ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: বর্তমানে অনেকেই সময় কাটাতে চ্যাটজিপিটির (Chatgpt Use) সঙ্গে গল্প জুড়ে দেন। মন খারাপ হলে, শরীর অসুস্থ থাকলে কিংবা বন্ধু-বান্ধব ব্যস্ত থাকলে এই প্রযুক্তিনির্ভর সঙ্গী হয়ে ওঠে একঘেয়েমি কাটানোর উপায়। কেউ কেউ আবার নিছক মজার ছলে প্রশ্ন করে, কেউ জানতে চায় পড়াশোনা, ভ্রমণ বা নিত্যদিনের সমস্যার সমাধান। এমনকি প্রেমের চিঠি, কবিতা কিংবা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অনুকরণেও লেখা চায় ব্যবহারকারীরা।
সব প্রশ্নই নিরাপদ? (Chatgpt Use)
তবে সব প্রশ্নই যে নিরাপদ বা উপযুক্ত, তা বলা (Chatgpt Use) চলে না। অনেক সময় দেখা যায়, মজা করতে গিয়ে বা কৌতূহলের বশে এমন কিছু প্রশ্ন করা হয়, যা ভবিষ্যতে বড় বিপদের কারণ হয়ে উঠতে পারে। তাই এই ধরনের কিছু প্রশ্ন এড়িয়ে চলা জরুরি।
পরীক্ষার প্রশ্নের উত্তর (Chatgpt Use)
প্রথমেই বলার মতো বিষয়, কেউ যদি চ্যাটজিপিটিকে (Chatgpt Use) পরীক্ষার প্রশ্নের উত্তর লিখে দিতে বলে, সেটি খুবই অনৈতিক কাজ। কেউ হয়তো ভাবছেন, একটু সাহায্য নিলেই বা ক্ষতি কী! কিন্তু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যদি জানা যায়, কেউ এআই-এর সহায়তায় উত্তর লিখেছে, তাহলে সেটি তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার কারণ হতে পারে। এতে শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ ক্ষতির মুখে পড়তে পারে।
পরিণতি হতে পারে ভয়ানক
আরও খারাপ পরিস্থিতি হতে পারে, যখন কেউ জিজ্ঞেস করে, “কীভাবে বোমা তৈরি করতে হয়?” অনেকেই হয়তো এমন প্রশ্ন নিছক কৌতূহল বা মজার ছলে করে থাকেন, কিন্তু এর পরিণতি হতে পারে ভয়ানক। এমন প্রশ্ন করলে চ্যাটজিপিটি সঙ্গে সঙ্গে কথোপকথন বন্ধ করে দেয় এবং ব্যবহারকারীকে লগ আউট করে দেয়। এরপর নতুন করে লগ ইন করলেও প্রশ্নটি পুনরায় করলে সমস্যায় পড়ার সম্ভাবনা থেকেই যায়। কারণ এই ধরনের প্রশ্ন সাইবার অপরাধের আওতাভুক্ত হতে পারে। হ্যাকার বা অসৎ ব্যক্তিরা এই প্রযুক্তির অপব্যবহার করে অন্যকে ফাঁসাতেও পারে।
ব্যক্তিগত তথ্য
এছাড়াও, চ্যাটজিপিটিকে যদি কেউ ব্যক্তিগত তথ্য যেমন ফোন নম্বর, ঠিকানা, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর বা পাসওয়ার্ড জানতে চায়, তা কখনওই পাওয়া যাবে না। কারণ এসব তথ্য গোপনীয় এবং ব্যক্তিগত অধিকারের মধ্যে পড়ে। তবুও কেউ যদি অসৎ উদ্দেশ্যে এই প্রশ্ন করে, ভবিষ্যতে সেটা তাঁর জন্য বিপদ ডেকে আনতে পারে। প্রযুক্তি যেহেতু মানুষের তৈরি, তাই তার ব্যবহারও হওয়া উচিত মানবিকতা ও নীতিনৈতিকতার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে।
আরও পড়ুন: Proper Sleep Tips: কম্বলের নীচে পা বের করেই ভালো হয় ঘুম! এর পেছনে রয়েছে সায়েন্স!
সবচেয়ে বড় কথা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আমাদের জীবন সহজ করে তুলতে পারে ঠিকই, কিন্তু তার অপব্যবহার করলে ফল হতে পারে ভয়ানক। তাই সচেতন থেকে প্রযুক্তিকে বন্ধু হিসেবে ব্যবহার করাই সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ।