ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: দিতে যাওয়া হল না জীবনের দ্বিতীয় বড় পরীক্ষা। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার দিনই মৃত্যু পরীক্ষার্থীর (Bankura HS Student Death)। ঘটনাটি ঘটেছে, বাঁকুড়ার জয়পুর ব্লকের কারকবেরিয়া গ্রামে। সোমবার সকালে এক উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ায় ওই এলাকায়। মৃত ছাত্রীর নাম বর্ষা দে। বাঁকুড়ার জয়পুর ব্লকের টানাদিঘী উচ্চ বিদ্যালয়ের খুব মেধাবী ছাত্রী ছিলেন বর্ষা দে। মাধ্যমিক পরীক্ষার পর থেকে একাধিকবার স্কলারশিপও পেয়েছে বর্ষা। টেস্টেও ভালো ফল করেছিলো আত্মঘাতী ছাত্রী। সোমবার থেকে ছিলো তার উচ্চ মাধ্যামিক পরীক্ষা।
পরিবার সূত্রে খবর, সোমবার উচ্চ মাধ্যমিকের প্রথম দিন। বাংলা পরীক্ষা ছিলো। ভোরবেলা উঠে পড়তেও বসেছিলো বর্ষা। মেয়ে পরীক্ষা দিতে যাবে বলে সকালে রান্নাও চাপিয়ে দিয়েছিলো তার মা। কিছুক্ষণ পর স্নানের জন্য বর্ষাকে ঘরে ডাকতে গেলে অনেকক্ষণ সাড়া না পাওয়ায় দরজা ভেঙে উদ্ধার হয় বর্ষার ঝুলন্ত দেহ(Bankura HS Student Death)।
দেখেন তাদের মেয়ে গলায় দড়ি নিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে। তাড়াতাড়ি বাড়ির লোক ওই পরীক্ষার্থীর দেহ নামিয়ে নিয়ে যায় কোতুলপুর গ্রামীণ হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন(Bankura HS Student Death)। এই বিষয়ে তাদের বাড়ির সদস্য ও তাঁর মামা জানান, রবিবার থেকেই শারীরিক সমস্যায় ছিলো তার ভাগ্নির। সেই মতো মামার সঙ্গে ডাক্তারও দেখাতে যায়। ডাক্তার দেখিয়ে মামা ভাগ্নি দুজনে বাড়ি ফিরে আসে।
আরও পড়ুন:https://tribetv.in/2-maoists-killed-in-encounter-in-chhattisgarh/
আরও পড়ুন:https://tribetv.in/jadavpur-university-incident-news-updates/
জানা গিয়েছে, রবিবর রাত থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত সব ঠিকঠাকই ছিল। নিত্যদিনের মতো এদিনও ঘুম থেকে উঠে পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতও হচ্ছিল বর্ষা। কিন্তু হঠাৎই কয়েক মিনিটের মধ্যে বদলে গেল ছবি। বাড়ির লোক দেখেন অনেকক্ষণ ধরেই দরজা বন্ধ ,তারপরেই শুরু হয় ডাকাডাকি, অনেকক্ষণ ধরে ডাকাডাকি করলেও সারা শব্দ না মেলায় ভাঙ্গা হয় দরজা। আর দরজা খুলেই মাথায় হাত পরিবারের লোকের। সাত সকালে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী বর্ষা দে’র মৃত্যুর খবর এলাকায় জানাজানি হতেই গ্রামে শোকের ছায়া। পাশাপাশি যে স্কুলে পরীক্ষা সেন্টার ছিল সেই স্কুলের প্রধান শিক্ষক ঘটনার খবরে দুঃখ প্রকাশ করেন(Bankura HS Student Death)।