ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল : ২০২৪ মেডিক্যালের জয়েন্ট এন্ট্রান্সে নতুন করে ওবিসি প্যানেল তৈরি করে কাউন্সেলিং ও ভর্তির প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে নির্দেশ হাইকোর্টের (Calcutta High Court)।তবে ২০১০ সালের পরে ওবিসি শংসাপত্র পাওয়া পরীক্ষার্থীরা কাউন্সেলিংয়ে সুযোগ পাবেন না।
জয়েন্ট এন্ট্রান্সে নতুন করে ওবিসি প্যানেল তৈরির নির্দেশ (Calcutta High Court)
২০২৪ সালের মেডিক্যালে জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ওবিসি প্রার্থীদের নতুন প্যানেল তৈরি করে, সেই প্যানেল থেকেই কাউন্সেলিং এবং ভর্তির প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করার নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি কৌশিক চন্দ। তবে ২০১০ সালের পরে ওবিসি শংসাপত্র পাওয়া পরীক্ষার্থীরা কাউন্সেলিংয়ে সুযোগ পাবেন না। তাঁদের বাদ দিয়েই নতুন কাউন্সেলিং করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ২০২৪ সালের মেডিক্যালে জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষায় পাশ করা প্রার্থীদের একাংশ কাউন্সেলিংয়ে ডাক পাননি বলে অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন। সেই মামলাতেই বুধবার এই নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)।
মামলাকারীদের অভিযোগ (Calcutta High Court)
২০১০ সালের পর থেকে রাজ্যে ইস্যু হওয়া সব ওবিসি শংসাপত্র বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বেঞ্চ। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা হয়। সেই মামলা দেশের সর্বোচ্চ আদালতে এখনও বিচারাধীন। তবে হাইকোর্টের (Calcutta High Court) রায়ের উপর কোনও স্থগিতাদেশ দেয়নি শীর্ষ আদালত।২০২৪ সালে মেডিক্যালে স্নাতকোত্তর স্তরের ওই জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা নিয়ে আদালতে মামলা করেন মামনি সাউ-সহ বেশ কয়েকজন উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থী। মামলাকারীদের দাবি, তাঁরা লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পাশাপাশি কাউন্সেলিং প্রক্রিয়ার জন্যও নির্বাচিত হয়েছেন। কিন্তু তাঁদের কাউন্সেলিংয়ের জন্য ডাক হয়নি। মামলাকারীদের আইনজীবী রঘুনাথ চক্রবর্তী এবং সৈকত ঠাকুরতা আদালতে অভিযোগ করেন, তাঁরা কাউন্সেলিং প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারেননি। ফলে কোনও মেডিক্যাল কলেজে তাঁরা ভর্তি হতে পারছেন না। তার উপর এরই মধ্যে ২০২৫ সালেরও ভর্তির বিজ্ঞপ্তিও জারি করা হয়েছে।
আদালতের নির্দেশ
এই অভিযোগ শুনে বুধবার মামলার শুনানিতে রাজ্যের স্বাস্থ্য বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতরের ডিরেক্টরকে দু’ঘণ্টার মধ্যে আদালতে হাজিরার নির্দেশ দেন বিচারপতি চন্দ। ওই আধিকারিকেরা আদালতে হাজির হয়ে জানান, ২০১০ সালের পর রাজ্যে ইস্যু হওয়া সব ওবিসি শংসাপত্র বাতিল হওয়ার কারণে কাউন্সেলিং করা যায়নি। তা শুনে বিচারপতি কৌশিক চন্দ জানান, ২০১০ সালের আগের ওবিসি শংসাপত্র নিয়ে কোনও সমস্যা নেই। সেখানে ৬৬টি সম্প্রদায় ওবিসি তালিকাভুক্ত ছিল। তাঁদেরকে নিয়েই নতুন প্যানেল তৈরি করে, সেখান থেকেই কাউন্সেলিং এবং ভর্তির প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করার নির্দেশ দেন তিনি।