ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ভারতে করোনাভাইরাস আক্রান্তের (Covid 19) সংখ্যা ফের বেড়ে ৬ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ৪৮ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে ৭৬৯ জন করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে। বর্তমানে দেশে কোভিডের সক্রিয় রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬১৩৩ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিডের কারণে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য একটি উদ্বেগজনক সংকেত।
কেরলেই বর্তমানে সর্বোচ্চ কোভিড অ্যাকটিভ কেস (Covid 19)
বিভিন্ন রাজ্যের মধ্যে কেরলেই বর্তমানে সর্বোচ্চ কোভিড অ্যাকটিভ কেস (Covid 19) রয়েছে। এখানে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ১৯৫০ জন, যেখানে গতকাল দুজনের মৃত্যু হয়েছে। কেরলের পরই গুজরাত অবস্থান করছে, যেখানে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা ৮২২ জন। পশ্চিমবঙ্গেও করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা বেড়েছে, বর্তমানে এখানে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৯৩ জনে। দিল্লি, মহারাষ্ট্র এবং কর্ণাটকেও কোভিড সংক্রমণ এখনও নজরদারির বাইরে নয়। দিল্লিতে বর্তমানে ৬৮৬ জন, মহারাষ্ট্রে ৫৯৫ জন এবং কর্ণাটকে ৩৬৬ জন কোভিড অ্যাকটিভ রোগী রয়েছে।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে (Covid 19)
করোনা পরিস্থিতির এই পুনরাবৃত্তি সরকার এবং স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষকে সতর্ক (Covid 19) অবস্থানে রাখছে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, যদিও করোনার ভ্যাকসিন অনেকাংশে সংক্রমণ কমাতে সহায়ক হয়েছে, তবে নতুন ভ্যারিয়েন্ট এবং কম মাস্ক ব্যবহারের কারণে সংক্রমণ আবারও বেড়ে যাচ্ছে। তাই জনগণকে এখনো সতর্ক থাকতে হবে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। মাস্ক পরা, নিয়মিত হাত ধোয়া এবং ভিড় এড়ানোর মতো বেসিক প্রটোকলগুলো মেনে চলাই বর্তমানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
ভবিষ্যতে বড় ধরনের সঙ্কট এড়ানো যায়
কেরল এবং গুজরাতে আক্রান্তের এই ঊর্ধ্বগতির পেছনে স্থানীয় কিছু উৎসব, জমায়েত এবং স্বাস্থ্যবিধি অমান্যের কারণও থাকতে পারে। চিকিৎসকরা আরও বলছেন, যারা অসুস্থ বা বয়স্ক, তাদের কোভিডের জটিলতা হতে পারে বেশি, তাই তাদের প্রতি বিশেষ যত্ন নিতে হবে। সরকারি পক্ষ থেকে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা কমানোর জন্য দ্রুত টেস্টিং, ট্রেসিং এবং চিকিৎসার ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। কোভিড হাসপাতালে পর্যাপ্ত সেবাসুবিধা নিশ্চিত করা হচ্ছে এবং ওষুধ সরবরাহ ব্যবস্থা আরও উন্নত করা হয়েছে। সাধারণ মানুষকেও স্বেচ্ছায় টিকা নিতে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে যাতে ভবিষ্যতে বড় ধরনের সঙ্কট এড়ানো যায়।
আরও পড়ুন: Child Brain Tumor: শিশুদের মস্তিষ্কে টিউমারের বাড়বাড়ন্ত, সতর্ক হন আজই!
মহামারির বিরুদ্ধে শক্তিশালী প্রতিরোধ
মোটের উপর, দেশে করোনা পরিস্থিতি এখনো সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আসেনি। তাই সবাইকে অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে এবং যেকোনো সন্দেহজনক উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। সচেতনতা এবং সময়মতো চিকিৎসা গ্রহণই পারে করোনা মহামারির বিরুদ্ধে শক্তিশালী প্রতিরোধ গড়ে তুলতে।