ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ইউক্রেনে শান্তি প্রতিষ্ঠা এড়িয়ে যাওয়ার ‘মূল্য’ চোকাতে হবে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে। এমনই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমার (British Prime Minister)। প্রায় তিন বছর পর প্রথমবার সরাসরি শান্তি আলোচনায় বসতে চলেছে ইউক্রেন এবং রাশিয়ার প্রতিনিধিরা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই আলোচনায় মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকায় থাকলেও এতে অংশ নেবেন না প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। অন্যদিকে, রাশিয়া এই আলোচনার প্রস্তাব রাখলেও এতে যোগ না দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। শুক্রবার সেই বৈঠকের আগে পুতিনকে সতর্ক করলেন স্টারমার।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি (British Prime Minister)
আলবেনিয়ায় ইউরোপীয় পলিটিকাল কমিউনিটির বৈঠকের আগে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী (British Prime Minister) বলেন, ‘ইউক্রেনজুড়ে হত্যা ও রক্তপাত চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি পুতিনের পিছপা হওয়া এবং বিলম্বিত করার কৌশল অসহনীয়।’ তাঁর কথায়, ‘রাশিয়াকে নিঃশর্ত যুদ্ধ বিরতিতে সম্মত হতে হবে। যদি রাশিয়া আলোচনার টেবিলে আসতে অনিচ্ছুক হয়, তাহলে পুতিনকে এর মূল্য চোকাতে হবে।’ লন্ডন বলেছে, রাশিয়া যদি যুদ্ধবিরতিতে সম্মত না হয় তবে আগামী সপ্তাহে ব্যাপক নিষেধাজ্ঞার সম্মুখীন হতে পারে। সেক্ষেত্রে রাশিয়ান জ্বালানি মূল টার্গেট হতে পারে।
ইউক্রেন ও রাশিয়া বৈঠক (British Prime Minister)
অন্যদিকে, রবিবার পুতিন ইস্তাম্বুলে ইউক্রেনের সঙ্গে সরাসরি আলোচনা ও দরকষাকষির প্রস্তাব রাখেন (British Prime Minister)। তিনি প্রস্তাব রাখেন, ‘কোন ধরনের পূর্বশর্ত’ ছাড়াই ১৫ মে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে এই বৈঠকের আয়োজন হওয়া উচিত। ক্রেমলিন জানিয়েছে, শুক্রবার তাদের প্রতিনিধিদলে প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা ভ্লাদিমির মেদিনস্কি ও উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী আলেকজান্ডার ফোমিন থাকছেন।
আরও পড়ুন: Nirav Modi: পলাতক নীরব মোদীর দশম জামিনের আবেদন খারিজ
নেই ট্রাম্প-পুতিন
তবে তালিকায় পুতিনের নাম নেই। রুশ তালিকা প্রকাশের পর এক মার্কিন কর্মকর্তা জানান, মধ্যপ্রাচ্যের তিন দেশে সফররত ট্রাম্প ওই বৈঠকে যোগ দেবেন না। এর আগে তিনি জানিয়েছিলেন, বৈঠকে যোগ দেওয়ার বিষয় বিবেচনা করছেন।
আরও পড়ুন: US Turkey Misiile Deal :তুরস্ককে ২৬০০ কোটির ক্ষেপনাস্ত্র বিক্রির অনুমতি দিল মার্কিন বিদেশ দফতর!
ন্যাটো বিদেশমন্ত্রীদের বৈঠক (British Prime Minister)
এদিকে তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলে ন্যাটো বিদেশমন্ত্রীদের বৈঠকের পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিদেশ সচিব মার্কো রুবিও বলেন, ‘আমি মনে করি না তুরস্কে বড় কোন অগ্রগতি হবে, যতক্ষণ না ট্রাম্প ও পুতিন সরাসরি আলোচনায় বসবেন।’ ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিও আলোচনায় অংশ নিতে প্রতিনিধি দল পাঠানোর ঘোষণা করেছেন। তবে তিনি রাশিয়ার প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন, কারণ এতে নেতৃত্ব দেবেন প্রেসিডেন্ট পুতিনের উপদেষ্টা ভ্লাদিমির মেদিনস্কি।উল্লেখ্য, ২০২২ সালের পর প্রথমবার ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, তুরস্ক, ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে সরাসরি আলোচনা হবে।