ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ওয়েবসাইট থেকে তাইওয়ান প্রসঙ্গের পরিবর্তন (China to US)। আমেরিকার বিদেশ দফতর তাদের ওয়েবসাইট থেকে “আমরা তাইওয়ানের স্বাধীনতাকে সমর্থন করি না”—এই বিবৃতি মুছে ফেলেছে। এই পদক্ষেপ চীনকে ক্ষুব্ধ করেছে বলে জানা গিয়েছে। বেজিং বলেছে, এই পরিবর্তন তাইওয়ানের স্বাধীনতাপন্থীদের ভুল বার্তা দিচ্ছে এবং আমেরিকাকে এই “ভুল সংশোধন” করার আহ্বান জানিয়েছে।
প্রসঙ্গত, আগের তথ্যপত্রে আমেরিকা-তাইওয়ান সম্পর্ক সম্পর্কে বলা হয়েছিল, “আমরা তাইওয়ানের স্বাধীনতাকে সমর্থন করি না।” কিন্তু গত সপ্তাহে, নিয়মিত আপডেটের অংশ হিসেবে এই বিবৃতি সরিয়ে ফেলা হয়েছে বলে আমেরিকা জানিয়েছে।
আমেরিকার অবস্থান (China to US)
একজন মার্কিন মুখপাত্র জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র এখনও “ওয়ান চায়না” নীতিতে অটল রয়েছে (China to US)। এই নীতির অধীনে, আমেরিকা তাইওয়ানের পরিবর্তে চীনকে স্বীকৃতি দেয় এবং আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক বজায় রাখে।
তাইওয়ানকে নিয়ে চীনের দৃষ্টিভঙ্গি (China to US)
চীন মনে করে তাইওয়ান তাদের একটি বিচ্ছিন্ন প্রদেশ এবং একদিন সেটি চীনের অংশ হবে (China to US)। এজন্য তারা বল প্রয়োগের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেয়নি। কিন্তু তাইওয়ানের বেশিরভাগ মানুষ নিজেদের স্বাধীন দেশ হিসেবে মনে করেন। তবে তারা বর্তমান পরিস্থিতি বজায় রাখতে চায়, যেখানে তাইওয়ান না চীনের সঙ্গে যুক্ত হয়, না স্বাধীনতা ঘোষণা করে।
তথ্যপত্রে আরও পরিবর্তন
শুধু তাইওয়ানের স্বাধীনতা প্রশ্নে নয়, নতুন আপডেটে আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলোতে তাইওয়ানের সদস্যপদকে সমর্থন করার কথাও বলা হয়েছে। এই নিয়ে তাইওয়ানের আমেরিকান ইনস্টিটিউট (AIT), যা মূলত দ্বীপটিতে আমেরিকার অনানুষ্ঠানিক দূতাবাস হিসেবে কাজ করে, একটি বিবৃতি দিয়েছে। AIT জানিয়েছে, “এই আপডেটের উদ্দেশ্য সাধারণ মানুষকে আমাদের অনানুষ্ঠানিক সম্পর্ক বিষয়ে জানানো।” মার্কিন কর্মকর্তারা আরও বলেছেন, “আমরা বরাবরই বলে আসছি যে, আমরা কোনও পক্ষ থেকে তাইওয়ানের বর্তমান অবস্থার একতরফা পরিবর্তনের বিরোধিতা করি।”
আরও পড়ুন: Costa Rica: আমেরিকা থেকে বিতারিত অবৈধ অভিবাসীদের গ্রহণ করবে কোস্টারিকা!
তাইওয়ানের প্রতিক্রিয়া
তাইওয়ানের বিদেশমন্ত্রী লিন চিয়া-লুং এই পরিবর্তনকে “তাইওয়ান-বান্ধব ও ইতিবাচক” বলে অভিহিত করেছেন। তিনি আমেরিকাকে সমর্থন দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
চীনের তীব্র প্রতিক্রিয়া
তবে সোমবার বেজিংয়ের বিদেশ মন্ত্রক আমেরিকার এই পরিবর্তনকে কড়া ভাষায় নিন্দা জানিয়েছে। চীনের মুখপাত্র গুও জিয়াকুন বলেন, “এটি তাইওয়ানের স্বাধীনতাপন্থীদের জন্য একটি বিপজ্জনক বার্তা। এটি আমেরিকার চীন-বিরোধী নীতির আরেকটি প্রমাণ।” তিনি আরও বলেন, “আমরা আমেরিকাকে তাদের ভুল সংশোধন করার আহ্বান জানাই এবং ‘ওয়ান চায়না’ নীতির প্রতি সম্মান দেখানোর অনুরোধ করি।”
আরও পড়ুন: Saudi Arabia: সৌদি আরবে আমেরিকা-রাশিয়ার বৈঠক! ইউক্রেন যুদ্ধের সমাধানে বড় পদক্ষেপ?
আরও উত্তপ্ত হবে সম্পর্ক?
যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপ চীনের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক আরও উত্তপ্ত করতে পারে। বেজিং ইতিমধ্যেই তাইওয়ানের স্বাধীনতাপন্থীদের বিরুদ্ধে কঠোর মনোভাব দেখিয়েছে। এখন দেখার বিষয়, আমেরিকা ও চীনের মধ্যে তাইওয়ান নিয়ে উত্তেজনা আরও বাড়ে কিনা।