ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্যবাহী ‘বারো দল’ মেলা শুরু কৃষ্ণনগরে। মঙ্গলবার একাদশী তিথিতে নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগর রাজবাড়ী প্রাঙ্গণে শুরু হল শতাব্দী প্রাচীন ঐতিহ্যমন্ডিত বারো দল মেলা (Baro Dol Mela), যা আগামী এক মাস ধরে চলবে। প্রতিবছরের মতো এবছরও মেলার প্রথম দিনে রাজবাড়ী প্রাঙ্গণে অসংখ্য দর্শনার্থীর ঢল। এই মেলার প্রধান আকর্ষণ হলো বিভিন্ন বিগ্রহের পুজো, যা রাজবাড়ী প্রাঙ্গণে প্রদর্শন করা হয়।
‘রাজ বেশ-ফুল বেশ-রাখাল বেশ’ রীতি (Baro Dol Mela)
মেলার রীতি অনুযায়ী, প্রথম দিন রাজবাড়ীর বিগ্রহগুলি রাজ বেশে সাজানো হয় এবং দর্শনার্থীদের জন্য প্রদর্শন করা হয়। দ্বিতীয় দিন বিগ্রহগুলোকে ফুলবেশে সাজানো হয়, আর তৃতীয় দিন বিগ্রহগুলোকে রাখাল বেশে সাজানো হয়। তিনদিন ধরে এই বিগ্রহগুলি দর্শন করার সুযোগ মেলে। ভক্তরা বিগ্রহদের সামনে আবির ফুল অর্পণ করেন এবং প্রার্থনা করেন (Baro Dol Mela)।
আরও পড়ুন: Mela 2025: উত্সবমুখর কাকদ্বীপ, রামনবমী-বাসন্তী পুজোয় জমজমাট ‘প্রণব মহামিলন মেলা’

দূর-দূরান্ত থেকে অসংখ্য ভক্ত এই মেলার বিগ্রহ দর্শনের উদ্দেশ্যে কৃষ্ণনগরে আসেন। শুধু সাধারণ দর্শনার্থীরা নয়, বিভিন্ন আখড়া, মঠ, মন্দির থেকে অগণিত সাধুসন্তও এখানে উপস্থিত হন (Baro Dol Mela)। তাঁরা ভগবানের প্রসাদ গ্রহণ করেন এবং আত্মিক শান্তি লাভ করেন। মেলার প্রথম দিনেই দর্শনার্থীদের মধ্যে ছিল এক উৎসাহ এবং উদ্দীপনার পরিবেশ, যা দিন দিন আরও বেড়ে যাবে।
আরও পড়ুন: SSC 2016 Panel Cancel: সঙ্কটজনক অবস্থায় স্কুলের পাশে অবসরপ্রাপ্ত অতিথি শিক্ষক
বারো দল মেলা কৃষ্ণনগর তথা নদীয়ার মানুষের কাছে এক আবেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। বছরের এই সময়ে মেলাটি যেন এক বিশেষ ঐতিহ্যের প্রতীক হয়ে ওঠে (Baro Dol Mela)। এক মাস ধরে চলবে এই মেলা, এবং প্রতিদিনই সেখানে মানুষের আনাগোনা থাকবে। মেলা শুধু ধর্মীয় মহিমা নয়, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যেরও সাক্ষী।