ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: পানিহাটি ২৩নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলরকে (Panihati TMC Councillor) ফোনে খুনের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলরকে ফোনে খুনের হুমকির অভিযোগকে ঘিরে জোর চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। বিদেশ থেকে ফোন করে খুনের হুমকি। থানায় অভিযোগ দায়ের করলেন পানিহাটি পুরসভার কাউন্সিলর সম্রাট চক্রবর্তী। তাঁর অভিযোগ, ফোনে শুধু তাঁকে ও তাঁর পরিবারকেই খুনের হুমকি দেওয়া হয়নি। পানিহাটির বিধায়ক নির্মল ঘোষ ও তাঁর ছেলে তীর্থঙ্কর ঘোষকে খুনের হুমকি দেওয়া হয়েছে।
প্রত্যক্ষ রাজনীতিতে থাকতে নিষেধ (Panihati TMC Councillor)
ফোন করে খুনের হুমকি নিয়ে সম্রাট চক্রবর্তী (Panihati TMC Councillor) বলেন, “শনিবার রাত ৭টা ৫৫ মিনিট নাগাদ একটা অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন আসে। ফোনটা ধরার পর আমাকে হুমকি দেওয়া হয়। শুধু আমাকে নয়, স্থানীয় বিধায়ক নির্মল ঘোষ ও তাঁর পুত্র তীর্থঙ্কর ঘোষকেও হুমকি দেওয়া হয়। তীর্থঙ্কর পানিহাটি পৌরসভার পারিষদ সদস্য। আগামীদিনে আমাকে প্রত্যক্ষ রাজনীতিতে থাকতে নিষেধ করা হয়। আমাকে একটি ফেসবুক পেজ দেখতে বলা হয়। সেই ফেসবুক পেজে গিয়ে দেখি, শুধু আমাকে নয়, আমার পরিবারকেও হুমকি দেওয়া হয়েছে। আমাদের দলের সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়েও অশ্রাব্য ভাষা লেখা হয়েছে।”
তিলোত্তমার বাবা-মা কি মানুষের মধ্যে পড়েনি? (Panihati TMC Councillor)
তিনি (Panihati TMC Councillor) আরও বলেন, “এই হুমকি দেওয়া হয়েছে, তিলোত্তমার ঘটনাকে কেন্দ্র করে। আমি জানি না, কে বা কারা করেছে।” সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই পেজে সম্রাট চক্রবর্তীকে উল্লেখ করে লেখা হয়েছে, “শুনেছি আপনি নাকি ভাল মানুষ। কেউ কোনও বিপদে পড়লে আপনি নাকি সাহায্য করেন। তাহলে তিলোত্তমার বাবা-মা কি মানুষের মধ্যে পড়েনি, যে আপনি সব গুটিয়ে চুপ করে বসে দেখলেন চোখের উপর অন্যায়?”
আরও পড়ুন: Calcutta High Court: বিচারপতির পরিচয়ে তোলাবাজি, অবশেষে গ্রেফতার
নম্বরটি ভারতের নয়
তৃণমূল কাউন্সিলর আরও বলেন, যিনি লিখেছেন, তিনি নিজের সম্পর্কে লিখেছেন, ১৫-২০টা খুন করেছেন। বিদেশি নম্বর থেকে তাঁকে ফোন করা হয়েছিল জানিয়ে সম্রাট চক্রবর্তী বলেন, “আমার কাছে যে নম্বর থেকে ফোন এসেছিল, তা এগারো নম্বরের। এই নম্বরটি ভারতের নয়।” কাউন্সিলর ঘটনাটি থানায় জানাতেই পুলিশ এই বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই হুমকির পিছনে কে বা কারা আছেন তা খুঁজে বের করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।