ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: আমাদের প্রতিদিনের জীবনে ঘরের পরিপাটি ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশ বজায় রাখা খুবই জরুরি। তবে অনেক সময় নিয়মিত পরিষ্কার(Cleaning Tips) করার পরেও মেঝেতে একটি চটচটে বা আঠালো অনুভূতি থেকে যায়। বিশেষ করে রান্নাঘরে হঠাৎ হাত ফসকে তেলের বোতল পড়ে গেল, এমন সময় মেঝের চারিদিকে তেল ছড়িয়ে যায়। তখন কাপড় দিয়ে তা মুছলেও মেঝে থেকে তেলের পিচ্ছিল ভাব যায় না। অসাবধানতাবশত সেই জায়গা দিয়ে পেরোতে গেলে পা পিছলে যে কেউ পড়ে যেতে পারেন। তাতে ঘটতে পারে মহাবিপদ। এই সমস্যা দূর করতে বাজারের বিভিন্ন কেমিক্যাল ক্লিনার ব্যবহার করা হয়, যেগুলো সবসময় স্বাস্থ্যবান্ধব নয়। জেনে নিন মেঝেতে তেল পড়ার পর তার তৈলাক্ত ভাব পুরো পরিষ্কারের টিপস।
ভিনেগার ও গরম জল(Cleaning Tips)
ভিনেগার ঘরোয়া পরিষ্কারে(Cleaning Tips)বহুল ব্যবহৃত একটি উপাদান। এতে রয়েছে প্রাকৃতিক জীবাণুনাশক উপাদান, যা মেঝের ময়লা ও ব্যাকটেরিয়া দূর করতে সহায়তা করে। গরম জলে ভিনেগার মিশিয়ে নিন। এরপর একটি মপ বা কাপড় ব্যবহার করে মেঝে মুছুন। পুরো ঘর মুছে নেওয়ার পর প্রয়োজনে পরিষ্কার জল দিয়ে আবার মুছুন। এতে মেঝে হবে ঝকঝকে এবং চটচটে ভাব দূর হবে।

বেকিং সোডা(Cleaning Tips)
বেকিং সোডা শুধু রান্নাতেই নয়, পরিষ্কারের(Cleaning Tips)কাজেও খুবই কার্যকর। এটি দারুণভাবে তেল-ময়লা ও গন্ধ শোষণ করতে পারে। বেকিং সোডা গরম জলে গুলে নিন। তারপর একটি স্পঞ্জ বা কাপড় দিয়ে মেঝেতে মিশ্রণটি লাগিয়ে ঘষে নিন। পরে পরিষ্কার জল দিয়ে মুছে ফেলুন। নিয়মিত এই পদ্ধতি অনুসরণ করলে মেঝের আঠালো ভাব অনেকটাই কমে যাবে।

আরও পড়ুন: Son-in-law Property Rights: শ্বশুরমশাইয়ের সম্পত্তিতে জামাইয়ের কি অধিকার আছে?
ডিশওয়াশ লিকুইড
রান্নাঘরের চিটচিটে তেল-ময়লা দূর করতে ডিশ লিকুইড অসাধারণ কাজ করে। মেঝেতে যদি তেলের আস্তরণ জমে থাকে, তবে এটি খুব ভালো কাজ দেবে। ডিশ লিকুইড গরম জলে মিশিয়ে মেঝে মুছুন। এরপর পরিষ্কার জল দিয়ে পুনরায় মুছে ফেলুন। এতে সাবানের অবশিষ্টাংশও চলে যাবে এবং মেঝে থাকবে স্বচ্ছ ও মসৃণ।
আরও পড়ুন: Daily Horoscope: মেষ থেকে কন্যা, কেমন কাটবে আপনার দিন?
চটচটে মেঝে শুধু দৃষ্টিকটুই নয়, বরং ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধির ক্ষেত্রও হতে পারে। তাই ঘরকে সুস্থ ও পরিচ্ছন্ন রাখতে নিয়মিত প্রাকৃতিক উপায়ে মেঝে পরিষ্কার করা উচিত। ভিনেগার, বেকিং সোডা ও ডিশ লিকুইড — এগুলো যেমন সহজলভ্য, তেমনি সাশ্রয়ী ও নিরাপদ। আপনি চাইলে এই উপায়গুলো সাপ্তাহিক রুটিনে নিয়ে আসতে পারেন, তাতেই আপনার ঘর থাকবে জীবাণুমুক্ত ও ঝকঝকে।