ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি (Burdwan University PhD Admission) কোর্সে ভর্তির জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রাথমিক মেধাতালিকাও প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে হবু গবেষকদের নামের পাশে ধর্মেরও উল্লেখ করা হয়েছে। তাঁদের নাম, জাতি ও অন্যান্য তথ্যের পাশাপাশি তাঁদের ধর্মীয় পরিচয়ও উল্লেখ করা হয়েছে। যা একেবারেই প্রচলিত নয় বলে দাবি সূত্রের। যা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক।
বিষয়টিকে ‘সামান্য ত্রুটি’ হিসেবে দেখছে (Burdwan University PhD Admission)
বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে এই মেধাতালিকা প্রকাশিত হয়। তাতে দেখা যায়, মেধাতালিকায় ঠাঁই পাওয়া পড়ুয়াদের নামের পাশে ধর্মের উল্লেখ রয়েছে। ওই তালিকা ধরেই ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে চূড়ান্ত বাছাই পর্ব হবে। কিন্তু অতীতে কোনওদিন এভাবে পড়ুয়াদের ধর্মের উল্লেখ করে তালিকা প্রকাশ করা হয়নি। যদিও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিষয়টিকে ‘সামান্য ত্রুটি’ হিসেবে দেখছে (Burdwan University PhD Admission)। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শঙ্করকুমার নাথ বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে এরকম কোনও নির্দেশ দেওয়া হয়নি। কারণ, গবেষকদের মেধা বা যোগ্যতা যাচাইয়ের সঙ্গে ধর্মের কোনও সম্পর্ক নেই।”
‘বিষয়টি অনিচ্ছাকৃতভাবে হয়ে গিয়েছে’ (Burdwan University PhD Admission)
উপাচার্যর ব্যাখ্যা, “কম্পিউটারের সফট্ওয়ার মাধ্যমে তালিকা তৈরি করা হয়েছে, সম্ভবত সেখানে ‘ধর্ম’ নামক কলামটি ছিল (Burdwan University PhD Admission)। বিষয়টি নিয়ে সংশোধন করা হবে।” উপাচার্য বোঝাতে চেয়েছেন, বিষয়টি অনিচ্ছাকৃতভাবে হয়ে গিয়েছে। চূড়ান্ত তালিকায় ধর্ম নামক কলামটি না রাখার কথাও বলেছেন তিনি। তবে উপাচার্য একথা বললেও বিতর্ক থামছে না। একাংশ শিক্ষার্থীর অভিযোগ, এভাবে বিশ্ববিদ্যালয় দায় এড়াতে পারে না।
আরও পড়ুন: SSC Panel Cancel: চাকরিহারাদের আন্দোলনকে নেতৃত্ব দেওয়া চিন্ময় মণ্ডলেরই নাম নেই ‘যোগ্য’ তালিকায়
‘উল্লেখ করার কোনও গুরুত্ব নেই’
বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের প্রধান সৈয়দ তনভির নাসরিন সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, আবেদনকারীর ধর্মীয় পরিচয় এভাবে আনুষ্ঠানিকভাবে উল্লেখ করার কোনও গুরুত্ব নেই। অন্যদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ামক (কন্ট্রোলার অফ এগজামিনার), আর্টস ফ্যাকাল্টির ডিনের সঙ্গে সংবাদমাধ্যমের তরফে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁদের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি বলেই দাবি করা হচ্ছে।
‘অন্য কোনও উদ্দেশ্য থাকতে পারে’
বিশ্ববিদ্যালয়ের এক আধিকারিক জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ধরনের কাজ ঠিকাদার সংস্থার মাধ্যমে করা হয়ে থাকে। তাঁদের ভুলেই এমনটা ঘটেছে। সাধারণত এই ধরনের মেধাতালিকায় প্রার্থীর নাম, জাতি, লিঙ্গের উল্লেখ থাকে। কিন্তু ধর্মের উল্লেখ থাকে না। কিন্তু এবার সেটা রেখে দেওয়া হয়। অন্য কোনও উদ্দেশ্য থাকতে পারে বলে তিনি আশঙ্কাপ্রকাশ করেছেন।