসিক ব্যালেন্স হিসেবে কমপক্ষে ২,০০০ টাকা রাখতে হত। আধা-মেট্রো শাখাগুলিতে এই সীমা ছিল ১,০০০ টাকা এবং গ্রামীণ শাখাগুলিতে ৫০০ টাকা। এই মান বজায় না রাখলে গ্রাহকদের জরিমানা গুণতে হত, যা ব্যালেন্সের পরিমাণ অনুসারে বাড়তো। যেমন, ১,৫০০ থেকে ১,৯৯৯ টাকার মধ্যে থাকলে ২৫ টাকা, ১,০০০ থেকে ১,৪৯৯ টাকার মধ্যে থাকলে ৩৫ টাকা এবং ১,০০০ টাকার নিচে থাকলে ৪৫ টাকা চার্জ ধার্য হত, সাথে GST যুক্ত হত।
গ্রাহকদের ভোগান্তির কারণ (Bank Updates)
এছাড়াও আধা-নগর শাখায়, যেখানে AMB ছিল ১,০০০ টাকা, সেখানে ৭০০ থেকে (Bank Updates) ৯৯৯ টাকার মধ্যে থাকলে ২৫ টাকা, ৪০০ থেকে ৬৯৯ টাকার মধ্যে থাকলে ৩৫ টাকা এবং ৪০০ টাকার নিচে থাকলে ৪৫ টাকা জরিমানা কাটত। এই চার্জ সহ GST গ্রাহকদের ভোগান্তির কারণ হয়ে উঠত।
গ্রাহকদের আর্থিক স্বস্তি দেবে
ক্যানারা ব্যাঙ্কের এই নতুন সিদ্ধান্ত গ্রাহকদের আর্থিক স্বস্তি দেবে। বিশেষ করে যাদের আয় কম বা যারা অস্থায়ীভাবে অর্থ জমানোর পরিস্থিতিতে আছেন, তাদের জন্য এটি বড় সাহায্যের মতো। জিরো ব্যালেন্সে অ্যাকাউন্ট চালানোর সুযোগ থাকায় গ্রাহকরা যেকোনো সময় আর্থিক লেনদেন সহজে করতে পারবেন এবং অতিরিক্ত চার্জের চিন্তা থেকে মুক্তি পাবেন।
আরও পড়ুন: WB Dengue Situation: কলকাতায় করোনার পাশাপাশি বাড়ছে ডেঙ্গি–ম্যালেরিয়া, বাড়ছে উদ্বেগ!
ইতিবাচক পদক্ষেপ
ক্যানারা ব্যাঙ্কের এই পদক্ষেপকে অর্থনীতির সক্রিয়তা বৃদ্ধিতে একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংকগুলো ধীরে ধীরে এই ধরনের সুবিধা চালু করলে সাধারণ মানুষের ডিজিটাল ব্যাংকিং ব্যবহারে উৎসাহ বাড়বে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।