ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন যে বাণিজ্য যুদ্ধের ফলে চীন থেকে আমেরিকায় আসা পণ্যগুলি ব্যয়বহুল হয়ে উঠবে, যা এর চাহিদা কমাতে পারে (Cheap Commodity for India)। চাহিদার অভাবের উদ্বেগ চীনা উপাদান প্রস্তুতকারকদের উপর চাপ বৃদ্ধি করছে।
ভারতীয় কোম্পানিদের ৫ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দিচ্ছে চীনা নির্মাতারা (Cheap Commodity for India)
চীন-আমেরিকা চলমান বাণিজ্য যুদ্ধের প্রেক্ষিতে, বহু চীনা ইলেকট্রনিক যন্ত্রাংশ প্রস্তুতকারী কোম্পানি এখন ভারতীয় কোম্পানিদের ৫ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দিচ্ছে (Cheap Commodity for India)। এই সুযোগে ভারতীয় ইলেকট্রনিক পণ্য নির্মাতারা এই ছাড়ের কিছুটা অংশ সাধারণ ভোক্তাদের পকেটে ফেরাতে পারে, যাতে চাহিদা বাড়ানো যায়।
এই পদক্ষেপের ফলে ভারতে টিভি, ফ্রিজ, স্মার্টফোনের মতো অনেক ইলেকট্রনিক পণ্যের দাম কমে যেতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, আমেরিকার বাজারে চীনা পণ্যের দাম বাড়লে, সেইসব পণ্যের চাহিদা কমে যাবে। এই চাহিদার ঘাটতির কারণে চীনা যন্ত্রাংশ নির্মাতাদের ওপর চাপ বাড়ছে। সেই কারণেই তারা বিক্রি বাড়াতে ভারতীয় কোম্পানিদের ছাড় দিচ্ছে।
আমেরিকায় চীনা পণ্যের দাম দ্বিগুণেরও বেশি (Cheap Commodity for India)
সরল ভাষায় বললে, চীনের ওপর ১২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ মানে হল, চীনে তৈরি ১০০ ডলারের একটি পণ্যের দাম আমেরিকায় পৌঁছে হবে ২২৫ ডলার (Cheap Commodity for India)। ফলে এইসব পণ্যের দাম বাড়বে এবং স্বাভাবিকভাবেই সেগুলোর চাহিদা কমে যাবে।
আরও পড়ুন: Indo-US Trade Deal: চাপের মুখে ভারত-মার্কিন বাণিজ্য চুক্তি নয়! দেশের স্বার্থে এগোবে ভারত
ট্রাম্প বললেন, “আমেরিকাকে আঘাত করলে পাল্টা জবাব আরও কঠোর হবে” (Cheap Commodity for India)
ওয়াশিংটনে, হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট বলেন, “যখন কেউ আমেরিকাকে আঘাত করে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আরও জোরে জবাব দেন।” চীনের ওপর শুল্ক আরোপের পর এই বক্তব্য দেন তিনি।
চুক্তির মাধ্যমে বাণিজ্য যুদ্ধ থামাতে চায় দুই দেশ
আমেরিকা এবং চীন, উভয় দেশই আলোচনার মাধ্যমে এই বাণিজ্য যুদ্ধ শেষ করতে চায়। তবে এই পথ সহজ নয় বলে মনে করছেন এশিয়া সোসাইটি পলিসি ইনস্টিটিউটের ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং প্রাক্তন মার্কিন বাণিজ্য আধিকারিক ওয়েন্ডি কাটলার। তিনি বলেন, “দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের অচলাবস্থার কারণে আলোচনা এগোচ্ছে না। চীনও আপস করার কোনও আগ্রহ দেখাচ্ছে না।”
‘রেসিপ্রোকাল ট্যারিফ’ ঘোষণা করলেন ট্রাম্প
ডোনাল্ড ট্রাম্প আগেই বলে এসেছেন, যদি কোনও দেশ আমেরিকান পণ্যের ওপর বেশি শুল্ক চাপায়, তাহলে আমেরিকাও সেই দেশের পণ্যের ওপর সমান শুল্ক চাপাবে। তিনি একে ‘রিসিপ্রোকাল ট্যারিফ’ বা পাল্টা শুল্ক বলেছেন। এপ্রিল ২ তারিখে তিনি প্রায় ১০০টি দেশের ওপর এই ধরনের শুল্ক ঘোষণা করেন এবং বলেন, “আজকের দিনটা মুক্তির দিন, যেটার জন্য আমেরিকা বহুদিন ধরে অপেক্ষা করছিল।”
চীনের ওপর ১২৫ শতাংশ শুল্ক বহাল, অন্য দেশগুলোকে ৯০ দিনের সময়
তবে এপ্রিল ৯ তারিখে ট্রাম্প ঘোষণা করেন, চীন ছাড়া বাকি সব দেশের ওপর রিসিপ্রোকাল শুল্ক ৯০ দিনের জন্য স্থগিত রাখা হবে। তিনি বলেন, “চীন বিশ্ববাজারের প্রতি সম্মান দেখায়নি। তাই আমি এই শুল্ক ১২৫ শতাংশ পর্যন্ত বাড়াচ্ছি। আশা করি চীন খুব দ্রুত বুঝবে, আমেরিকা এবং অন্যান্য দেশকে লুঠ করার দিন শেষ হয়ে গেছে।”