Last Updated on [modified_date_only] by Debu Das
ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাইবার নিরাপত্তায় বড় ফাঁকফোকর ধরা পড়ল(China Cyber Attack)। এক বছরেরও বেশি সময় ধরে তদন্তের পর মার্কিন গোয়েন্দারা নিশ্চিত হয়েছেন, ‘সল্ট টাইফুন’ নামের চিনা হ্যাকার গোষ্ঠী আমেরিকার উপর ভয়াবহ সাইবার হানা চালিয়েছে। তাদের নিশানায় ছিল শুধু টেলিযোগাযোগ সংস্থাই নয়, সরকারি দফতর, সামরিক অবকাঠামো, পরিবহণ ও আবাসন ক্ষেত্রও।
মার্কিন নাগরিকদের তথ্য ঝুঁকিতে (China Cyber Attack)
তদন্তকারীদের দাবি, সল্ট টাইফুন এতটাই নিঃশব্দে কাজ করেছে যে, আমেরিকার প্রায় প্রতিটি নাগরিকের তথ্যই তাদের হাতে চলে যেতে পারে(China Cyber Attack)। এ নিয়ে হোয়াইট হাউসে গভীর উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই গোষ্ঠীকে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে উচ্চাকাঙ্ক্ষী চিনা হ্যাকার সংগঠন বলা হচ্ছে।
নেতাদের উপর সরাসরি আক্রমণ (China Cyber Attack)
সল্ট টাইফুনের নিশানা থেকে বাদ যায়নি রাজনৈতিক নেতৃত্বও(China Cyber Attack)। তদন্তে উঠে এসেছে,
- সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald J. Trump) ফোনে আড়ি পাতা হয়েছিল নির্বাচনী প্রচারের সময়।
- ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্সের কথোপকথনও শোনা হয়েছে।
- শুধু রিপাবলিকান নয়, ডেমোক্র্যাটিক পার্টির নেতারাও নজরদারিতে ছিলেন।
এমনকি এনক্রিপ্টেড না থাকা লিখিত কথোপকথনেও তারা প্রবেশ করেছে।

আরও পড়ুন : Pakistan On Pahalgam : এসসিও সম্মেলনে পহেলগাঁও প্রসঙ্গ, প্রতিক্রিয়া দিল পাক বিদেশমন্ত্রক
আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া (China Cyber Attack)
আমেরিকা, ব্রিটেন, কানাডা, ফিনল্যান্ড, জার্মানি, ইটালি, জাপান এবং স্পেনের পক্ষ থেকে যৌথ বিবৃতি দিয়ে এই সাইবার হানার নিন্দা করা হয়েছে।
ব্রিটেন ও আমেরিকার আধিকারিকেরা একে ‘অসংযত’ এবং ‘নির্বিচার’ আক্রমণ বলে আখ্যা দিয়েছেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, বিশ্বজুড়ে প্রভাব বিস্তারের যে আকাঙ্ক্ষা চিনের রয়েছে, এই সাইবার হানাই তার প্রমাণ।
২০১৯ থেকে সক্রিয় সল্ট টাইফুন
তদন্তে জানা গিয়েছে, অন্তত ২০১৯ সাল থেকে সক্রিয় সল্ট টাইফুন(China Cyber Attack)। তারা আমেরিকার ছ’টি বড় টেলিযোগাযোগ সংস্থার নেটওয়ার্কে ঢুকে পড়ে। কে কার সঙ্গে কী কথা বলছেন, তা সরাসরি শুনেছে। শুধু তাই নয়, গত কয়েক বছরে একাধিকবার তারা মার্কিন সংস্থার ডেটা চুরি করেছে।
আরও পড়ুন : Canada Fund Khalistani :খালিস্তানি চরমপন্থীদের আর্থিক সহয়তা, ভারতের অভিযোগকে স্বীকৃতি কানাডার?
আগের অভিযোগও রয়েছে (China Cyber Attack)
এই প্রথম নয়। ২০২১ সালে বাইডেন প্রশাসন অভিযোগ তুলেছিল, মাইক্রোসফটের ইমেল সার্ভার ব্যবহার করে বিশ্বব্যাপী নজরদারি চালাচ্ছে চিন। রুশ হ্যাকারদের বিরুদ্ধেও একই সময়ে একাধিক অভিযোগ ওঠে। তবে সাম্প্রতিক এই আক্রমণকে আমেরিকার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা সবচেয়ে বড় হুমকি হিসাবে দেখছেন।
হোয়াইট হাউসের উদ্বেগ
বিশ্লেষকদের মতে, চুরি হওয়া বিপুল তথ্য চিনের গোয়েন্দাদের হাতে গেলে তারা বৈশ্বিক যোগাযোগ নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে গুপ্তচর, রাজনীতিবিদ ও কূটনৈতিকদের উপর ব্যাপক নজরদারি চালাতে সক্ষম হবে। ফলে, শুধু আমেরিকা নয়, আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক সম্পর্ক এবং বিশ্ব নিরাপত্তা নিয়েও আশঙ্কা বাড়ছে।