ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: বিহারে পালিয়ে বিয়ে করার ঘটনা নতুন নয় (Marriage On The Way To Board Exam)। বিশেষ করে পরীক্ষার আগে এই ঘটনার সংখ্যা প্রতিবার বেড়ে যায়। এবছরও একই ঘটনা ঘটেছে।
বোর্ড পরীক্ষার চাপ আর এক অদ্ভুত সিদ্ধান্ত (Marriage On The Way To Board Exam)
সারা দেশে এখন বোর্ড পরীক্ষার মরশুম (Marriage On The Way To Board Exam)। ছাত্রছাত্রীদের উপর প্রবল চাপ। অনেকেই ঠিকমতো ঘুমোতে পারে না, কেউ কেউ খাওয়াদাওয়াও ভুলে যায়। পরীক্ষায় ভালো ফল করতেই হবে, এই চাপে ভেঙে পড়ে অনেকেই।
শুধু ছাত্রছাত্রী নয়, অভিভাবকরাও প্রবল মানসিক চাপে থাকেন (Marriage On The Way To Board Exam)। অনেক বাবা-মা সন্তানদের বোর্ড পরীক্ষার ফলের উপর ভিত্তি করে ভবিষ্যৎ ঠিক করে দেন। বিহারে বহু মেয়ের জন্য পরীক্ষায় ভালো ফল না করলেই বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে পরিবার। কিন্তু এক তরুণীর ক্ষেত্রে ঠিক উল্টো ঘটল। বোর্ড পরীক্ষা দেওয়ার বদলে, সে তার প্রেমিককে বিয়ে করল পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছানোর আগেই।
সিদ্ধান্তের আকস্মিক মোড় (Marriage On The Way To Board Exam)
২২ ফেব্রুয়ারি, বিহার বোর্ডের ইংরেজি পরীক্ষার দিন এক ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় (Marriage On The Way To Board Exam)। ভিডিওতে দেখা যায়, এক ছাত্রী পরীক্ষা দিতে যাওয়ার পথে তার প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করে। হঠাৎ করেই প্রেমিক তার কপালে সিঁদুর পরিয়ে দেয়, যা ভারতে বিবাহের অন্যতম প্রতীক।
আরও পড়ুন: Bihar Cabinet Expansion: বিহারে মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণ, নির্বাচনের আগে বিজেপির কৌশলি চাল
ছাত্রীটি হাসিমুখে সেই মুহূর্ত গ্রহণ করে। প্রেমিক পুরো ঘটনাটি ভিডিও করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে। মুহূর্তের মধ্যে ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায়।
বোর্ড পরীক্ষার মরশুমে বিহারে পালিয়ে বিয়ে—এক সাধারণ ঘটনা
বিহারে বোর্ড পরীক্ষার সময় পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করার ঘটনা নতুন কিছু নয়। অনেক মেয়েই পরীক্ষায় ভালো না করলে পরিবারের জোর করে দেওয়া বিয়ের ভয়ে প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেয়।
অনেকেই মনে করে, পরীক্ষার প্রশ্ন কঠিন হলে ব্যর্থতার ভয় থেকে মুক্তি পেতে বিয়েই একমাত্র উপায়। বিশেষ করে যেসব মেয়েদের পরিবার পরীক্ষা না পাস করলেই বিয়ে ঠিক করে দেয়, তারা অনেক সময় এই পথ বেছে নেয়।
আরও পড়ুন: Sanjay Seth: কঠোর শাস্তি হওয়া উচিত, সরব সঞ্জয়!
সিদ্ধান্তের বিভিন্ন দিক
তবে, এই ধরনের সিদ্ধান্তের ইতিবাচক ও নেতিবাচক দিক রয়েছে। বিয়ে সাময়িক নিরাপত্তা ও মানসিক সমর্থন দিতে পারে, কিন্তু এর ফলে ভবিষ্যতে শিক্ষা ও কেরিয়ারের দরজা বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
বিয়ের পরিবর্তে যদি কেউ পড়াশোনা চালিয়ে যায়, তবে সে ভবিষ্যতে স্বাধীন সিদ্ধান্ত নিতে পারবে, নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারবে। কিন্তু অল্প বয়সে বিয়ে করলে অর্থনৈতিক স্বাধীনতা ও ব্যক্তিগত বিকাশ ব্যাহত হতে পারে।