ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: শিশুর জন্মানোর প্রায় ছয় মাস পর্যন্ত মায়ের দুধ খায়(Child Health Care)। তাতেই সে যাবতীয় পুষ্টি লাভ করে। ছয় মাস পর থেকে শিশুর জন্য নির্দিষ্ট খাদ্যতালিকা রাখা প্রয়োজন। ছোট থেকে যে রকম খাবার এবং জীবনধারার অভ্যাস করাবেন, সে ওই ভাবেই বেড়ে উঠবে। তাই শিশুর সঠিক পুষ্টি এবং সুস্বাস্থ্যের জন্য বাবা-মায়েদের ছোট থেকেই একটি স্বাস্থ্যকর রুটিন মেনে চলা আবশ্যিক। চলুন দেখে নিই কীভাবে কিরকম খাবার খাওয়ানো শিশুর স্বাস্থ্য রাখবে ভালো।
শিশুর মনের খেয়াল রাখুন (Child Health Care)
শিশুদের প্রতি সময়, মনোযোগ এবং স্নেহ প্রদান অপরিহার্য(Child Health Care)। ছোটরা বড়দের দেখেই শেখে। তাই বড়রা ভালো অভ্যাস তৈরি করলে তা ছোটদের উপরেও বর্তায়। শিশুদের যে ভাবে গড়বেন সে ভাবেই তারা গড়ে উঠবে। তাই পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার, পড়াশোনায় মনোযোগ এবং ভালো মানসিক পরিবেশ তাদের ভালো মানুষ করে তোলে
সঠিক পুষ্টি অপরিহার্য (Child Health Care)
এই সময় থেকেই শিশুর শরীর এবং মস্তিষ্ক দ্রুত পরিপক্ক হতে শুরু করে, সেই কারণে সঠিক পুষ্টি অপরিহার্য(Child Health Care)। শিশুর শারীরিক, মানসিক এবং বুদ্ধির বিকাশের জন্য প্রয়োজন সঠিক পুষ্টি। ক্যালশিয়াম, আয়রন এবং জিঙ্ক হাড়কে শক্তিশালী করতে, মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বজায় রাখতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। সুষম খাদ্য প্রোটিন, স্বাস্থ্যকর চর্বি এবং কার্বোহাইড্রেট সরবরাহ করে, যা পেশী এবং টিস্যু বিকাশ, মস্তিষ্কের বিকাশে সাহায্য করে।

আরও পড়ুন:Breast Cancer Cure: এক ডোজেই স্তন ক্যান্সার নিরাময়ের সম্ভাবনা! দিশা দেখাচ্ছে আরবানা বিশ্ববিদ্যালয়
নির্দিষ্ট সময়ে খাবার
নির্দিষ্ট সময়ে খাবার খাওয়ার অভ্যাস ছোটদের বৃদ্ধি এবং বিকাশে সাহায্য করে(Child Health Care)। তাই ছোট থেকেই খাবার, খেলাধুলো, ঘুমোনো ইত্যাদির সময়সূচী বেঁধে দেওয়া প্রয়োজন। প্রতিদিন একই সময়ে এই কাজগুলো করলে এটি হজম নিয়ন্ত্রণে, বিপাক ক্রিয়া উন্নত করতে এবং স্থিতিশীল শক্তির স্তরের জন্য সার্কাডিয়ান রিদমের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে সাহায্য করে।
জাঙ্ক ফুড থেকে দূরে
ছোটরা জাঙ্ক ফুডের প্রতি আকৃষ্ট হয় ভীষণ আকৃষ্ট হয়। তাই শৈশব থেকেই পুষ্টিকর খাদ্যের অভ্যাস শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং অসুস্থতার ঝুঁকি হ্রাস করতে সাহায্য করে। স্বাস্থ্যকর, সুষম খাদ্য শিশুদের বৃদ্ধি ও বিকাশে সহায়তা করে। পরবর্তী সময়ে স্থূলতা এবং দীর্ঘস্থায়ী রোগের প্রকোপ হ্রাস করে।

আরও পড়ুন:High Blood Pressure: হাইপারটেনশনে ভুগছেন? রইল সহজ সমাধান
কীধরণের খাবার দেবেন শিশুকে
ছোট থেকেই শিশুকে ফল, শাকসবজি, শস্য এবং দুগ্ধজাত খাবার খাওয়ানো উচিত। পাশাপাশি খাওয়াতে হবে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল বা দুধের মতো তরল খাবারও। অতিরিক্ত চিনিযুক্ত পানীয় খাওয়ানো একদমই ঠিক নয়। তাই এগুলি এড়িয়ে চলা উচিত। সবুজ শাকসবজি, ওমেগা-৩ সমৃদ্ধ খাবার, শুকনো ফল, গোটা শস্য, বাদাম, বীজ, রুটি, ভাত এবং দানা শস্যের মতো স্টার্চযুক্ত খাবার, অন্যান্য ভিটামিন এবং খনিজ সমৃদ্ধ খাবার শিশুর হাড় দৃঢ় এবং সুস্থ রাখে। এতে রোগের আশঙ্কাও কমবে শিশুর মধ্যে।