ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: আসফাকুল্লা নাইয়া, অনিকেত মাহাতো এবং দেবাশিস হালদার- তিন জুনিয়র চিকিৎসকের পোস্টিং মামলায় সিঙ্গেল বেঞ্চের রায়ই বহাল রাখল বিচারপতি তপব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি ঋতব্রতকুমার মিত্রের ডিভিশন বেঞ্চ (Calcutta High Court)। রাজ্যের আবেদন খারিজ করে দিল ডিভিশন বেঞ্চ। তাই মামলা হাইকোর্টেই চলবে।
আরজি কর কাণ্ডের পর প্রতিবাদী মুখ এই তিন চিকিৎসকের বদলি মামলা ফিরল বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর সিঙ্গেল বেঞ্চে। সিঙ্গেল বেঞ্চের মামলায় শোনার নির্দেশ বহাল ডিভিশন বেঞ্চের। হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের এই মামলার শুনানি করার এক্তিয়ার আছে বলে জানিয়ে দিল ডিভিশন বেঞ্চ।
বদলির মামলার শুনানি হাইকোর্টেই হবে (Calcutta High Court)
আরজি কর আন্দোলনের অন্যতম মুখ তথা জুনিয়র চিকিৎসক অনিকেত মাহাতো, আসফাকুল্লা নাইয়া, দেবাশিস হালদারদের বদলির মামলার শুনানি হাইকোর্টেই হবে(Calcutta High Court)। গত ৩০ জুলাই রাজ্যের আবেদন খারিজ করে জানিয়েছিলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত অনিকেত মাহাতোদের বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ নয় বলে নির্দেশ দেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর। এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি ‘সিভিল সার্ভিস অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনালে’ নয়, হাইকোর্টেই হবে বলে সাফ জানিয়ে দেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। সিঙ্গল বেঞ্চের সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় রাজ্য। বুধবার সেই মামলাতেই সিঙ্গেল বেঞ্চের রায় বহাল রেখে রাজ্যের আবেদন আবার ও খারিজ করে দিলেন বিচারপতি তপব্রত চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চ।
রাজ্যের আবেদন খারিজ (Calcutta High Court)
উল্লেখ্য, অনিকেত মাহাতো সহ তিন জুনিয়র চিকিৎসককে হঠাৎই অন্যত্র বদলি করা হয়(Calcutta High Court)। বেছে বেছে কয়েকজনকই ট্রান্সফার করা হয়। তাই এই বদলিকে সম্পূর্ণ অনৈতিক বলে দাবি করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তাঁরা। সেই মামলায় রাজ্য দাবি করে, যেহেতু এই চিকিৎসকদের বেতন রাজ্য সরকার দেয়, তাই এই বিষয়টি স্যাটে (সিভিল সার্ভিস অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনাল) শুনানি হওয়া উচিত। হাইকোর্টে এই শুনানি হওয়া উচিৎ কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলে রাজ্য। বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু রাজ্যের সেই আবেদন খারিজ করে দেন।

আরও পড়ুন: Uttarakhand Cloudburst : কী এই মেঘভাঙা বৃষ্টি ?কেন উত্তরাখন্ড ও হিমাচলে বেশি হয় ?
কোনও কড়া পদক্ষেপ নয় (Calcutta High Court)
অনিকেত মাহাতো-সহ তিন চিকিৎসক অভিযোগ করেন, এমডি, এমএস প্রশিক্ষণের মধ্যে থাকা অবস্থাতেই তাঁদের রাজ্য সরকারের তরফে অন্যত্র বদলি করা হয়েছে(Calcutta High Court)।তাঁরা কোনও নিয়মিত চাকরির আওতায় নন, বরং চুক্তিভিত্তিক প্রশিক্ষণ নিচ্ছিলেন। আর যদি কোনও নিয়োগ করতেই হতো তাহলে বিজ্ঞপ্তি দিতে হতো প্রথমে। তাই তাঁরা কেউ নিয়োগ পদ্ধতির আওতায় পড়েন না।ফলে তাঁদের ক্ষেত্রে বদলির প্রশ্নই ওঠে না।

সিঙ্গেল বেঞ্চের শুনানিতে রাজ্যের আবেদন খারিজ করে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু জানান, তাঁর এজলাসেই এই সংক্রান্ত মামলার যাবতীয় শুনানি হবে। মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত অনিকেত মাহাতোদের বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ করা যাবে না বলেও নির্দেশ দেয় সিঙ্গল বেঞ্চ। বিচারপতি বসুর পর্যবেক্ষণ ছিল, এই ধরনের পদক্ষেপ করার আগে রাজ্য ভবিষ্যতে একবার হলেও ভাববে। এতে আদালতের মূল্যবান সময় নষ্ট হবে না(Calcutta High Court)।