ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: শুক্রবার নিউইয়র্ক আদালত (New York Court) থেকে কড়া নির্দেশ জারি করা হল গৌতম আদানির (Goutam Adani) বিরুদ্ধে। ঘুষ কান্ডে অভিযুক্ত শিল্পপতি গৌতম আদানির (Goutam Adani) বিরুদ্ধে একই সঙ্গে চলবে দেওয়ানি ও ফৌজদারি মামলা। এমনই নির্দেশ দেওয়া হয় আদালত থেকে। গ্রিণ এনার্জির (এলজিএল) বিরুদ্ধে বাজারের সবচেয়ে বেশি দামে সৌরবিদ্যুৎ বিক্রির বরাত পেতে ভারতের কয়েকটি রাজ্যের সরকারি আধিকারিকদের ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ ওঠে।
গৌতম আদানির বিরুদ্ধে অভিযোগ (Goutam Adani)
গৌতম আদানির (Goutam Adani) বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, বাজারের সবচেয়ে বেশি দামে সৌরবিদ্যুৎ বিক্রির বরাত পেতে অন্ধ্রপ্রদেশসহ ভারতের কয়েকটি রাজ্যের সরকারি আধিকারিকদের (যার মধ্যে রয়েছেন মন্ত্রী ও জনপ্রতিনিধিগণ) ঘুষ দিয়েছিল ‘আদানি গ্রিণ এনার্জি লিমিটেড’। যার মালিক গৌতম আদানি (Goutam Adani)।
কত ছিল ঘুষের অঙ্ক? (Goutam Adani)
জানা গেছে এই ঘুষের অঙ্ক প্রায় ২৬.৫ কোটি ডলার যা ভারতীয় টাকা হিসেবে ২০২৯ কোটি টাকা। তিনটি অভিযোগের ভিত্তিতে আমেরিকার ন্যায়বিচার দপ্তর এবং বাজার নিয়ন্ত্রক এসইসি অর্থাৎ সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন ফৌজদারি ও দেওয়ানি আইনে অভিযোগ পত্র পেশ করেন।
আরও পড়ুন:New Orleans Attacker House: কী পাওয়া গেল নিউ অরলিন্সে হামলাকারী সামসুদ্দিনের বাড়িতে?
ফৌজদারি অভিযোগগুলির মধ্যে যা আছে
ফৌজদারি অভিযোগগুলির মধ্যে যেগুলি আছে তা হল ঘুষ বিরোধী আইন ‘ফরেন কোরাপ্ট প্র্যাকটিস অ্যাক্ট’ (এফসিপিএ) আকেরিকায় যেটি চালু হয় ১৯৭৭ সালে যা লঙ্ঘন করা হয়। এবং তার পাশাপাশি সিকিয়োরিটিজ অর্থাৎ শেয়ার ও ঋণ সঙ্ক্রান্ত অভিযোগ উঠে আসে। এবং ওয়ার টেলিফোন ও বৈদ্যুতিন যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের মাধ্যমে প্রতারণার ষড়যন্ত্র করা হয় বলে জানা যায়।
কার কার বিরুদ্ধে তোলা হয় অভিযোগ?
এসইসি সংস্থা এবং ন্যায়বিচার দপ্তর গত ২১ নভেম্বর নিউ ইয়র্কের ইস্টার্ন ডিসট্রিক্ট কোর্টে আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে প্রমাণসহ অভিযোগপত্র পেশ করেছিল। গৌতম সহ সংস্থার অন্যতম ডিরেক্টর বিনীত জৈন এবং তাঁদের সহযোগী এবং গৌতম ভাইপো সাগরের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তোলা হয়। বলা হয় আকেরিকা ব্যাঙ্ক এবং আমেরিকার লগ্মিকারীদের থেকে প্রকল্পের জন্য এল জি কোটি কোটি টাকা তলে।ঘুষের কথা রাখা হয় সম্পূর্ণ গোপনে।
আরও পড়ুন:Chinmay Krishna: খারিজ চিন্ময়ের জামিনের আর্জি, হাইকোর্টে যাওয়ার প্রস্তুতি ইসকনের
কী বলছে তদন্তকারী সংস্থা?
এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে আদানির বিরুদ্ধে তিনটি দেওয়ানি ও ফৌজদারি মামলার শুনানির নির্দেশ দেয় আদালত। এ সঙ্ক্রান্ত তিনটি মামলার বিচারের দায়িত্ব পেয়েছেন ডিস্ট্রিক্ট জজ নিকোলাস জি গারাফিস। তদন্তকারী সংস্থার মতে, আদানিদের পরিকল্পনা ছিল এখান থেকে ২০ বছর ধরে ২০০ কোটি ডলার যা ভারতীয় মুল্য অনুযায়ী ১৬ হাজার ৯০০ কোটি টাকা মুনাফা করবেন। যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে আদানি গোষ্ঠী। গৌতম ও সাগরের বিরুদ্ধে কেবল তথ্য গোপন করে প্রতারণা করার অপরাধে জরিমানা করা হয় বলে জানা যায়।