ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: হেমতাবাদে (Hemtabad) খড়ের গাদায় স্কুটি সহ অগ্নিদগ্ধ মৃতদেহ। হেমতাবাদের দক্ষিণ ধোয়ারইল অঞ্চলের ঘটনা। শনিবার এই ঘটনাকে ঘিরে শোরগোল পড়ে যায় উত্তর দিনাজপুর (Uttar Dinajpur) জেলার হেমতাবাদের ধোঁয়ারই গ্রামে। মৃত যুবকের নাম, পাপাই ক্ষেত্রী। বয়স ৩৩। পেশায় সুদের কারবারি। হেমতাবাদ ব্লক তৃণমূল (TMC) কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি মৃত্যঞ্জয় দত্ত ছিলেন তাঁর পিসেমশাই। পিসি সবিতা ক্ষেত্রী ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে হেমতাবাদে তৃণমূল প্রার্থী ছিলেন।
স্কুটার সহ অগ্নিদগ্ধ দেহ (Hemtabad)
এদিন সকালে হেমতারবাদের রাজ্য সড়কের ধারে প্রাতর্ভ্রমণে বেরিয়ে কয়েকজন দেখতে পান, খড়ের গাদায় একটি স্কুটার সহ অগ্নিদগ্ধ দেহ পড়ে রয়েছে (Hemtabad)। এরপরই হেমতাবাদ থানার পুলিশের কাছে খবর যায়। হেমতাবাদের আইসি সুজিত লামা ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কুন্তল বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে পুলিশবাহিনী এসে দেহটি উদ্ধার করে। আইসি সুজিত লামা জানান, দেহটি এমনভাবে পুড়েছে যে চেনাই যাচ্ছিল না। দেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য রায়গঞ্জ মেডিক্যালে কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে। তাঁর স্ত্রী দেহটি শনাক্ত করেছেন।
বাড়ি থেকে বেরোনোর পর আর ফেরেননি (Hemtabad)
মৃতের আত্মীয় জানান, গতকাল বাড়ি থেকে বেরোনোর পর আর ফেরেননি পাপাই (Hemtabad)। পরিবার সূত্রের খবর, শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ স্ত্রীর সঙ্গে শেষ কথা হয়েছিল পাপাইযের। বলেছিলেন, ঘণ্টা খানেকের মধ্যে বাড়ি ফিরবেন। কিন্তু রাতে না ফেরায় আশেপাশে খোঁজখবর করেও তাঁর সন্ধান মেলেনি। ফোনও সুইচ অফ ছিল। খোঁজখবর শুরু করে বাড়ির লোক। শনিবার সকালে বাড়ি থেকে ৩ কিলোমিটার দূরে খড়ের গাদা থেকে উদ্ধার হয় তাঁর অগ্নিদগ্ধ দেহ। সিআইডি তদন্তের দাবি জানান তিনি। ঘটনার পেছনে যে বা যারা রয়েছে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: Srijan Bhattacharya: যাদবপুর কাণ্ডে সৃজনকে তলব করল পুলিশ, সন্ধ্যায় ভিডিয়ো ফুটেজ নিয়ে হাজিরা
অজ্ঞাতপরিচয় কারও সঙ্গে বিবাদ
সুদের কারবারি ছিলেন বিট্টু। সঙ্গে গাড়ি কেনাবেচাও করতেন। তাঁর স্ত্রী পাঁচ মাসের গর্ভবতী। এক ছেলেও রয়েছে তাঁর। গত কয়েকদিন ধরেই ব্যবসায়িক লেনদেন নিয়ে ফোনে কোনও অজ্ঞাতপরিচয় কারও সঙ্গে বিবাদে জড়িয়েছিলেন বিট্টু, দাবি পরিবারের সদস্যদের। টাকা-পয়সা নিয়ে কারও সঙ্গে গণ্ডগোল হয়েছে। তারপরই এই পরিণতি। জানা যাচ্ছে বিগত দু-তিনদিন ধরে ঋণ দেওয়া সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে তৃণমূল সদস্যার স্বামী ও ছেলের সঙ্গে সমস্যা চলছিল। ঘটনায় সন্দেহের তির তাঁদের দিকেও। হেমতাবাদ থানার পুলিশ এসে তদন্ত শুরু করেছে।