ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ইতিহাসের পাতায় এমন কিছু বীর যোদ্ধার নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা (Chhatrapati Sambhaji Maharaj) রয়েছে, যারা তাদের অদম্য সাহস ও দেশপ্রেমের জন্য অত্যাচারী শক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন। তাদের মধ্যে ছত্রপতি সম্ভাজী ছিলেন অন্যতম। তিনি ছিলেন ছত্রপতি শিবাজীর সুযোগ্য পুত্র, যিনি মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের বিরুদ্ধে প্রবল প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন।
কে ছিলেন এই বীর? (Chhatrapati Sambhaji Maharaj)
সম্ভাজী ছিলেন একজন অসাধারণ যোদ্ধা এবং দক্ষ (Chhatrapati Sambhaji Maharaj) প্রশাসক। তিনি তার পিতার মতো গেরিলা যুদ্ধ পদ্ধতিতে পারদর্শী ছিলেন এবং মুঘলদের বিরুদ্ধে একের পর এক যুদ্ধে জয়লাভ করেছিলেন। তার বীরত্বে মুগ্ধ হয়ে ঔরঙ্গজেব তাকে বন্দী করার পরিকল্পনা করেন।
বন্দী সম্ভাজী (Chhatrapati Sambhaji Maharaj)
১৬৮৯ সালে ঔরঙ্গজেবের সৈন্যরা সম্ভাজীকে (Chhatrapati Sambhaji Maharaj) বন্দী করে। তাকে ৪০ দিন ধরে অকথ্য অত্যাচার করা হয়, যাতে তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। কিন্তু সম্ভাজী তার বিশ্বাসে অটল ছিলেন। অবশেষে, ঔরঙ্গজেব রাগে তার জিহ্বা কেটে ফেলার নির্দেশ দেন। কিন্তু এতেও সম্ভাজীর মনোবল ভাঙেনি।
অটল বিশ্বাস
ব্রিটিশ ইতিহাসবিদ ড্যানিশ কিনকেড তার বই “শিবাজি: দ্য গ্র্যান্ড রেবেল”-এ উল্লেখ করেছেন, সম্ভাজীর জিহ্বা কেটে ফেলার পরও ঔরঙ্গজেব যখন তাকে ইসলাম গ্রহণের প্রস্তাব দেন, তখন তিনি লিখে জানান, “যদি মুঘল সম্রাট নিজ কন্যাকেও আমাকে দেন, তবুও আমি ইসলাম গ্রহণ করব না।”
চলতে থাকে অকথ্য অত্যাচার
সম্ভাজীর এই দৃঢ়তায় ঔরঙ্গজেব আরও ক্ষিপ্ত হন এবং তাকে আরও নৃশংসভাবে অত্যাচার করেন। তার চোখ উপড়ে ফেলা হয়, শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কেটে ফেলা হয়। অবশেষে, ১৬৮৯ সালের ১১ মার্চ, তার শিরচ্ছেদ করা হয়।

মৃত্যুর পরেও অমর
সম্ভাজীর মৃত্যুর পর ঔরঙ্গজেব বলেছিলেন, “যদি আমার চার পুত্রের মধ্যে একজনও সম্ভাজীর মতো হতো, তাহলে সমগ্র ভারতবর্ষে মুঘলদের পতাকা উড়ত।” এই উক্তি থেকেই বোঝা যায়, সম্ভাজী ঔরঙ্গজেবের মনে কতটা ভয় জাগিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: Sukanya Samriddhi Yojana: মেয়ের জীবনকে রাখুন সুরক্ষিত, নিন সঠিক পদক্ষেপ!
ছত্রপতি সম্ভাজীর বীরত্ব ও আত্মত্যাগ আজও আমাদের অনুপ্রাণিত করে। তিনি ছিলেন একজন সত্যিকারের দেশপ্রেমিক, যিনি দেশের জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করতেও দ্বিধা করেননি। তার এই আত্মত্যাগ ইতিহাসে অমর হয়ে থাকবে।