উৎসবের মরশুমের আগে ফের করোনা-উদ্বেগ। প্রতিবেশী চিনে করোনার রমরমা বেড়েছে

রাজ্যগুলিকে নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি উড়ানে বিদেশ থেকে আগত যাত্রীদের করোনা পরীক্ষা শুরু হয়েছে। আসতে পারে নির্দেশিকাও। করোনা সংক্রমণের গতিপ্রকৃতি দেখে ইতিমধ্যেই বাংলার স্বাস্থ্য আধিকারিকদেরও সতর্ক করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

চিনের করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারগুলিকে সতর্ক থাকার জন্য আবেদন জানিয়েছে কেন্দ্র। সামনেই ২৫ ডিসেম্বর, তাছাড়া আর ক'দিন পর শুরু হবে গঙ্গাসাগর মেলা। উৎসবের দিনগুলিতে জনসমাগমের কারণে বাড়তে ফের ছড়াতে পারে কোভিড। এমন শঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।

মানুষ কি উৎসব পালন করবে না?
 যেহেতু করোনা এখানে হচ্ছে না মানুষ খোলামেলা ভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছে
 যদি আসে আমরা নিশ্চয়ই বলব মাস্ক পরুন প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিন
 এখনো বাংলায় আসেননি আগে থেকে তাই আগে থেকে আমি কিছু ধরে নিতে চাই না
 তবু আমরা নজর রাখছি
 সে রকম কিছু হলে আমরা প্রয়োজন মতো ব্যবস্থা নেব
 প্রায় সব রাজ্যই আপাতত পরিস্থিতির দিকে নজর রাখার নীতি নিয়েছে
 তবে সতর্ক যে থাকতে হবে, সেটা নিয়ে একমত সবাই 

বুধবার গঙ্গাসাগর মেলা নিয়ে বৈঠক চলাকালীন তিনি চিনের কোভিড পরিস্থিতির বিষয়টি জানেন। তার পর মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দেন একটি বিশেষজ্ঞ দল তৈরি করে পরিস্থিতির উপর নজর রাখতে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই রাজ্যের কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে পর্যালোচনা করে একটি বৈঠক হয়েছে। 

উল্লেখ্য, কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে বৃহস্পতিবারই সংসদে একটি বিবৃতি পেশ করেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য। তিনি বলেন, দেশের কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে এখনই আতঙ্কের কিছু নেই। তবে সকলকে মাস্ক ব্যবহার করতে ও বুস্টার ডোজ নিতে অনুরোধ করেন তিনি। অন্যদিকে কোভিড প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে এদিনই বিশেষ বৈঠক করছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। এর মধ্যেই ভারত জোড়ো যাত্রা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। কংগ্রেস যদিও বলেছে তারা যাত্রা বন্ধ করবে না। কার্যত সেই একই পথে হেঁটে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিলেন যে উৎসবের আলো মলিন হয়ে যাবে না। উৎসব করবে বাংলা, তবে সতর্ক ভাবে।