ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের উপর জঙ্গি হামলার তদন্তে নেমে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)-র হাতে (Chinese Apps used Pahalgam Terrorist)। গোয়েন্দা সূত্রের দাবি, হামলার পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে ব্যবহার করা হয়েছিল চিনা প্রযুক্তি — নিষিদ্ধ মোবাইল অ্যাপ এবং স্যাটেলাইট ফোন। এই ঘটনা সন্ত্রাসে প্রযুক্তি ব্যবহারের এক নতুন মাত্রা তুলে ধরেছে।
এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশন অ্যাপ (Chinese Apps used Pahalgam Terrorist)
২২ এপ্রিলের জঙ্গি হামলায় ২৫ জন পর্যটক এবং এক স্থানীয় বাসিন্দা নিহত হন(Chinese Apps used Pahalgam Terrorist)। হামলার পর থেকেই কাশ্মীরের অনন্তনাগ-সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় চিরুনি তল্লাশি চালাচ্ছে সেনা ও পুলিশ। তবে হামলাকারীরা এখনও অধরা। গোয়েন্দারা মনে করছেন, এই হামলার পরিকল্পনা হয়েছিল অত্যাধুনিক এনক্রিপ্টেড চিনা অ্যাপের মাধ্যমে, যেগুলি ভারতে ২০২০ সালে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল গালওয়ান সংঘর্ষের পর। এই অ্যাপগুলিতে ‘এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশন’, ‘কোয়ান্টাম রেজিস্ট্যান্স অ্যালগরিদম’ এবং ‘স্টেগানোগ্রাফি’ প্রযুক্তি ব্যবহার হয়, যার ফলে যোগাযোগ প্রায় অদৃশ্য হয়ে যায়। এত শক্তিশালী এনক্রিপশন ব্যবস্থায় আড়ি পাতাও প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়।
স্যাটেলাইট ফোনের উপস্থিতি (Chinese Apps used Pahalgam Terrorist)
এছাড়া, গোয়েন্দারা পহেলগাঁও এলাকায় হামলার সময় একটি চিনা স্যাটেলাইট ফোনের উপস্থিতি সনাক্ত করেছেন(Chinese Apps used Pahalgam Terrorist)। সাধারণ মোবাইল ফোনের মতো দেখতে হলেও, স্যাটেলাইট ফোন মোবাইল টাওয়ারের পরিবর্তে কৃত্রিম উপগ্রহের মাধ্যমে সংযোগ রক্ষা করে। দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চলে যেখানে সাধারণ মোবাইল নেটওয়ার্ক থাকে না, সেখানে স্যাটেলাইট ফোন অনায়াসে কাজ করে। গোয়েন্দাদের অনুমান, হামলার সময় জঙ্গিরা এই ফোন ব্যবহার করে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ রাখছিল। যদিও এখনও পর্যন্ত সেই ফোন উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

আরও পড়ুন: US On Pahalgam : এক সুরে চিন-আমেরিকা! পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পর কাছাকাছি দুই “সুপার পাওয়ার”?
প্রযুক্তির অত্যাধুনিক অপব্যবহার (Chinese Apps used Pahalgam Terrorist)
এই ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহারের নজির নতুন নয়(Chinese Apps used Pahalgam Terrorist)। অতীতে আইসিস টেলিগ্রাম অ্যাপ ব্যবহার করত এবং আল কায়েদা স্টেগানোগ্রাফি প্রযুক্তির সাহায্যে পর্নোগ্রাফি সাইটের আড়ালে বার্তা আদান-প্রদান করত। সেই সূত্র ধরেই পহেলগাঁও হামলায় প্রযুক্তির অত্যাধুনিক অপব্যবহারের সন্দেহ করছেন তদন্তকারীরা।ভারত ইতিমধ্যেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একাধিক কূটনৈতিক পদক্ষেপ নিয়েছে। স্থগিত করা হয়েছে সিন্ধু জলচুক্তি। অন্যদিকে পাকিস্তানও (Shehbaz Sharif) নিজেদের নির্দোষ দাবি করে আন্তর্জাতিক তদন্তের দাবি জানিয়েছে। চীনও পাকিস্তানের দাবিকে সমর্থন করেছে, যদিও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধেও তারা অবস্থান নিয়েছে। আমেরিকাও এই ঘটনার নিন্দা করে ভারতের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছে।


নিরাপত্তায় নতুন চ্যালেঞ্জ (Chinese Apps used Pahalgam Terrorist)
বর্তমানে এনআইএ এই হামলার প্রযুক্তিগত দিকগুলি খতিয়ে দেখছে(Chinese Apps used Pahalgam Terrorist)। গোয়েন্দাদের মতে, চিনা অ্যাপ এবং স্যাটেলাইট ফোনের ব্যবহারের বিষয়টি ভারতের (Narendra Modi) অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ। একই সঙ্গে, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে প্রযুক্তিগত নিরাপত্তা জোরদার করারও প্রয়োজনীয়তা সামনে এসেছে।তদন্ত চলছে। তবে পহেলগাঁও হামলা স্পষ্ট করে দিল — আধুনিক প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে সন্ত্রাসবাদীরা এখন আরও ভয়ঙ্কর ও সংগঠিত হয়ে উঠছে। নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে আরও আধুনিক না করলে ভবিষ্যতে এই ধরনের হামলা আরও কঠিন হয়ে উঠতে পারে।