ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: বেলঘরিয়া ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের (Belgharia TMC Worker) পার্টি অফিসের সামনে ঘটে গেল এক ভয়াবহ দুর্ঘটনা। এক তৃণমূল কর্মীকে গুলি করে খুনের অভিযোগ। জানা যাচ্ছে তৃণমূল কাউন্সিলর দেবযানি মুখোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ ওই ব্যক্তির নাম রেহান খান। বয়স ৩০ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে হতে পারে। মঙ্গলবার গভীর রাতে ওই এলাকায় রেহানকে টার্গেট করে দুষ্কৃতীরা। সারারাত গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ওই এলাকাতেই পড়েছিল রেহান। সকালে সাগর দত্ত হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে দেন চিকিৎসকরা।
পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি (Belgharia TMC Worker)
জানা যাচ্ছে কাউন্সিলরের ছায়াসঙ্গীকে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করা হয়েছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই শোরগোল শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে। দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট। ব্যবসায়িক কারণে ঝামেলা নাকি কোনও ব্যক্তিগত বা রাজনৈতিক কারণে খুন তদন্ত করে দেখছে পুলিশ (Belgharia TMC Worker)। এলাকায় অসামাজিক কাজের প্রতিবাদ করার জন্যই যুবক খুন হতে হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন নিহতের বন্ধু। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।
সাড়ে ৫টা নাগাদ দেহ উদ্ধার (Belgharia TMC Worker)
তদন্তকারী এক পুলিশ অফিসার বলছেন, “এখানে বসে ও গল্প করছিল। একটা মদের বোতলও পাওয়া গিয়েছে। হয়তো মদ খাচ্ছিল। ওরা প্রোমোটিং করে বলে পরিবারের তরফে জানতে পারছি। আমরা প্রাথমিক তদন্তে নেমে যা জানতে পারছি সাড়ে ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত ওর পরিবারের সঙ্গে কথা হয়। তারপর ভোর সাড়ে ৫টা নাগাদ দেহ উদ্ধার হয়। ঘটনার সময় কে কে ওর সঙ্গে ছিল, কারা এর পিছনে রয়েছে আমরা সব খোঁজ শুরু করেছি। তদন্ত চলছে।”
জমি সংক্রান্ত বিবাদ ছিল
কে বা কারা গুলি চালিয়েছেন, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখার পাশাপাশি স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদও করছেন তদন্তকারীরা। ঘটনাস্থল থেকে মদের বোতলও উদ্ধার করেছে পুলিশ। মৃতের পরিবারের দাবি, রেহানকে খুনের নেপথ্যে হাত রয়েছে সুশান্ত নামে তৃণমূলেরই এক কর্মীর। অভিযোগ, দীর্ঘ দিন ধরেই রেহানের সঙ্গে জমি সংক্রান্ত বিবাদ ছিল সুশান্তের। ছ’মাস আগে রেহানের মাথায় বন্দুকের বাট দিয়ে আঘাত করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। সেই অভিযোগে গ্রেফতারও হয়েছিলেন সুশান্ত। সেই ঘটনার ছ’মাসের মাথায় খুন হতে হল রেহানকে।