ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: হুগলি জেলার শ্রীরামপুর রেল স্টেশন ও স্টেশন সংলগ্ন এলাকা থেকে হকার উচ্ছেদে ছাড়পত্র দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশ, রেলের জারি করা নোটিস অনুযায়ী শ্রীরামপুর স্টেশন ও সংলগ্ন এলাকায় বেআইনি জবরদখলকারীদের উচ্ছেদ করা যাবে। হাইকোর্টের এদিনের নির্দেশের পর শীঘ্রই উচ্ছেদ অভিযান শুরু হবে বলে রেল সূত্রে খবর।
বেআইনি জবরদখলকারী উচ্ছেদে ছাড়পত্র (Calcutta High Court)
জানা গিয়েছে, কেন্দ্রের অমৃত ভারত প্রকল্পে দেশের বিভিন্ন রেলস্টেশন কে ঢেলে সাজানোর কাজ শুরু হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে হুগলি জেলার শ্রীরামপুর স্টেশনও। সেই প্রকল্পের জন্য স্টেশন লাগোয়া এলাকার জবরদখল উচ্ছেদ করতে নোটিশ জারি করেছিল রেল কর্তৃপক্ষ। দু’মাস আগেই সেই উচ্ছেদ কাজ সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু রেলের জারি করা সেই উচ্ছেদ নোটিশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত ইস্টার্ন রেলওয়ে হাওড়া ডিভিশন হকার ইউনিয়ন।
আরও পড়ুন: Abhijit Ganguly on SSC: এসএসসি আন্দোলনের পাশে বিজেপি, মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের
মামলাকারীদের আইনজীবী শীর্ষান্য বন্দ্যোপাধ্যায় আদালতে জানিয়েছিলেন, জবরদখলকারী হকাররা দীর্ঘ বছর ধরে এই এলাকায় ব্যবসা করছেন। এটাই তাঁদের একমাত্র রুটি রুজি (Calcutta High Court)। তাই তাদের বিষয়টি বিবেচনা করা হোক। মামলার প্রেক্ষিতে গত শুনানিতে বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশ ছিল, হাওড়ার ডিআরএম হকারদের সমস্ত নথি দেখে তাঁদের সুযোগ দেবেন।
কিন্তু এদিন মামলার শুনানিতে অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল আদালতকে জানান, হাওড়ার ডিআরএম হকারদের নথি পেশের সুযোগ দিয়ে শুনানির জন্য ডেকেছিলেন (Calcutta High Court)। কিন্তু একজনও কোনো বৈধ নথি দেখাতে পারেনি। যদিও হকার ইউনিয়নের আইনজীবী শীর্ষান্য বন্দ্যোপাধ্যায় আদালতে জানান, ওই হকারদের লাইসেন্স না থাকলেও তাঁরা বহিরাগত নন, স্থানীয় বাসিন্দা। সেটাই তাঁদের একমাত্র আয়ের উৎস। কিন্তু আদালত তাতে কোনও কর্ণপাত করেনি।