ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক দুর্নীতির মামলায় ইডি এবং সিআইডির কাছ থেকে তদন্তের অগ্রগতির রিপোর্ট তলব কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের। পরবর্তী শুনানি ২৭ ফেব্রুয়ারি। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্তত ২২ লক্ষ টাকার দুর্নীতি হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন রেজিস্টার এমনই অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন রেজিস্টার দাবি করেছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান রেজিস্ট্রার এবং ফিন্যান্স অফিসার মূলত এই আর্থিক দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত।
এই মামলাতেই দুটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের নাম জড়িয়েছে। সেই ব্যাঙ্কগুলিতে দুর্নীতির টাকা রাখা হয়েছিল বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে ওই দুই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ককের থেকেও রিপোর্ট তলব করেছিলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। তখন এই মামলাটি ছিল বিচারপতি সিনহার কাছে। তখন তিনি ইডি, সিবিআই-কে দ্রুত তদন্ত করার পাশাপাশি তাদের থেকে তদন্তের অগ্রগতি রিপোর্টও চেয়েছিলেন (Calcutta High Court)।
মামলাকারী আইনজীবী (Calcutta High Court) শামিম আহমেদ: আজ এই মামলায় সাপ্লিমেন্টারি এফিডেভিট জমা দিতে বলা হয়েছিল কলেজকে। ব্যাংক এবং ইডিকেও রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। ইডির আইনজীবী জানান, তদন্ত এখনও চলছে। বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ: আপনারা চার্জশিট কেন জমা দিতে পারছেন না?
আরও পড়ুন: https://tribetv.in/kolkata-book-fair-2025-vhp-no-allowed-to-give-stall/
ব্যাংকের তরফের আইনজীবীকে (Calcutta High Court) প্রশ্ন বিচারপতির: আপনার রিপোর্ট সাবমিট করার কথা ছিল। ৬ মাস পরেও আপনি রিপোর্ট জমা দিতে পারছেন না? রাজ্যের তরফে আইনজীবী জানান: আমরা রিপোর্ট জমা দিয়েছি। বিচারপতি: ইসিআইআর জমা দিয়েছেন? ট্রায়াল কোর্টে কেস প্রডিউস করতে পারবেন? কতজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে? ইডিকে প্রশ্ন বিচারপতির। ইডির আইনজীবী জানান, এখনও পর্যন্ত ৪০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। শামিম আহমেদ: রেকর্ডস নষ্ট করা হয় গেলে তদন্ত কী ভাবে করা যেতে পারে?
আরও পড়ুন: https://tribetv.in/republic-day-preparation-at-kolkata-red-road/
বিচারপতি: তদন্তকারী আধিকারিক জানাচ্ছেন না তাঁদের কোনও অসুবিধা হচ্ছে। পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংকের তরফে দেওয়া রিপোর্ট জমা নেওয়া হয়েছে। পরবর্তী শুনানি ২৭ ফেব্রুয়ারি। ইউকো ব্যাংকের তরফে রিপোর্ট জমা দেওয়ার জন্য সময় চাওয়া হয়েছে।
ইডি এবং সিআইডির কাছ থেকে তদন্তের অগ্রগতির রিপোর্ট তলব করা হয়েছে (Calcutta High Court)।