কল্যাণ দত্ত, পূর্ব বর্ধমান: জায়গা দখল করেছে আধুনিক প্রযুক্তি সমৃদ্ধ নানান যন্ত্র! কিন্তু একবার ভেবে দেখুন তো আমরা কি সত্যিই একেবারের জন্য ভুলে গেছি রেডিয়োকে? কাশফুল, শিউলি ফুল আর নীল আকাশের ছোঁয়ায় মেতে উঠছে প্রাণ। বড় বড় প্যান্ডেলের সাথে সাথে সেজে উঠছে বহু পুরনো অন্দরমহল দেবী দুর্গার (Durga Puja 2024) আরাধনার জন্য। আর তার ফাঁকেই আজমুখী দেয় বহু পুরনো আবেগ বিজড়িত রেডিয়ো। যার সাথে জড়িয়ে আছে আমাদের ছোটবেলার স্কুল ফেরত বিকেলের অনুষ্ঠান, কিংবা রবিবারের ছুটির ঘণ্টা। সকালে আকাশবাণীতে বড়দের খবর শোনা এবং পুজোর গন্ধ সবমিলিয়ে রেডিয়োর অবদান অনস্বীকার্য।
কিন্তু বর্তমান প্রযুক্তির অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গেই ক্রমশ কোনঠাসা হয়ে পড়েছে একসময় জনপ্রিয় গণমাধ্যম রেডিয়ো! রেডিয়ো ছাড়া উৎসবের আমেজ তৈরি হয় না। প্রযুক্তিগত গ্যাজেট বা অ্যাপে নয়, মহালয়া (Mahalaya) ভোরের আলো ফোটার আগে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠে ‘আশ্বিনের শারদ প্রাতে………’ শুনতে রেডিয়োর জুরি মেলা ভার।
আরও পড়ুন: https://tribetv.in/durga-and-radha-gobind-are-worshiped-together-at-naskarbari-in-mandirbazar/
রেডিয়ো অন্য এক আবেগ, সেই আবেগ একটু কমে গেলেও একেবারে ভাটা পড়েনি। আজও একাংশ মানুষজনের কাছে মহালয়া শোনার জন্য ইন্টারনেটের তুলনায় রেডিয়োই প্রথম পছন্দ। পেশায় এক চিকিৎসক তিনি জানিয়েছেন,
‘আজ ও আমার দুটো রেডিয়ো আছে, একটা বাড়িতে আর একটা চেম্বারেই থাকে। খবর শোনার পাশাপাশি বিভিন্ন গান রেডিয়োতেই শুনি। আর মহালয়ার দিন পূর্বের মতোই ঘড়িতে অ্যালার্ম দেওয়া থাকে। ঠিক সময়ে রেডিয়ো খুলে বসি মহালয়া শুনতে’।