ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ তুলে জেলবন্দি করেছে বাংলাদেশ সরকার। মঙ্গলবার ইসকন সন্ন্যাসীর জামিনের আবেদনও খারিজ করে দিয়েছে সে দেশের আদালত। চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে বেআইনি ভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে। সরাসরি অভিযোগ তুললেন ধর্মীয় গুরু রবিশঙ্কর। ইসকন সন্ন্যাসীর অবিলম্বে মুক্তি চেয়ে দিল্লির সরকারের হস্তক্ষেপও চেয়েছে ইসকন কর্তৃপক্ষ।
জেলবন্দি সন্ন্যাসীর প্রাণহানির আশঙ্কা করছেন বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষজন। তাঁর মুক্তির দাবিতে উত্তাল বাংলাদেশ। সেই ক্ষোভের আঁচ এসে পড়েছে এপার বাংলাতেও। ইসকন সন্ন্যাসীর গ্রেফতার বাংলাদেশের মানুষের পক্ষে ভালো বার্তা নয়’। ঘটনার তীব্র নিন্দা করে এ কথা বলছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। পড়শি দেশে সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণ, লাগাতার নির্যাতন নিয়ে প্রতিবাদে সরব বিজেপি। ইসকন সন্ন্যাসীর অবিলম্বে মুক্তির দাবিতে পথে নেমে আন্দোলনে বঙ্গ বিজেপি। বুধবার কলকাতায় বাংলাদেশ হাইকমিশন অফিস ঘেরাও করছেন বিজেপি বিধায়করা।
হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই পড়শি দেশে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার নিপীড়নের অভিযোগ দিন দিন বেড়েছে। অত্যাচারের বিরুদ্ধে ও সমানাধিকারের দাবিতে বহুবার রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ জানিয়েছে সে-দেশের সংখ্যালঘুরা। পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়ে চলেছে বাংলাদেশের মুসলিম মৌলবাদী কট্টরপন্থীরা। ইসকনকে নিষিদ্ধ করার দাবিও তুলেছিল তারা। দেওয়া হয়েছিল খুনের হুমকিও। ইসকনকে ‘জঙ্গি সংগঠন’-এর তকমা লাগিয়ে দিয়েছিল মুসলিম মৌলবাদীরা। এই পরিস্থিতিতে ইসকন সন্ন্যাসীর গ্রেফতার ওপার বাংলার সংখ্যালঘুদের ক্ষোভের আগুনে ঘৃতাহুতি দিয়েছে।
আরও পড়ুন: https://tribetv.in/mumbai-blast-16-years-history-still-haunt-people/
বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা চেয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভারত ও আমেরিকার হস্তক্ষেপ চেয়েছিলেন সেদেশের সংখ্যালঘুরা। এরই মধ্যে ইসকন সন্ন্যাসীর গ্রেফতার ঘিরে কার্যত রণক্ষেত্রের রূপ নিয়েছিল চট্টগ্রাম। চিন্ময় প্রভুকে প্রিজন ভ্যানে নিয়ে যাওয়ার সময় গাড়ি আটকে চলতে থাকে বিক্ষোভ। হিন্দুদের বিক্ষোভ থামাতে লাঠিচার্জের পাশাপাশি সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে পুলিশ। উত্তাল এই পরিস্থিতিতে একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আন্দোলন দমন করতে মঙ্গলবার থেকেই সংখ্যালঘুদের ধরপাকড় শুরু করার অভিযোগ উঠেছে ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে। সব মিলিয়ে সময় যত গড়াচ্ছে পড়শি দেশে ততই যেন রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের মুখে পড়তে হচ্ছে বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের।