ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর (BJP MP Arrest) পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে দিল্লিতে বিক্ষোভ দেখাতে গিয়ে গ্রেফতার হয়েছেন বাংলার বিজেপি সাংসদরা। বৃহস্পতিবারের রায়ে প্রায় ২৬,০০০ শিক্ষকের চাকরি বাতিল হওয়ার পর, রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি এই ঘটনার জন্য মমতাকে দায়ী করে শুক্রবার সকালে বিক্ষোভ করার সিদ্ধান্ত নেয়।
মমতাকে তীব্র কটাক্ষ (BJP MP Arrest)
দিল্লিতে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য এবং খগেন মুর্মু (BJP MP Arrest) সহ অন্যান্য নেতারা বিক্ষোভে অংশ নেন। ঘটনাচক্রে, দিল্লি পুলিশ, যা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অধীনে কাজ করে, তাদের গ্রেফতার করে। সুকান্ত মজুমদার সাংবাদিক বৈঠকে জানান, মমতাকে অবশ্যই এই দুর্নীতির জন্য জেলে যেতে হবে। তিনি এবং বিজেপির মুখপাত্র সম্বিত পাত্র একসঙ্গে বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি বুঝতে পারেন, তাহলে তাঁকে এখান থেকে পালাতে হবে।”
মমতাকেও শাস্তি ভোগ করতে হবে! (BJP MP Arrest)
বিক্ষোভের আগে সুকান্ত একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন, যেখানে তিনি অভিযোগ করেন, মমতা সরকারের দুর্নীতি রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থাকে নষ্ট করেছে। তিনি উল্লেখ করেন, “হরিয়ানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমপ্রকাশ চৌটালার মতো মমতাকেও শাস্তি ভোগ করতে হবে।” এর মাধ্যমে তারা রাজ্যে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে একটি রাজনৈতিক ইস্যু তৈরি করার চেষ্টা করছেন।
বিজেপি কিছু করবে না!
সুপ্রিম কোর্টের রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ২০১৬ সালের এসএসসি প্যানেলের চাকরিতে ‘যোগ্য’ এবং ‘অযোগ্য’ বাছাই করা সম্ভব হয়নি। ফলে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। যারা ওই চাকরি নিয়ে কাজ করেছেন, তারা চাইলে পুরনো কর্মস্থলে ফিরে যেতে পারবেন। এদিকে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে বিজেপির বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ শোনা গেছে। তিনি বলেছিলেন, “যদি পারো, (BJP MP Arrest) আমায় ধরো।” এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে সুকান্ত মজুমদার বলেন, “মমতা দেওয়াল লিখন পড়তে পেরেছেন, কিন্তু বিজেপি কিছু করবে না।” এর ফলে রাজনৈতিক উত্তেজনা আরও বাড়ছে।

আরও পড়ুন: SSC Verdict Case: চাকরি হারানোর শোকে ক্যানিং-এর শিক্ষিকার চরম সিদ্ধান্ত!
চাকরি বাতিলের বিষয় নিয়ে আন্দোলন
বিজেপি নেতারা দাবি করছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরুদ্ধে জনগণের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। তারা জানাচ্ছেন, শিক্ষকদের চাকরি বাতিলের বিষয়টি নিয়ে তারা আরও আন্দোলন চালাবেন। সুতরাং, বিষয়টি এখন শুধুই আদালতের রায় নয়, বরং রাজনৈতিক যুদ্ধের ক্ষেত্রেও পরিণত হয়েছে।