ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: চিজ খাদ্যতালিকার একটি জনপ্রিয় উপাদান (Cheese For Weight Loss) , তবে এর স্বাস্থ্যগত প্রভাব নিয়ে আলোচনা চলছেই। চিজে রয়েছে প্রোটিন এবং ক্যালশিয়াম, যা শরীরের জন্য উপকারী। তবে উচ্চ ক্যালোরি এবং স্যাচুরেটেড ফ্যাটের কারণে এটি নিয়ে উদ্বেগও আছে। বিশেষ করে যাঁরা ওজন কমাতে চান, তাঁদের জন্য চিজ খাওয়ার ব্যাপারে সতর্কতা প্রয়োজন।
চিজ কি ক্ষতিকর? (Cheese For Weight Loss)
পুষ্টিবিদরা বলছেন, চিজ স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর নয়, তবে সঠিক ধরনের চিজ নির্বাচন এবং পরিমাণ (Cheese For Weight Loss) নিয়ন্ত্রণ গুরুত্বপূর্ণ। বিভিন্ন ধরনের চিজের মধ্যে প্রোটিন ও ফ্যাটের পরিমাণে পার্থক্য রয়েছে। সাধারণত প্রক্রিয়াজাত চিজ এড়িয়ে চলা ভালো। পুষ্টিবিদ মিতুসি আজমেরা পরামর্শ দেন, যদি ফ্যাট কম থাকে এমন চিজ বেছে নেওয়া যায়, তবে সেটি স্বাস্থ্যকর হবে।
ক্যালোরি কাউন্ট (Cheese For Weight Loss)
ওজন কমানোর জন্য চিজ খাওয়া সম্ভব, তবে তার জন্য ক্যালোরির দিকে খেয়াল (Cheese For Weight Loss) রাখতে হবে। বেঙ্গালুরুর পুষ্টিবিদ কার্থিগাই সেলভি বলেন, “ওজন কমানোর জন্য প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলা এবং সবজি খাওয়া অত্যন্ত জরুরি। যদি কম ফ্যাট যুক্ত চিজ় সবজির সঙ্গে পরিমিত খাওয়া হয় এবং নিয়মিত শরীরচর্চা করা হয়, তাহলে ওজন নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।”
আরও পড়ুন: Premature Greying of Hair: তিরিশের আগেই সাদা হয়ে যাচ্ছে চুল ? জেনে নিন কেন এমন হয়
সঠিক তথ্য
চিজ খাওয়ার পরিমাণ নির্ধারণ করতে গেলে, তার প্যাকেটের উপরে ক্যালোরি এবং ফ্যাটের তথ্য দেখে নেওয়া যেতে পারে। ১০০ গ্রামে কত ক্যালোরি এবং ফ্যাট রয়েছে, তা জানা থাকলে সহজে হিসাব করা সম্ভব কতটা চিজ খাওয়া যাবে।

কোন ধরনের চিজ খাওয়া উচিত?
- ১. কটেজ চিজ: এটি উচ্চ প্রোটিন এবং তুলনামূলকভাবে কম ফ্যাট সমৃদ্ধ, যা ভারত জুড়ে সহজেই পাওয়া যায়।
- ২. মোজ়ারেলা: পিৎজ়ার জন্য আদর্শ, এতে সোডিয়ামের পরিমাণ কম এবং ক্যালশিয়ামের উৎস।
- ৩. ফেটা চিজ: এটি প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ, স্যালাডে ব্যবহার করা যেতে পারে, তবে সোডিয়ামের পরিমাণ কিছুটা বেশি।

তবে কিছু স্বাস্থ্য সমস্যা থাকলে চিজ খাওয়া এড়ানো উচিত। যেমন, রক্তচাপ, হজমের সমস্যা, এবং অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় মহিলাদের জন্য চিজ খাওয়া বিপজ্জনক হতে পারে। তাই চিজ কেনার সময় সোডিয়াম ও ফ্যাটের পরিমাণ অবশ্যই পরীক্ষা করে নেওয়া উচিত।