ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: আবারও প্রশ্নের মুখে ট্রেন যাত্রীদের সুরক্ষা এবং নিরাপত্তা(BJP MLA)। এবার অভিযোগের কাঠগড়ায় অন্যতম জনপ্রিয় ট্রেন বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। বিজেপি বিধায়কের সঙ্গে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে আসন বদল করতে রাজি না হওয়ায়, এক সহযাত্রীকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে অনুগামীদের বিরুদ্ধে।অভিযোগ, বিজেপি বিধায়ক ও তাঁর সঙ্গীদের চরম দাদাগিরি চললেও কার্যত কোনও ব্যবস্থাই নেয়নি রেল মন্ত্রক। নামমাত্র একটি অভিযোগ দায়ের করেই একপ্রকার হাত তুলে নেওয়া হয়েছে।
ঘটনার সূত্রপাত (BJP MLA)
গত ১৯ জুন ট্রেনটি দিল্লি থেকে ভোপাল যাওয়ার সময় ঘটনাটি ঘটে(BJP MLA)। জানা গেছে, উত্তরপ্রদেশের ঝাঁসির বিজেপি বিধায়ক রাজীব সিং তাঁর স্ত্রী কমলি এবং ছেলে শ্রেয়াংশকে নিয়ে ‘ই-২’ কোচে বসেছিলেন। তাঁর পরিবারের জন্য ৫০ এবং ৫১ নম্বর আসন বরাদ্দ করা হয়েছিল আর বিধায়কের নিজস্ব আসন ছিল ৮ নম্বর। ৪৯ নম্বর আসনে নিগৃহীত যাত্রী রাজ প্রকাশ বসেছিলেন।প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে খবর, বিধায়ক রাজীবের আসন ছিল ট্রেনের একেবারে পিছনে। তাঁর স্ত্রী এবং পরিবারের সদস্যেরা ট্রেনের একেবারে সামনের দিকের আসনে বসেছিলেন। তাঁদের পাশে যে যাত্রী বসেছিলেন, তাঁর সঙ্গে নিজের আসন বদলাতে চেয়েছিলেন রাজীব। অভিযোগ, সেই যাত্রী রাজি হননি। তিনি ভোপালে যাচ্ছিলেন।

যাত্রীকে বেধড়ক মারধর (BJP MLA)
দুই পক্ষের ঝামেলা আরও বৃদ্ধি পায়, যখন ঝাঁসি স্টেশন থেকে কয়েক জন ট্রেনে ওঠেন(BJP MLA)। জানা গেছে, বন্দে ভারত ট্রেনটি যখন ঝাঁসি রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছায়, তখন প্রায় ১৫-২০ জন লোক কোচে ঢুকে প্রকাশকে মারতে শুরু করে। প্রত্যক্ষদর্শীরা দাবি করেন যে প্রকাশের নাক, কান এবং মুখ দিয়ে প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। তাঁদের অভিযোগ, রেল পুলিশ (আরপিএফ) এই ঘটনায় নীরব দর্শক ছিল মাত্র। তারা পুলিশ বিজেপি বিধায়ক, হামলাকারীদেরই সহায়তা করছিলেন। ইতিমধ্যে এই ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।সেই ভিডিওয় দেখা গিয়েছে, ওই যাত্রী আসনে বসে রয়েছেন। সেই অবস্থায় তাঁকে ঘুষি মারছেন কয়েকজন। তাঁর নাক থেকে রক্ত বার হচ্ছে।
আরও পড়ুন-By-Election: উপনির্বাচনের ৩ কেন্দ্রে শাসকদলের জয়জয়কার! গুজরাটে চমক আপের, কেরলে কংগ্রেসের দাপট
যাত্রীর অভিযোগ (BJP MLA)
মধ্যপ্রদেশের রানী কমলাপতি স্টেশনে প্রকাশ ট্রেন থেকে নেমে বলেন, তিনি বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করবেন(BJP MLA)।এদিকে, ওই যাত্রীর বিরুদ্ধে রেল পুলিশে দায়ের করা অভিযোগে, বিজেপি বিধায়ক দাবি করেছেন, তিনি তাঁর স্ত্রী ও ছেলের সঙ্গে ট্রেনে সফর করছিলেন। সেই সময় তাঁদের সঙ্গে অশালীন আচরণ করেন ওই যাত্রী। পরে ঝাঁসি স্টেশনে অন্যদের ডাকেন ও তাঁরাও একইরকমভাবে অশালীন আচরণ করেন বিধায়কের পরিবারের সঙ্গে।

আরও পড়ুন-Canada: খালিস্তানি উৎখাত! কানাডাকে সযোগিতার আহ্বান কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর
পুলিশের প্রতিক্রিয়া (BJP MLA)
ঝাঁসি রেল পুলিশের সুপার বিপুলকুমার শ্রীবাস্তব ট্রেনে এই বিবাদের কথা মেনে নিয়েছেন(BJP MLA)। তিনি জানিয়েছেন, সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দোষীদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হবে। বিধায়কের অভিযোগের ভিত্তিতে রিপোর্ট (এনসিআর) গ্রহণ করেছে রেলপুলিশ। বিপুল কুমার শ্রীবাস্তব সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, সম্ভবত ওই যাত্রীর বসার ভঙ্গি এবং তাঁর সিট বদলাতে রাজি না হওয়া নিয়ে তর্ক শুরু হয়েছিল দু’পক্ষের। আক্রান্ত যাত্রী জানিয়েছিলেন তিনি ভোপালে পৌঁছে এবিষয়ে অভিযোগ দায়ের করবেন। তবে শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত, ভোপাল রেলওয়ে পুলিশ কোনও অভিযোগ পায়নি। পুলিশ জানিয়েছে যে দ্বিতীয় পক্ষ আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ দায়ের করলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
