ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: স্বাস্থ্য পরিষেবার এক নতুন দিগন্ত বর্ধমান হেলথ সিটি (Burdwan Health City)। শুধু বর্ধমান নয়, সমগ্র পূর্ব ভারতের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে এই প্রকল্প। বর্ধমানের জি টি রোড ও এন এইচ ১৯-এর সংযোগস্থলে অবস্থিত এই প্রকল্প এলাকার মানুষের বাড়তে থাকা স্বাস্থ্য সেবার চাহিদা মেটাবে। বিশ্বমানের চিকিৎসা ব্যবস্থা, চিকিৎসাবিদ্যা অধ্যয়ন এবং গবেষণার সংযুক্তিতে এই উদ্যোগ দৃষ্টান্তমূলক।
“Health means Bengal Faith” এই স্লোগানকে সামনে রেখে বর্ধমান ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (বি ডি এ)-র সাহায্যে বর্ধমান হেলথ সিটি-র (Burdwan Health City) পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) মডেল গড়ে উঠছে। এর লক্ষ্য সামাজিক ও অর্থনৈতিক অগ্রগতি সাধন করা।
আরও পড়ুন: Sealdah Division: দক্ষিণের রেলস্টেশন থেকে মেট্রো স্টেশনের রাস্তা আরও সহজ!
বাংলার স্বাস্থ্য পরিষেবার নতুন দিগন্ত (Burdwan Health City)
বর্ধমান হেলথ সিটি-র (Burdwan Health City) চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর অধ্যাপক সুধাংশু শেখর চক্রবর্তী বলেন, “আমাদের লক্ষ্য একটি সম্পূর্ণ স্বাস্থ্য পরিষেবা ব্যবস্থা গড়ে তোলা, যেখানে সাধ্যের মধ্যে উন্নত মানের চিকিৎসা দেওয়া হবে, যা এলাকার সামাজিক ও অর্থনৈতিক বিকাশের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করব।”

বর্তমানে পরিষেবা প্রদানকারী NABH স্বীকৃত বেঙ্গল ফেইথ সুপার-স্পেশালিটি হাসপাতাল শীঘ্রই “আশালতা হাসপাতাল” নামে নামাঙ্কিত করা হবে। শয্যাসংখ্যা বেড়ে হবে ৪২০। হাসপাতালের বৈশিষ্ট্য হল অত্যাধুনিক চিকিৎসা পরিকাঠামো, স্থায়ী উন্নয়নমূলক পরিকল্পনা, পূনর্নবীকরণ শক্তির ব্যবহার, সবুজায়নের অন্তর্ভুক্তি (Burdwan Health City)। হাসপাতালটিতে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বিভাগগুলোর মধ্যে রয়েছে হৃদরোগ (কার্ডিওলজি), স্নায়ুরোগ (নিউরোলজি), অস্থি বিভাগ (অর্থোপেডিক্স), ট্রমা, এমার্জেন্সি ও ক্রিটিক্যাল কেয়ার। “মাদার অ্যান্ড চাইল্ড কেয়ার ইউনিট (এম সি সি ইউ)” নির্মাণ কাজ চলছে।

সুপরিকল্পিত হেলথ সিটির (Burdwan Health City) পাশাপাশি মেডিক্যাল কলেজ, ডেন্টাল কলেজ, নার্সিং ও প্যারামেডিক্যাল ইনস্টিটিউট, ওয়েলনেস সেন্টার, মেডিক্যাল সাপ্লাই চেইন ও লজিস্টিকস এবং ডাক্তার, নার্স, রোগীর আত্মীয়দের থাকার জায়গা তৈরি হবে।পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য অধ্যাপক চক্রবর্তী বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে আলোচনা করছেন।
অত্যাধুনিক উন্নত স্বাস্থ্য পরিষেবার জন্য বর্ধমান হেলথ সিটি (Burdwan Health City) মেডিক্যাল ট্যুরিজমের একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হয়ে উঠতে চলেছে।দেশ-বিদেশ থেকে রোগীরা এখানে চিকিৎসার জন্য আসবেন।অধ্যাপক চক্রবর্তী বলেছেন, “আমরা বিশ্বমানের এমন একটি স্বাস্থ্য নগরী গড়তে চাই, যা বাংলার চিকিৎসা ক্ষেত্রে উৎকর্ষ ও গুণমানের প্রতীক হয়ে উঠবে।”