ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে অনুষ্ঠিত হতে চলা পুরুষদের এশিয়া কাপের আয়োজনের অধিকার ভারতের হাতে রয়েছে (BCCI Breaks Silence)। ভারত ও পাকিস্তান ছাড়াও বাংলাদেশ, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, আফগানিস্তান, শ্রীলঙ্কা, হংকং এবং ওমানের এই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করার কথা রয়েছে।
এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি, আইপিএল এবং ইংল্যান্ড সিরিজেই নজর: দেবজিত সইকিয়া (BCCI Breaks Silence)
এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এএসসি) আসন্ন টুর্নামেন্ট থেকে ভারত সরে দাঁড়াচ্ছে — এই নিয়ে সোমবার বেশ কয়েকটি মিডিয়া রিপোর্ট সামনে আসে (BCCI Breaks Silence)। বলা হয়, বিসিসিআই পাকিস্তানের সঙ্গে চলতে থাকা রাজনৈতিক টানাপোড়েনের কারণে শ্রীলঙ্কায় জুন মাসে হওয়া উইমেন্স ইমার্জিং এশিয়া কাপ এবং সেপ্টেম্বরে হওয়া মেনস এশিয়া কাপ থেকে নিজেদের নাম প্রত্যাহার করে নিচ্ছে।
এই প্রসঙ্গে বিসিসিআই সচিব দেবজিত সইকিয়া জানিয়ে দিয়েছেন, এই ধরনের কোনও সিদ্ধান্ত বিসিসিআই কোনও স্তরেই আলোচনা করেনি। তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, এই খবরগুলি “সম্পূর্ণ কাল্পনিক ও ভিত্তিহীন”।
দেবজিতের বক্তব্যে পরিষ্কার বার্তা (BCCI Breaks Silence)
সইকিয়া সংবাদ সংস্থা আইএএনএস-কে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলেন (BCCI Breaks Silence), “আজ সকাল থেকে আমরা লক্ষ্য করছি কিছু সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হচ্ছে যে, বিসিসিআই এশিয়া কাপ ও উইমেন্স ইমার্জিং টিমস এশিয়া কাপে অংশ নিচ্ছে না। এই তথ্য একেবারেই ভিত্তিহীন। বিসিসিআই এই মুহূর্তে এমন কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেনি বা এএসসি-কে কিছু জানায়নি।”
আরও পড়ুন: India Win SAFF U19: পেনাল্টিতে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে জয়, ফের সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ চ্যাম্পিয়ন ভারত
তিনি আরও জানান, “এই মুহূর্তে আমাদের মূল মনোযোগ আইপিএল এবং তার পরবর্তী ইংল্যান্ড সিরিজের দিকেই রয়েছে। এশিয়া কাপ বা অন্য কোনও এএসসি টুর্নামেন্ট নিয়ে কোনও আলোচনা এখনও পর্যন্ত বিসিসিআই-এ হয়নি। সুতরাং এই বিষয়ে যেসব খবর ছড়ানো হচ্ছে, তা সম্পূর্ণ জল্পনা।”
পাকিস্তানি মন্ত্রী এএসসি-র সভাপতি হওয়ায় বিতর্ক তীব্র
বর্তমানে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের সভাপতি পদে রয়েছেন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) চেয়ারম্যান মোহসিন নাকভি। তিনি পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও বটে। এই নিয়েই ভারতের কিছু রাজনৈতিক মহলে ক্ষোভ রয়েছে।
ভারতের আয়োজনে এশিয়া কাপ, তবে সফর করবে না পাকিস্তানে
২০২৫ সালের সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া মেনস এশিয়া কাপের আয়োজক দেশ ভারত। টুর্নামেন্টটি টি-টোয়েন্টি ফর্ম্যাটে হবে। ভারত ও পাকিস্তান ছাড়াও অংশগ্রহণ করার কথা রয়েছে বাংলাদেশ, আফগানিস্তান, শ্রীলঙ্কা, হংকং, ওমান ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর। ভারত গতবার অর্থাৎ ২০২৩ সালের ৫০ ওভারের ফাইনালে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল। সেই সময়ও ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক খারাপ থাকায় পুরো টুর্নামেন্ট পাকিস্তানে না হয়ে হাইব্রিড মডেলে আয়োজিত হয়। ভারতের সব ম্যাচই হয়েছিল শ্রীলঙ্কায়।
আরও পড়ুন: Asia Cup: ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে উত্তেজনার প্রভাব এশিয়া কাপে! নাম প্রত্যাহারের ভাবনা ভারতের
এই হাইব্রিড মডেলই আবার দেখা যায় ২০২৫ সালের আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে। পাকিস্তানে হওয়ার কথা থাকলেও ভারতের ম্যাচগুলি স্থানান্তরিত করা হয় দুবাইয়ে। পাকিস্তান লিগ পর্ব থেকে ছিটকে যায়, আর ভারত ৯ মার্চ ফাইনালে চ্যাম্পিয়ন হয়।
রাজনৈতিক মহলে উত্তেজনা, সিদ্ধান্তকে স্বাগত অনেকের
ভারতের এএসসি টুর্নামেন্ট থেকে সরে দাঁড়ানোর খবর ছড়াতেই বিজেপি মুখপাত্র সৈয়দ শাহনাওয়াজ হুসেন, রাজস্থানের বিরোধী দলনেতা টিকরাম জুল্লি এবং জেডিইউ নেতা কে.সি. ত্যাগী বিসিসিআই-এর সম্ভাব্য সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান। তাঁদের মতে, পাকিস্তান যেখানে আছে, সেখান থেকে ভারত সরে আসাই উচিত।
তবে বিসিসিআই সাফ জানিয়ে দিয়েছে, এখনই কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। যদি ভবিষ্যতে কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, তা সংবাদমাধ্যমের মাধ্যমে সবাইকে জানিয়ে দেওয়া হবে।