ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: চিনের একটি যুদ্ধ জাহাজই (China Vs American Warship) আটকে দিতে পারে আমেরিকার আটটি রণতরি। কিছুদিন আগেই প্রশান্ত মহাসাগরে নৌ-মহড়া চালিয়েছে চিন। সেই নৌ-মহড়ার পর এবার এমনই দাবি করলো লাল ফৌজ। এমনকি মানববিহীন প্রযুক্তি ব্যবহার করে গোটা বিশ্বকে চমকে দিয়েছে ড্রাগেন।যা কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের।
তাইওয়ান দখল (China Vs American Warship)
দীর্ঘদিন ধরেই তাইওয়ান দখলের ছক (China Vs American Warship) আঁটছে লাল ফৌজ। এই বছরের শুরুতেই চিনা প্রেসিডেন্ট জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিতে গিয়ে তাইওয়ান দখলের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। এমনকি তিনি তাইওয়ানকে চিনের অবিচ্ছেদ্য অংশ বলেও দাবি করেছিলেন। কিন্তু, চিনের এই তাইওয়ান দখলের একটাই বাঁধা হল আমেরিকা এবং তাইওয়ানের ড্রোন বাহিনী। চিনের সাথে যুদ্ধে এই ড্রোন বাহিনীকে সামনের সারিতে রেখে হামলার মোকাবিলা করতে পারবে তাইওয়ান। তাইওয়ানের এই হামলা চিনা সেনাকে সম্পূর্ণ ভাবে পিছিয়ে দিতে না পারলেও তাদের বেশ বড় ধরনের ক্ষতি সাধন করতে পারবে।এতে কিছুটা সময় পাবে আমেরিকা।আর তার মধ্যেই মার্কিন সহায়তা এসে পৌঁছাবে প্রশান্ত মহাসাগরের এই দ্বীপ রাষ্ট্রটিতে।
তাইওয়ানে মার্কিন সেনা ঘাঁটি (China Vs American Warship)
তাইওয়ানের সাথে চিনের (China Vs American Warship) সংঘর্ষ বাঁধলে তাইওয়ানে সেনা ঘাঁটি তৈরি করতে পারে মার্কিন যুক্ত রাষ্ট্র। এর পর সেখান থেকেই ড্রাগন ভূমির উপর প্রত্যাঘাত শানাবে যুক্তরাষ্ট্রের ফৌজ।আর সেটা মাথায় রেখেই আগ্রাসনের নতুন নকশা তৈরি করছেন চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।
আরও পড়ুন: Bangladesh Circumstance: শান্তি ফেরানোর উদ্যোগ বাংলাদেশে, রাষ্ট্রপুঞ্জের পাঁচদফা সুপারিশ!
চিনা নৌ-মহড়া
এবছরের শুরুতেই পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরে বিশাল নৌ-মহড়া চালিয়েছে লাল ফৌজ।সেই নৌ-মহড়ায় অত্যাধুনিক ০৫৫ ডেস্ট্রয়ার শ্রেণির রণতরি নামিয়েছিল চিন।এই জাহাজে মানব বিহীন প্রযুক্তির ব্যবহারও হয়েছে। ওই মহড়ায় মার্কিন আর্লে বার্ক ডেস্ট্রয়ার শ্রেণির যুদ্ধজাহাজগুলিকে কী ভাবে প্রতিহত এবং ডোবানো যাবে, তার অভ্যাস চালিয়েছেন পিএলএর জল যোদ্ধারা।বেজিঙের ০৫৫ ডেস্ট্রয়ার শ্রেণির রণতরীটির সঙ্গে ছিল মানববিহীন দু’টি মাদারশিপ। এ ছাড়াও মহড়ায় ৩২টি ড্রোন এবং ১৪টি মানববিহীন নৌকা ব্যবহার হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। মহড়ায় মার্কিন যুদ্ধজাহাজ থেকে ঠিক যে ভাবে টমাহক এবং এলআরএএসএম স্টিলথ জাহাজ প্রতিরোধী ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়, ঠিক সেইভাবে আক্রমণ শানানো হয়েছিল।

কপালে ভাঁজ যুক্ত রাষ্ট্রের
তাইওয়ানে মার্কিন ঘাঁটি গড়ে উঠলে তা চিনের জন্য অনেক বড় হুমকি হবে। তাঁরই প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য চিন পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরে নৌ-মহড়া চালিয়েছে।সেই নৌ-মহড়াতে চিন যে শক্তি প্রদর্শন করেছে তা দেখে বহু সামরিক বিশেষজ্ঞরা বলেছেন এবার চিনের এই নৌ-বাহিনীর একটি জাহাজ আমেরিকার আটটি জাহাজকে মোকাবিলা করতে পারবে।