ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: আদালতের নির্দেশে রবীন্দ্র সরোবর ও সুভাষ সরোবরে ছটপুজোর (Chhath Puja) অনুষ্ঠান বন্ধ। জলদূষণ রুখতেই এই নির্দেশ। বুধবার রাত ৮টার পর থেকেই সর্বসাধারণের জন্য বন্ধ দুই সরোবর। রবীন্দ্র সরোবরের পরিবর্তে গল্ফগ্রিন, কসবা, যাদবপুর এলাকার বেশ কিছু অস্থায়ী জলাশয়ে আয়োজন করা হয়েছে ছটপুজোর। ৮ নভেম্বর, শুক্রবার দুপুর ১২টা থেকে ফের সাধারণ মানুষের জন্য খুলে দেওয়া হবে সরোবরের দরজা।
বুধবার দুপুর থেকে রবীন্দ্র সরোবর ও সুভাষ সরোবরের নিরাপত্তায় প্রায় ১৫০ পুলিশকর্মী মোতায়েন করছে লালবাজার। সংশ্লিষ্ট ডিভিশনের একজন করে অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার পদমর্যাদার অফিসারের নেতৃত্বে ছ’টি গেটে থাকছে বিশেষ পাহারা। ছটপুজো উপলক্ষ্যে শহরজুড়ে মোট পাঁচ হাজার বাড়তি ফোর্স মোতায়েন করা হচ্ছে। একই সঙ্গে নিষিদ্ধ শব্দবাজির দাপট রুখতেও তৎপর পুলিশ। নিরাপত্তায় থাকছে রিভার ট্রাফিক পুলিশ, বিপর্যয় মোকাবিলা দল, ওয়াচ টাওয়ার ও সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে নজরদারি চালানো হবে বলেও জানা গেছে।
আরও পড়ুন: যৌন নির্যাতনের যন্ত্রণায় জেরবার বাংলা! প্রশ্নের মুখে নারী নিরাপত্তা
আরও পড়ুন: স্বামী-স্ত্রীর বিবাদ মেটানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে গণধর্ষণ! ভিডিয়ো করে হুমকি দেওয়ারও অভিযোগ
আদালতের নির্দেশের পরে ছটপুজোর সময়ে গোটা সরোবর চত্বর সকলের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়। লালবাজার সূত্রের খবর, রবীন্দ্র সরোবর, সুভাষ সরোবর সহ শহরের মোট ৯টি জলাশয়ে ছটপুজো (Chhath Puja) করায় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। কিন্তু, বিগত কয়েক বছরে দেখা গিয়েছে, রবীন্দ্র সরোবর বন্ধ থাকা সত্ত্বেও রবীন্দ্র সরোবরের পিছন দিকের গেট টপকে লেক গার্ডেনস স্টেশনের পাশ দিয়ে ঢুকে যেত অনেকেই। তাই এবার প্রতিটি জলাশয় চত্বরের চারপাশ পুলিশ দিয়ে ঘিরে দেওয়া হচ্ছে বুধবার থেকেই।
আরও পড়ুন: বাড়িতে ঢুকে গৃহবধূকে ধর্ষণ! অধরা অভিযুক্ত সিভিক ভলেন্টিয়ার
কিন্তু, বিভিন্ন ছোট পুকুর, ঘাট, অস্থায়ী ঘাট মিলিয়ে ১০০টি জায়গায় ছটপুজোর (Chhath Puja) অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সেই সমস্ত এলাকার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে স্থানীয় থানা। ছটপুজো উপলক্ষ্যে শহরজুড়ে মোট পাঁচ হাজার বাড়তি ফোর্স মোতায়েন করা হচ্ছে। একই সঙ্গে নিষিদ্ধ শব্দবাজির দাপট রুখতেও তৎপর পুলিশ। নিরাপত্তায় থাকছে রিভার ট্রাফিক পুলিশ, বিপর্যয় মোকাবিলা দল, ওয়াচ টাওয়ার। একইসঙ্গে সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে নজরদারি চালানো হবে বলেও জানা গেছে।