ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: রামনবমীতে অশান্তি বাঁধানোর (Ram Navami) চেষ্টা করবেন না। গেরুয়া বাহিনীকে সতর্ক করলেন মুখ্যমন্ত্রী। সব ধর্মের কাছে শান্তি বজায় রাখার অনুরোধ জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। রাজ্যে অশান্তি বাধানোর রাম-বাম চক্রান্তকে নিশানা করেন মমতা। বলেন, ভোট থেকে শুরু করে সব ব্যাপারেই বাম-রাম এক। যত এসব করবে, তত শূন্য থেকে মহাশূন্যে মিলিয়ে যাবে।
মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, রামনবমীতে পরিকল্পিতভাবে হিংসা ছড়ানোর চেষ্টা (Ram Navami) করছে বিজেপি। এটা ওদের গেমপ্ল্যান। বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, মানুষের মধ্যে বিভাজনের জন্য ওঁরা নতুন ধর্মের আমদানি করেছে। এই ধর্ম রামকৃষ্ণের নয়, স্বামী বিবেকানন্দের নয়। দয়া করে করে অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করবেন না। তিনি বলেন, “আমি চাই ইদের মতো রামনবমী, অন্নপূর্ণা পুজোও শান্তিপূর্ণভাবে মিটুক।”
আরও পড়ুন: Medical Price Hike: ওষুধের দাম বৃদ্ধিতে ক্ষোভ প্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর, প্রতিবাদে পথে নামার ডাক
রামনবমীতে অশান্তি বাঁধানোর চেষ্টার অভিযোগ (Ram Navami)
আগামী ৬ এপ্রিল রামনবমী। ওই সময়ে রাজ্যে অশান্তি ছড়াতে পারে, সেই মর্মে আগেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সতর্ক করেছিলেন রাজ্যবাসীকে। বিশেষত সীমান্তবর্তী এলাকার জনতা ও প্রশাসনকে সতর্ক থাকতে বলেছিলেন তিনি। এরই মধ্যে মালদহের মোথাবাড়ি, হাওড়ার শ্যামপুর থেকে বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে অশান্তি (Ram Navami) ছড়ানোর খবর মিলেছে। আর সেই কারণে ফের সতর্ক বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। জানিয়ে দিলেন, ”কেউ কোনও প্ররোচনায় পা দেবেন না। ভয়ও পাবেন না। তবে খুব সতর্ক থাকুন।
রাম নবমীর অস্ত্র মিছিল নিয়ে রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান জানান, “মিছিলের নাম করে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে অনেকে হিংসার পথ বেছে নেয়। এখনও সেই পরিকল্পনা জুমলা পার্টির। আমি জুমলা পার্টিকে বলব, সত্যিই যদি ধর্মকে ভালবাসেন, বাসন্তী পুজো করুন, নবরাত্রি করুন, অন্নপূর্ণা পুজো করুন (Ram Navami)। অন্নপূর্ণা পুজোয় আমিও পুজো দিই। যাঁরা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মিছিলের নামে দাঙ্গা করেন, ইতিহাসটা জেনে রাখুন। পাঞ্জাবিরাও কৃপাণ নেন। আপনিও ব্যবস্থা অনুযায়ী, পুলিশের নির্দেশ মেনে নিশ্চয়ই পারবেন। কিন্তু অন্য এলাকায় গিয়ে হামলা করা আপনার কাজ নয়।”
আরও পড়ুন: WB Government: সরকারি প্রকল্পের নজরদারিতে খুললো নয়া পোর্টাল!
একতার বার্তা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “যে ধর্মের যে, সবাই ভাল থাকুন। আমাদের মধ্যে যেন বিভেদ না হয়। ঐক্য এবং সম্প্রীতিই বাংলার সম্পদ। বাংলা শান্তির মাটি। বাংলা কখনও বিভাজন মানে না (Ram Navami)। রবীন্দ্রনাথ, গান্ধীজি সবাইকে ভুলে যাব? বেলুড়মঠেও দরগা আছে। তাঁরা তো ভেঙে সরাননি? তাঁরা যদি এক জায়গায় থাকতে পারেন, আমরা কেন পারি না? রামকৃষ্ণ-সারদামা-বিবেকানন্দের ছবি রাখি বেদীতে। কারণ মানবিক দেব-দেবতা হিসেবে তাঁদের পুজো করি আমরা।”