ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: দক্ষিণ কলকাতার প্রাণকেন্দ্র গড়িয়াহাটে সোমবার রাতে ঘটে গেল এক হাড়হিম করা ঘটনা। এক ব্যবসায়ীকে রাতের বেলা ডেকে নিয়ে এসে ধারালো অস্ত্র দিয়ে (Businessman allegedly beaten up) কোপানোর অভিযোগ। এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতি জড়িত থাকার অভিযোগও উঠেছে। ঘটনায় আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে এলাকায়।
জানা গেছে, সোমবার রাতে গড়িয়াহাট-বালিগঞ্জ স্টেশন সংলগ্ন কাঁকুলিয়া রোডে ব্যবসায়ী রকি রাজবংশীর সঙ্গে কিছু লোকের তর্কবিতর্ক হয়। যদিও সাময়িকভাবে সমস্যা মিটে যায়, কিন্তু সেই তর্কের পরিণতি আরও ভয়াবহ হয়। মাঝরাতে কিছু লোক ব্যবসায়ী রকি রাজবংশীকে গড়িয়াহাট মোড়ে ডেকে আনে এবং রাস্তায় ফেলে ধারালো অস্ত্র দিয়ে (Businessman allegedly beaten up) কোপানোর অভিযোগ ওঠে। সেই কোপের আঘাতে রক্তে ভেসে যায় এলাকা। গুরুতর আহত রকি রাজবংশীকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
রাজনীতির যোগ (Businessman allegedly beaten up)
ব্যবসায়ীর পরিবারের দাবি, অভিযুক্তরা কলকাতা পুরসভার ৬৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর সুদর্শনা মুখোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ। তাদের মতে, এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির যোগ রয়েছে, এবং তারা অভিযোগ করেছেন যে তৃণমূল কাউন্সিলরের অনুগামীরা এই হামলা করেছে। গড়িয়াহাট থানায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে এবং পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
আরও পড়ুন: Tehatta Hospital: ‘হঠাৎই জ্বর ও খিঁচুনি’! ভুল ইঞ্জেকশনের পরেই একসঙ্গে অসুস্থ ৯ শিশু?
তবে তৃণমূল কাউন্সিলর সুদর্শনা মুখোপাধ্যায়ের দাবি, এই ঘটনা রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নয়। তার মতে, মদ খেয়ে দুই দলের মধ্যে বচসার ফলস্বরূপ এই ঘটনা ঘটেছে (Businessman allegedly beaten up) । তিনি আরও বলেন, “এটি একটি ব্যক্তিগত ঝামেলা, এর সঙ্গে রাজনীতির কোনো সম্পর্ক নেই।” তিনি আশ্বাস দিয়েছেন যে পুলিশ যথাযথ ব্যবস্থা নেবে এবং অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এই ঘটনার পর গড়িয়াহাট এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে এবং স্থানীয়রা ভয় ও আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন। বেশ কয়েকজন দোকানদার ও ব্যবসায়ী তাদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন (Businessman allegedly beaten up) । পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ঘটনার তদন্ত চলছে এবং অভিযুক্তদের শীঘ্রই গ্রেফতার করা হবে।
আরও পড়ুন: Extra Marrital Affair: পরকীয়ার জেরে স্বামীকে হত্যার ছক! স্ত্রীকেই খুন করে আত্মসমর্পণ স্বামীর
এই রক্তারক্তি কাণ্ডের মধ্যে দিয়ে আবারও প্রশ্ন উঠছে, শহরের প্রাণকেন্দ্রে কীভাবে রাজনৈতিক প্রভাব ও অপরাধের সম্পর্ক ক্রমশ গভীর হয়ে উঠছে। পুলিশ ও প্রশাসনের কাছ থেকে সাধারণ মানুষ নিরাপত্তা এবং দ্রুত বিচার চেয়ে বসে আছেন।