ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: গণপ্রজাতন্ত্রী কঙ্গোর (Congo Turmoil) গোমা শহরে বিদ্রোহী গোষ্ঠীর আক্রমণের পর পরিণতি ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। গত সপ্তাহে মধ্য আফ্রিকার দেশটির গোমা শহরে বিদ্রোহী গোষ্ঠী এম২৩ প্রবেশ করে এবং সেখানে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়।
ধর্ষিত কয়েকশো কয়েদি (Congo Turmoil)
বিদ্রোহীদের আক্রমণের সময় গোমার মুনজিন (Congo Turmoil) জেল থেকে কয়েক হাজার কয়েদি পালিয়ে যান। তবে এর মধ্যে সবচেয়ে চরম ঘটনার শিকার হন মহিলা কয়েদিরা। সংবাদমাধ্যম ‘দ্য গার্ডিয়ান’-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই জেলের মহিলা ওয়ার্ডে রাখা কয়েকশো কয়েদি ধর্ষিত হন এবং পরে তাদের সঙ্গে একই সুরে আগুনে পুড়িয়ে মারা হয়।
ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত সম্ভব হয়নি
রাষ্ট্রপুঞ্জের শান্তিরক্ষা বাহিনীর উপপ্রধান ভিভিয়ান ভ্যান ডি পেরে (Congo Turmoil) জানিয়েছেন, প্রায় ৪,০০০ কয়েদি ওই জেল থেকে পালিয়ে গেছে এবং মহিলা কয়েদিদের ওয়ার্ডে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার আগে প্রত্যেককে ধর্ষণ করা হয়েছে। এই বর্বরতা কঙ্গো সরকারের জন্য এক বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পারছেন না, কারণ বিদ্রোহী গোষ্ঠী ওই অঞ্চলে প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে। ফলে, এখনও পর্যন্ত ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করা সম্ভব হয়নি।
আরও পড়ুন: Bangladesh Sports Situation: বাংলাদেশে মহিলা ফুটবলে নিষেধাজ্ঞা, সরব শেখ হাসিনা
প্রতিবেশী দেশের মদতেই এই কাজ
এদিকে, কঙ্গো সরকার ও তাদের মিত্র দেশগুলি অভিযোগ করেছেন যে, কঙ্গোর বিদ্রোহী গোষ্ঠী এম২৩কে মদত দিচ্ছে প্রতিবেশী দেশ রোয়ান্ডা। এই অভিযোগের মধ্যেই আমেরিকা, ফ্রান্সসহ পশ্চিমা শক্তির একাংশের দাবি, কঙ্গো সরকারের পতন ঘটানো উচিত। তবে, রোয়ান্ডা সরকার বরাবরই এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
দু’হাজার মানুষের মৃত্যু
কঙ্গোর গৃহযুদ্ধ পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে, বিশেষ করে গোমা শহরের পতনের পর বিদ্রোহী গোষ্ঠী পূর্ব কঙ্গোর বিস্তীর্ণ অঞ্চল দখল করেছে। ২৭ জানুয়ারি গোমায় বিদ্রোহী গোষ্ঠীর উপস্থিতির কয়েক ঘণ্টার মধ্যে জেলে আগুন ধরানো হয় এবং কালো ধোঁয়া উড়তে দেখা যায়। এরপর থেকে প্রায় ২০০০ মানুষের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে, যাদের মধ্যে কঙ্গো সেনা, এম২৩ বিদ্রোহী এবং সাধারণ নাগরিকরা রয়েছেন।
মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় উদ্বেগ
বিশ্ব সম্প্রদায়ের মধ্যে কঙ্গোর এই মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা বাহিনী এখনো ওই অঞ্চলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে, তবে বিদ্রোহী গোষ্ঠীর আধিপত্যের কারণে তাতে ব্যাঘাত ঘটছে। কঙ্গোর সরকার এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য এটি এক বড় ধরনের সংকট হয়ে দাঁড়িয়েছে।