ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল : বাড়ি বা অফিস সাজাতে গাছের (Indoor Plants) ব্যবহার এখন খুবই জনপ্রিয়। সবুজের মাঝে বসবাসের অনুভূতি আমাদের মনকে প্রশান্তি দেয়। কিন্তু ইট-পাথরের এই শহরে সবুজের দেখা পাওয়া বেশ কঠিন। বাড়িগুলো যেন ছোট ছোট খাঁচা, যেখানে কিছুটা সবুজের জন্য জায়গাও মেলে না। তবে অনেকেই শখ করে বারান্দায় ছোটখাটো বাগান করেন। আর যাদের বারান্দা ছোট, তারা ঘরের অন্যান্য জায়গায় ইনডোর প্ল্যান্ট (Indoor Plants) রাখতে পারেন। এমন গাছের খোঁজ থাকলে কেমন হয়, যার খুব বেশি যত্নের প্রয়োজন হয় না, কম আলোতেই ভালো থাকে এবং ঘরের সৌন্দর্য বাড়ায়? এমন গাছের মধ্যে কিছু গাছ তো আছে, যেগুলোর ভেষজ গুণও রয়েছে।
কম পরিচর্যায় বেড়ে ওঠা ইনডোর প্ল্যান্ট (Indoor Plants)
বর্তমানে অনেকেই নিজেদের বেডরুম বা ড্রয়িং রুমে গাছ রাখছেন গৃহসজ্জার অংশ হিসেবে। এমন কিছু ইনডোর প্ল্যান্ট (Indoor Plants) রয়েছে যা খুব কম পরিচর্যায় বেড়ে ওঠে, কড়া রোদ না পেলেও বেশ ভালো থাকে। এগুলি শুধু ঘরের সৌন্দর্যই বাড়ায় না, বরং আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যকে উন্নত করতে সাহায্য করে এবং বাতাস পরিশুদ্ধ করে।
স্পাইডার প্ল্যান্ট (Indoor Plants)
সবুজ এবং সাদা বর্ডারসহ পাতাবাহার গাছটির নাম স্পাইডার প্ল্যান্ট (Indoor Plants)। এই গাছের জন্য বেশি যত্নের প্রয়োজন নেই, এবং একদম অল্প আলোতেও বেড়ে ওঠে। স্পাইডার প্ল্যান্ট ঘরের বাতাস পরিশুদ্ধ করে। এটি ফর্মালডিহাইড মতো বিষাক্ত পদার্থকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে শোষণ করে বাতাস থেকে দূর করে দেয়।
পিস লিলি
পিস লিলির ফুল দেখতে যেমন সুন্দর, তেমনি এটি বাতাস থেকে কার্বন ডাই অক্সাইড এবং অন্যান্য ক্ষতিকর পদার্থ দূর করতে সাহায্য করে। এতে আলোর প্রয়োজনও কম, এবং খুব বেশি যত্নের প্রয়োজন হয় না। এটি আপনার ড্রয়িং রুমে সহজেই রাখা যেতে পারে।
রাবার প্ল্যান্ট
রাবার প্ল্যান্ট বা ফিকাস ইলস্টিকা বেশ রাজকীয় এবং খুব কম পরিচর্যায় বেড়ে ওঠে। সপ্তাহে একবার পানি দিলেই চলে। এটির পাতা দিয়ে বাতাসে থাকা বিষাক্ত পদার্থ দূর হয়। তবে এটি ঘরের পোষা প্রাণী বা ছোট শিশুর কাছ থেকে দূরে রাখা উচিত, কারণ এর পাতা বিষাক্ত হতে পারে।
স্নেইক প্ল্যান্ট
নাম শুনে মনে হতে পারে এটি বিষাক্ত, কিন্তু বাস্তবে স্নেইক প্ল্যান্ট একদম নিরাপদ। এটি খুব অল্প পরিচর্যায় ভালোভাবে বেড়ে ওঠে এবং বাতাসের মান উন্নত করতে সাহায্য করে। মাটি শুকিয়ে গেলে পানি দিতে হবে, তবে বেশি পানি দিলে গাছটি মারা যেতে পারে।
পোথোস
পোথোস (Pothos) গাছটি আমরা সবাই চিনি, যা মানিপ্ল্যান্ট নামে পরিচিত। এটি লতানো ধরনের গাছ, যা মাটি অথবা পানি উভয় স্থানে জন্মাতে পারে। এই গাছটি বাতাসে থাকা বিষাক্ত উপাদান দূর করতে সাহায্য করে এবং ঘরের সৌন্দর্য বাড়ায়। ওয়াল হ্যাংগিং পটে রাখা গেলে এটি আরও সুন্দর দেখায়।
আরও পড়ুন : খাবারের গুনেই কমবে বয়স ! ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে কেমন হবে খাদ্যাভাস?
এলিফ্যান্ট ইয়ার প্ল্যান্ট
এলিফ্যান্ট ইয়ার প্ল্যান্টের পাতাগুলি হাতির কানের মতো দেখতে, তাই এর নামকরণ। এটি বেশ জনপ্রিয় একটি গাছ। গাছটির জন্য নিয়মিত পানি দেওয়া প্রয়োজন, আর এটি গরম পরিবেশে ভালোভাবে বেড়ে ওঠে। আপনার লিভিং রুম বা ব্যালকনিতে শোভা বৃদ্ধি করবে এই গাছটি।
আরও পড়ুন : হোলির রাতে আকাশে দেখা যাবে লাল রঙের চাঁদ!
অ্যালোভেরা
অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারী (Aloe vera) একে ভেষজ গুণের জন্য অনেকেই চেনেন। এটি ত্বক এবং চুলের যত্নে ব্যবহৃত হয়। এছাড়া, পোকার কামড় বা হালকা বার্নের জন্য অ্যালোভেরা খুবই উপকারী। এই গাছটি খুব কম পরিচর্যায় বেড়ে ওঠে এবং শুধুমাত্র মাটি শুকিয়ে গেলে পানি দিতে হয়।