ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: পুরুলিয়ায় পুরোদমে চলছে ‘বানসারা’ ছবির শ্যুটিং (Bonny Sengupta)। ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে চরিত্রের লুক। ছবিটিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় দেখা যাবে, অপরাজিতা আঢ্য (Aparajita Auddy) এবং বনি সেনগুপ্তকে (Bonny Sengupta) । বনির পুলিশের লুকটা আগের লুকের সঙ্গে মেলাতে পারবেন না। চুলের স্টাইলে পরিবর্তন এসেছে। এই ছবির লুক নিয়ে ট্রাইব টিভিকে কী বললেন বনি?
বদলে গেছে বনির লুক (Bonny Sengupta)
অভিনেতা বনি (Bonny Sengupta) বলেন, “এই পরিবর্তনের ক্ষেত্রে দুই তিনটে জিনিস আছে। তার মধ্যে অন্যতম ভ্রু’তে কাটিং করা। গোঁফটাকে স্পেশালি বাড়িয়ে দাড়ি ছোট রেখেছি। যে অজিতেশের চরিত্র করছি, সেই চরিত্র পুরোপুরি লাউড নয়। আবার পুরোপুরি চাপা স্বভাবের মানুষ নয়। মাঝখানে আটকে আছে। সেই জিনিসটাকে মেনটেইন করে আমাকে অভিনয় করতে হচ্ছে। লাউডলি ডায়লগ বলতে হচ্ছে না”।
তিনি আরও বলেন, “এক্ষেত্রে দুটো শেড রয়েছে। চরিত্রের আরেকটা শেড আছে। সেটা সিনেমায় জানা যাবে। এই সিনেমায় যারা অভিনয় করছেন অপা দি কিংবা বাকি সবার সঙ্গে পুরো বিষয়টা মেইনটেইন করা একটু কঠিন। যদিও ইতিমধ্যেই আমাদের শুটিং তিন চার দিন হয়ে গিয়েছে। বিষয়টা এখন অনেকটা সড়গড় হয়েছে”।
বনি এখন অজিতেশ নাগ (Bonny Sengupta)
‘বানসারা’তে অজিতেশ নাগের চরিত্রটি ঠিক কেমন? বনি (Bonny Sengupta) বলেন “অজিতেশ খুব বেশি মারামারিতে বিশ্বাসী নয়। কথায় মানুষকে চুপ করিয়ে দেয়। আগে আমি একটা পুলিশ অফিসারের চরিত্র করেছিলাম। প্রথমদিকে চরিত্রটি সিরিয়াস ছিল না। সে একটা ঘটনার জন্য ধীরে ধীরে সিরিয়াস হয়ে যায়। কিন্তু ‘বানসারা’র ক্ষেত্রে পুলিশের চরিত্র একেবারে ভিন্ন। পুরো ছবি জুড়ে অজিতেশ ভীষণ সিরিয়াস। আমিও এই কাজ নিয়ে সিরিয়াস”।
আরও পড়ুন: Death Threat in Bollywood: গুলশন কুমার থেকে সলমান খান! আন্ডার ওয়ার্ল্ডের নজর সরছেনা বলিউড থেকে
পুজোতে কতটা টক্কর দেবে ‘বানসারা’?
পুজোতে শুধু ‘বানসারা’ নয়, আরও বহু ছবি মুক্তি পাবে। সেখানে থাকবে বড় বড় স্টার থেকে শুরু করে প্রযোজকদের লড়াই। সেখানে ‘বানসারা’ টক্কর দেওয়ার জন্য কতটা রেডি? এই প্রশ্নে বনি বলেন, “এই সিনেমার কনটেন্ট সত্যিই খুব স্ট্রং। এমন জোনারে সিনেমা আগে হয়নি। এটা শুধু থ্রিলার নয়, মাইথোলজিক্যাল থ্রিলার। অপাদি এবং আমি আগে এই ধরনের কোনও সিনেমা করিনি। আমরা আমাদের বেস্টটা দেওয়ার চেষ্টা করছি। পরিচালক থেকে শুরু করি ইউনিটের প্রত্যেকেই আপ্রাণ চেষ্টা করছে, তাদের সর্বোচ্চ দিয়ে কাজ করার।
ছোট ছোট ক্যারেক্টারের আউটলুকেও গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। একজন নিজের থেকে পুরোপুরি ন্যাড়া হয়ে গিয়েছে। একজন শুধুমাত্র চরিত্রের কারণে সারাদিন খালি গায়ে নকল চুল দাড়ি গোঁফ পড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আশা করছি, এত যখন পরিশ্রম করছি, মন দিয়ে কাজ করছি, সাফল্য পাব। মূল চিন্তা হল, হল পাওয়া। হল পেয়ে গেলে, মানুষ ছবিটা দেখলে, নিশ্চয়ই বুঝতে পারবে, ‘বানসারা’ ভালো সিনেমা”।