ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: দিনের শুরুতে এলাকায় গুলির শব্দ শোনা যাওয়ার পর ভারতীয় সেনাবাহিনী এবং জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ (Big Army Operation in Dachigam) যে বৃহৎ পরিসরে অভিযান শুরু করেছে, তারই অংশ হিসেবে এই সংঘর্ষ শুরু হয়েছে।
শ্রীনগরের কাছে দাচিগাম জঙ্গলে বড় এনকাউন্টার (Big Army Operation in Dachigam)
কাশ্মীরের শ্রীনগরের কাছে দাচিগাম জঙ্গলের উচ্চভূমিতে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে তিনজন জঙ্গি নিহত হয়েছে (Big Army Operation in Dachigam)। শনিবার সকালে এই এনকাউন্টার শুরু হয়। ভারতীয় সেনা এবং জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের যৌথ অভিযানে এই লড়াই সংঘটিত হয়।
পাকিস্তানি জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিল নিহত তিনজনই (Big Army Operation in Dachigam)
শীর্ষ গোয়েন্দা সূত্র নিশ্চিত করেছে, নিহত তিনজনই বিদেশি নাগরিক এবং পাকিস্তান ভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তইবার সদস্য (Big Army Operation in Dachigam)। এই অভিযান ছিল গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গত এক মাস ধরে চলা একটি পরিকল্পিত তল্লাশি। কর্তৃপক্ষ স্পষ্ট করেছে, এই এনকাউন্টার পহেলগামের সাম্প্রতিক জঙ্গি হামলার সঙ্গে যুক্ত নয়।
চলছে তল্লাশি ও পরিচয় শনাক্ত করার কাজ
জঙ্গিদের দেহ শনাক্ত করার কাজ চলছে। ঘটনাস্থলে ড্রোন ব্যবহার করে ছবি তোলা হয়েছে। সেই ছবি সম্প্রতি এনআইএ-র হাতে ধৃত দুই জঙ্গি সহায়তাকারীকে দেখিয়ে পরিচয় নিশ্চিত করার চেষ্টা চলছে। একইসঙ্গে ওই এলাকায় তল্লাশি চলছে, যাতে অস্ত্র ও অন্য প্রমাণ উদ্ধার করা যায়।
সকাল ১১টা নাগাদ শুরু হয় গুলির লড়াই
সূত্র জানাচ্ছে, শনিবার সকাল ১১টা নাগাদ সেনার একটি টহলদল জঙ্গলের মধ্যে সন্দেহজনক গতিবিধি লক্ষ্য করে। এরপরই অভিযান শুরু হয় এবং জঙ্গিদের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে।
অনুপ্রবেশ মোকাবিলায় সেনার কৌশলগত পরিবর্তন
শীর্ষ গোয়েন্দা সূত্র বলছে, নিহত জঙ্গিরা আগের কোনও হামলায় সরাসরি যুক্ত না থাকলেও, তারা ওই ১৫০ অনুপ্রবেশকারী জঙ্গির দলে ছিল, যারা বর্তমানে উপত্যকার বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে রয়েছে। একইসঙ্গে সেনা লিদওয়াস এলাকায় আরও একটি অভিযান শুরু করেছে।
আরও পড়ুন: Panchayat Secretary: বিহারে বাস্তবের ‘পঞ্চায়েত!’ সচিবকে জুতো পেটা করার হুমকি বিধায়কের
বদলে যাচ্ছে সেনার কৌশল
জম্মু ও কাশ্মীরে জঙ্গি দমনে সেনা এখন নতুন কৌশল নিয়েছে। আগের মতো শুধু নির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ঘাঁটি না গেঁড়ে, সেনা এখন কৌশলগত উঁচু পাহাড়ি এলাকায় দীর্ঘ সময় ধরে অবস্থান করছে। এতে জঙ্গিদের গতিবিধি চিহ্নিত করে তাদের সঙ্গে সরাসরি সংঘর্ষের সুযোগ অনেক বেশি বাড়ছে। এই পরিবর্তনের ফলে অনুপ্রবেশকারীদের সঙ্গে সেনার সংস্পর্শের হারও অনেক বেড়েছে। সম্প্রতি কাশ্মীর উপত্যকায় এমন একাধিক সংঘর্ষ হয়েছে এবং সেনার এই পরিবর্তিত কৌশলকে কার্যকর বলেই মনে করছে গোয়েন্দা মহল।