ট্রাইব টিভি ডিজিটাল বাংলা: লিঙ্কডইনে এখন ভাইরাল হওয়া একটি পোস্টে (Bengaluru CEO), বেঙ্গালুরুর এক সংস্থার সিইও বলেছেন যে তিনি ৫০ জন চাকরিপ্রার্থীকে একটি সহজ গণিতের প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেছিলেন এবং মাত্র দুজনই এটি সঠিক করেছেন।
বেঙ্গালুরুর CEO-র বক্তব্য ঘিরে বিতর্ক (Bengaluru CEO)
একজন বেঙ্গালুরুভিত্তিক সংস্থার CEO আশীষ গুপ্তা সম্প্রতি দাবি করেছেন, Gen Z তরুণরা সোশ্যাল মিডিয়ায় পারদর্শী হলেও, তাদের সমস্যা সমাধানের দক্ষতা ও আর্থিক জ্ঞান কমছে (Bengaluru CEO)। লিংকডইনে একটি পোস্টে তিনি লেখেন, “Gen Z সহজেই ইনস্টাগ্রামের অ্যালগরিদম বুঝতে পারে, কিন্তু সাধারণ গণিত করতে হিমশিম খায়।”
একটি সাধারণ গণিত প্রশ্ন, ৫০ জনের মধ্যে মাত্র ২ জনের সঠিক উত্তর (Bengaluru CEO)
আশীষ গুপ্তা জানান, সম্প্রতি তিনি একটি ক্যাম্পাস রিক্রুটমেন্ট ড্রাইভে গিয়েছিলেন। সেখানে BBA, BCA-সহ বিভিন্ন স্ট্রিমের ৫০ জন ছাত্রছাত্রীর কাছে একটি সাধারণ পঞ্চম শ্রেণির গণিত প্রশ্ন করেন (Bengaluru CEO)।
প্রশ্ন ছিল:
“একটি গাড়ি প্রথম ৬০ কিমি পথ ঘন্টায় ৩০ কিমি গতিতে চলে এবং পরের ৬০ কিমি পথ ঘন্টায় ৬০ কিমি গতিতে চলে। গাড়িটির গড় গতি কত?”
অবাক করা বিষয়, মাত্র ২ জন সঠিক উত্তর দিতে পেরেছিল।
আরও পড়ুন: Delhi Women Driving Cab: অ্যাপ ক্যাব আসতেই চালকের আসনে যাত্রী, চাইলেন অর্ধেক ভাড়া!
“তবে ইনস্টাগ্রাম মার্কেটিংয়ে তাদের প্রচুর আইডিয়া!”
আশীষ গুপ্তা বলেন, “কিন্তু যখন আমি জিজ্ঞাসা করলাম, কীভাবে আমাদের প্রোডাক্ট মার্কেটিং করবে, তখন ওদের মাথায় প্রচুর ইনস্টাগ্রাম রিল, ভাইরাল কনটেন্ট আর ডিজিটাল ট্রেন্ডের আইডিয়া ছিল।”

তিনি আরও লেখেন, “Gen Z সোশ্যাল মিডিয়ায় দক্ষ হলেও, সমস্যার সমাধান, যৌক্তিক বিশ্লেষণ ও আর্থিক জ্ঞানের দিক থেকে পিছিয়ে পড়ছে। এই প্রবণতা চলতে থাকলে, ভবিষ্যতে ব্যক্তিগত আর্থিক পরিকল্পনা, সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং বিশ্লেষণী দক্ষতায় ঘাটতি দেখা দেবে।”
আরও পড়ুন: Uddhav Backs Kunal Kamra: “গদ্দারকে গদ্দার বলাই সঠিক”, কুণালের পাশে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী
সোশ্যাল মিডিয়ায় বিতর্ক শুরু
আশীষ গুপ্তার পোস্ট ঘিরে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিতর্ক শুরু হয়েছে। অনেকে তার বক্তব্যকে সমর্থন করেছেন, অনেকে আবার প্রশ্ন তুলেছেন যে গণিত জানাই কি চাকরির যোগ্যতার একমাত্র মাপকাঠি?
একজন ব্যবহারকারী লেখেন, “গড় গতি বের করা জানাটা কেন এত জরুরি?” আরেকজন লেখেন, “স্যার, গণিত জানা জরুরি, কিন্তু এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়া না-পারা কি সত্যিই কাউকে চাকরি না দেওয়ার কারণ হতে পারে?”
বিতর্ক চলছেই, তবে এটা স্পষ্ট যে শুধু ইনস্টাগ্রামের রিলই নয়, এখন এই আলোচনা-ও ভাইরাল!