ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: আসন্ন ৯ জুলাই দেশজুড়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যাহত হতে পারে, কারণ ভারতজুড়ে বিদ্যুৎ শিল্পের ২৭ লক্ষ কর্মচারী ৯ জুলাই, বুধবার ধর্মঘটের পরিকল্পনা করছেন (Convention in Support of Strike)। জাতীয় বিদ্যুৎ কর্মচারী ও ইঞ্জিনিয়ারদের সমন্বয় কমিটি (NCCOEEE) এবং অল ইন্ডিয়া পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ার্স ফেডারেশন (AIPEF) এর নেতৃত্বে এই ধর্মঘট আয়োজন ডাকা হয়েছে। উত্তরপ্রদেশের দুটি বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানি, পূর্বাঞ্চল বিদ্যুৎ বিতরণ নিগম লিমিটেড (PVVNL) এবং দক্ষিণাঞ্চল বিদ্যুৎ বিতরণ নিগম লিমিটেড (DVVNL) এর প্রস্তাবিত বেসরকারীকরণের বিরুদ্ধে এই প্রতিবাদ বলে জানা গিয়েছে। এই দুই সংস্থা উত্তরপ্রদেশের ৭৫টি জেলার মধ্যে ৪২টিতে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে।
কেন হবে ধর্মঘট? (Convention in Support of Strike)
কর্মচারীরা দাবি করেছেন যে উত্তরপ্রদেশ সরকার কিছু বেসরকারি কোম্পানিকে সুবিধা দেওয়ার জন্য সম্পদের অবমূল্যায়ন করছে (Convention in Support of Strike)। কিছু ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে যে তারা এই বেসরকারি কোম্পানিগুলির সঙ্গে যোগসাজশ করছেন যাতে সরকারি সম্পদ ‘অল্প মূল্যে’ হস্তান্তর করা যায়। তাদের দাবি যে এই বেসরকারিকরণ কেবল একটি অর্থনৈতিক সিদ্ধান্ত নয়, কারণ এটি কৃষক এবং নিম্ন আয়ের পরিবারগুলিকে দেওয়া ভর্তুকিকে প্রভাবিত করবে। দেশব্যাপী ধর্মঘটের গতি বাড়াতে মুম্বই, চেন্নাই, কলকাতা, বেঙ্গালুরু এবং আরও অনেক বড় শহরে বিক্ষোভ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উত্তর প্রদেশের বিদ্যুৎ কর্মীদের আন্দোলন (Convention in Support of Strike)
জুনের শুরুতে, উত্তরপ্রদেশ সরকার উত্তরপ্রদেশ অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা রক্ষণাবেক্ষণ আইন, ১৯৬৬ (ইউ.পি. ইএসএমএ) এর বিধান প্রয়োগ করে, যার মাধ্যমে বিদ্যুৎ বিভাগে ছয় মাসের জন্য ধর্মঘট নিষিদ্ধ করা হয় (Convention in Support of Strike)। উত্তর প্রদেশের কর্মীরা স্থগিতাদেশ এবং আইনি হুমকি সত্ত্বেও ২০০ দিনেরও বেশি সময় ধরে বেসরকারিকরণ প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ করে আসছেন।
কি বলছেন পশ্চিমবঙ্গ চ্যাপ্টারের নেতারা?
NCCOEEE-এর পশ্চিমবঙ্গ চ্যাপ্টারের আহ্বায়ক সুধীন কুমার ধর বলেন, “কেন্দ্রের এজেন্ডা স্পষ্ট – যদি তারা উত্তরপ্রদেশের ৪২টি জেলার বিদ্যুৎ বিতরণ বেসরকারি হাতে হস্তান্তর করতে পারে, তাহলে এটি সরকারি বিদ্যুৎ পরিকাঠামো ভেঙে ফেলার জন্য দেশব্যাপী পদক্ষেপের সূচনা করবে”। তিনি চণ্ডীগড়ের বিদ্যুৎ সংস্থাকে একটি বেসরকারি সংস্থার কাছে বিতর্কিত বিক্রির কথাও উল্লেখ করেন এবং এটিকে “বিপজ্জনক নজির” বলে অভিহিত করেন। মৈনাক ঘোষ, অরিন্দম রায় এবং মানস সিনহা সহ বিভিন্ন ইউনিয়নের বক্তারা পশ্চিমবঙ্গেও একই ধরণের হুমকির আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। তারা জনস্বার্থ এবং সাশ্রয়ী মূল্যের বিদ্যুৎ সুরক্ষার জন্য প্রতিরোধের আহ্বান জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: Santanu Sen: মেডিক্যাল কাউন্সিলের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ, হাইকোর্টে আবেদন শান্তনু সেনের
ধর্মঘটের সমর্থনে সভা পশ্চিমবঙ্গে
আগামী ৫ জুলাই, ২০২৫ শনিবার, বিধাননগরের বিদ্যুৎ ভবনের অডিটোরিয়ামে এনসিসিওইইই-র পূর্বাঞ্চলীয় শাখার উদ্যোগে হবে কনভেনশন। ট্রেড ইউনিয়ন ও ফেডারেশনগুলির ডাকা সাধারণ ধর্মঘটের সমর্থনের পাশাপাশি এবং উত্তর প্রদেশ সহ ভারতবর্ষের বিভিন্ন রাজ্যের রাষ্ট্রায়ত্ত বিদ্যুৎ বন্টন কোম্পানিগুলিকে বেসরকারিকরণ করার যে অভিযোগ তাঁকে সামনে রেখে এই কনভেনশন হবে বলে জানা গিয়েছে। এই কনভেনশনে এনসিসিওইইই র জাতীয় আহ্বায়ক ও ভারতের বিদ্যুৎকর্মী ফেডারেশনের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সুদীপ দত্ত, সারাভারত ইঞ্জিনিয়ার্স ফেডারেশনের সর্বভারতীয় চেয়ারম্যান শ্রী শৈলেন্দ্র দ্যুবে সহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গিয়েছে।