ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: উত্তরপ্রদেশের আলিগড় জেলার মাদ্রাক থানার অন্তর্গত একটি গ্রামে (Bride Mom Elopes With Groom) ঘটে গেল এক অবাক করা ঘটনা। বিয়ের মাত্র কয়েকদিন বাকি তার মধ্যেই হবু জামাইয়ের সঙ্গে পালিয়ে গেলেন শাশুড়ি। জোর কদমে চলছে প্রস্তুতি। বাড়িতে আনাগোনা শুরু হয়েছে আত্মীয়স্বজনদের। ৪০ বছরের ওই ভাবী শাশুড়ি ২০ বছরের যুবক মেয়ের প্রেমিককে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
দু’জনে একসঙ্গেই বেপাত্তা (Bride Mom Elopes With Groom)
পরিবার সূত্রে খবর, রবিবার রাতে হবু বর বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। যাওয়ার বলেন বিয়ের কিছু কেনাকেটা বাকি আছে। পরে তিনি বাবাকে ফোন করে জানান, “আমি চলে যাচ্ছি। আমাকে খোঁজার চেষ্টা করো না।” অন্যদিকে, প্রায় একই সময় মেয়ের বাড়িতেও দেখা যায় মায়ের দেখা নেই। দুই বাড়ির মধ্যে ফোনে কথা হয়। তখনই বোঝা যায় দু’জনে একসঙ্গেই বেপাত্তা (Bride Mom Elopes With Groom)। কুড়ি বছরের মেয়ের প্রেমিকের সঙ্গে বাড়ি ছাড়ার আগে টাকা ও বিয়ের গয়নাগাটিও নিয়ে চলে গিয়েছেন ওই মহিলা।
আলমারিতে রাখা টাকা-গয়নাও সব উধাও (Bride Mom Elopes With Groom)
পুলিশের দ্বারস্থ হন মেয়েটির বাবা। পুলিশের কাছে অভিযোগ জানান, দাদন থানা এলাকার একটি গ্রামের ছেলের সঙ্গে মেয়ের বিয়ে ঠিক করেছিলেন। বিয়ে ঠিক হওয়ার পর থেকেই হবু জামাই প্রায়শই কনের বাড়িতে আসতেন। গোপনে কথাও বলতেন হবু শাশুড়ির সঙ্গে। এমনকী হবু শাশুড়িকে কয়েকদিন আগে মোবাইল ফোনও উপহার দেন। কিন্তু তখন কারও মনে সন্দেহ জাগেনি (Bride Mom Elopes With Groom)। রবিবার বাড়িতে খোঁজাখুঁজি শুরু হলে দেখা যায় আলমারিতে রাখা টাকা-গয়নাও সব উধাও।
সিসিটিভি ফুটেজগুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে
পুলিশ অভিযোগ পেয়ে মনে করছে, তাঁরা উত্তরাখণ্ডে যেখানে ছেলেটি কাজ করে সেখানে পালিয়ে গিয়ে থাকতে পারেন। তাঁদের খোঁজে একটি অনুসন্ধানী দল পাঠানো হয়েছে। স্থানীয় বাসস্ট্যান্ড ও রেল স্টেশনের সিসিটিভি ফুটেজগুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দুই পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
প্রায় ২২ ঘণ্টা ফোনে কথা
পাত্রীর বাবা জিতেন্দ্র কুমার, যিনি বেঙ্গালুরুতে ব্যবসা করেন, তিনিই স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। জানা যায়, গত তিন-চার মাস ধরেই অনিতা এবং রাহুলের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি হয়। তারা প্রায় ২২ ঘণ্টা ফোনে কথা বলতেন, এমনটাও দাবি করেছেন জিতেন্দ্র। ঘটনার দিন থেকে অনিতার ফোন বন্ধ। রাহুলও প্রথমে সম্পর্ক অস্বীকার করলেও পরে ফোনে জানিয়ে দেয়, “২০ বছর ধরে অনিতাকে কষ্ট দিয়েছেন, এবার তাঁকে ভুলে যেতে হবে।” পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, “তাঁরা যাই করুক, আমাদের শুধু টাকা এবং গয়নাগুলো ফেরত চাই।”