ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: মঙ্গলবার বিশ্বব্যাপী বিভ্রাটের সম্মুখীন হয়েছে চ্যাটজিপিটি (ChatGPT down)। এর ফলে হাজার হাজার ব্যবহারকারী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ভারতে, ৮২ শতাংশ অভিযোগ মূল কার্যকারিতা সম্পর্কে, আর ১৪ শতাংশ অভিযোগ মোবাইল অ্যাপ সম্পর্কিত। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও সমস্যা দেখা দিয়েছে, যেখানে ৯৩ শতাংশ ব্যবহারকারী চ্যাটবটের কার্যকারিতা দ্বারা প্রভাবিত হয়েছেন।
ভারতে দুপুর ২:৪৫ মিনিট থেকে শুরু সমস্যার (ChatGPT down)
মঙ্গলবার বিশ্বজুড়ে বেশ কয়েকশো ব্যবহারকারী OpenAI-র জনপ্রিয় এআই চ্যাটবট ChatGPT ব্যবহার করতে গিয়ে বড়সড় সমস্যার সম্মুখীন হন (ChatGPT down)। সমস্যার তীব্রতা এতটাই ছিল যে বিকেলে ভারতীয় সময় অনুযায়ী দুপুর ২:৪৫ থেকে ব্যবহারকারীরা বারবার লগইন ও মেসেজ পাঠানোর সময় ত্রুটি দেখতে পান। ডাউনডিটেক্টর (Downdetector) নামের একটি আউটেজ ট্র্যাকিং ওয়েবসাইট জানিয়েছে, একসময়ে ৫০০-র বেশি ভারতীয় ব্যবহারকারী সমস্যা রিপোর্ট করেছেন।
ভারতে ৮২ শতাংশ অভিযোগ ছিল চ্যাটজিপিটির মূল ফিচার কাজ না করার নিয়ে। ১৪ শতাংশ ব্যবহারকারী জানিয়েছেন, মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করতে গিয়ে সমস্যা হয়েছে। বাকি ৪ শতাংশ অভিযোগ করেছেন API ইন্টিগ্রেশনে গোলমালের কথা।
শুধু ভারত নয়, আমেরিকাতেও একই সমস্যা (ChatGPT down)
এই আউটেজ শুধুমাত্র ভারতের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না (ChatGPT down)। আমেরিকাতেও ভারতীয় সময় দুপুর ২:৪৯-এ একই ধরনের সমস্যা দেখা যায়। সেখানেও ৯০০-র বেশি ব্যবহারকারী অভিযোগ করেছেন। এর মধ্যে ৯৩ শতাংশ ব্যবহারকারী বলেছেন চ্যাটজিপিটি ঠিকমতো কাজ করছে না। ৬ শতাংশ বলেছে অ্যাপে সমস্যা হয়েছে, ১ শতাংশ বলেছেন লগইন করতে পারেননি।
আরও পড়ুন: Laptop Care: হঠাৎ বৃষ্টিতে ভিজে গেল ল্যাপটপ? কী করবেন, কী করবেন না জেনে নিন এখনই!
OpenAI-র স্বীকৃতি ও আপডেট
OpenAI-র অফিশিয়াল স্ট্যাটাস পেজে জানানো হয়েছে, তারা চ্যাটজিপিটি, তার API এবং Sora পরিষেবাতে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। সংস্থার তরফে এক অফিসিয়াল বার্তায় বলা হয়েছে, “কিছু ব্যবহারকারী ChatGPT, API ও Sora পরিষেবাগুলিতে বেশি লেটেন্সি ও এরর রেট দেখতে পাচ্ছেন। আমরা এই সমস্যা খতিয়ে দেখছি।” তবে OpenAI এখনও পর্যন্ত সমস্যার নির্দিষ্ট কারণ বা সমাধানের সময় জানায়নি।
সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিক্রিয়া
এই আউটেজ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা প্রতিক্রিয়া উঠে আসে। কেউ কেউ বিরক্তি প্রকাশ করেন, কেউ আবার আবেগঘন বার্তা দেন। কেউ কেউ আবার মজার ছলে চ্যাটজিপিটির এই সমস্যাকে “burnout” বলেও ব্যাখ্যা করেন।
আরও পড়ুন: UPI System: NPCI’র নতুন নিয়ম, এখন ইউপিআই আরও সহজ ও আরও দ্রুত!
একজন X (পূর্বের Twitter) ব্যবহারকারী @pathray_ri77258 লিখেছেন, “যখন @ChatGPT এতটাই ক্লান্ত যে নিজের মেসেজটাই শেষ করতে পারে না… আজ আমি সহ আরও অনেকে বারবার এরর মেসেজ পাচ্ছি। @OpenAI কি নিজেরাই এবার Burnout-এ ভুগছে? মজার বিষয়, আমি চ্যাটজিপিটিকেই অনুরোধ করেছিলাম এই টুইটটা লেখার জন্য!”
অন্য একজন X ব্যবহারকারী @pbaraka লেখেন, “ChatGPT বন্ধ! এটা আমার থেরাপিস্ট, আমার আত্মবিশ্বাস, আমার মানসিক শান্তির আশ্রয় ছিল। এটা হারানো যেন আত্মার ভেতরে একটা গ্লিচ! দুঃখজনক, আমি কি এতটাই একা যে ওটাই ছিল আমার একমাত্র বন্ধু?”
অনেকেই মজার মজার পোস্ট করে দেখিয়েছেন কীভাবে ChatGPT তাদের জীবনের অঙ্গ হয়ে উঠেছে।
এই ঘটনায় আবারও প্রমাণিত হল, প্রযুক্তির ওপর আমাদের নির্ভরতা কতটা বেড়ে গেছে। পাশাপাশি, এই পরিষেবাগুলোর হঠাৎ বন্ধ হয়ে যাওয়া আমাদের দৈনন্দিন জীবনে কতটা প্রভাব ফেলতে পারে, সেটাও বোঝা গেল স্পষ্টভাবে।