Last Updated on [modified_date_only] by Shroddha Bhattacharyya
ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা আবারও (Covid 19) হাজারের ওপরে উঠে এসেছে। চলতি সপ্তাহে নতুন করে সাড়ে সাতশোর বেশি কোভিড আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে। গত কয়েক দিনে সাতজনের মৃত্যু হয়েছে করোনায়। আক্রান্তের দিক থেকে সবচেয়ে উদ্বেগজনক অবস্থায় রয়েছে কেরল, যেখানে এখন সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ৪৩০। মহারাষ্ট্রে এই সংখ্যা ২০৯ এবং দিল্লিতে ১০৪ জন সক্রিয় রোগী রয়েছেন। ভাইরাসের বিস্তার ক্রমশ বেড়েই চলছে। তবে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, গতকাল ২৪ জন করোনা রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
সাব-ভ্যারিয়েন্টগুলো দ্রুত ছড়াচ্ছে (Covid 19)
এ পরিস্থিতিতে অনেকের মনে প্রশ্ন জাগছে, ভ্যাকসিন কি আর (Covid 19) কার্যকর নয়? বুস্টার ডোজ নেওয়ার প্রয়োজন আছে কিনা? বর্তমানে দেশে যেসব নতুন করোনা সংক্রমণের খবর আসছে, তার বেশিরভাগই ওমিক্রনের সাব-ভ্যারিয়েন্টের কারণে। বিশেষ করে JN.1 এবং LF.7 সাব-ভ্যারিয়েন্টগুলো দ্রুত ছড়াচ্ছে। চিকিৎসকেরা বলছেন, এই নতুন ভ্যারিয়েন্টগুলো তেমন বিপজ্জনক নয় এবং এর জন্য অতিরিক্ত আতঙ্কিত হওয়ার প্রয়োজন নেই। তবে গুজব এড়িয়ে সতর্ক থাকা জরুরি। নিজেদের এবং সমাজের নিরাপত্তার জন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাটা এখনো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ভারতে আতঙ্ক সৃষ্টি (Covid 19)
করোনা ভ্যাকসিন এবং বুস্টার ডোজের কার্যকারিতা নিয়ে অনেকেই বিভ্রান্ত। ২০২০ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত করোনা বিশ্বজুড়ে মহামারির রূপ নিয়েছিল। অনেকেই স্বজন হারিয়েছেন, কেউ আর্থিক দুরবস্থায় পড়েছেন। ঘরবন্দি জীবনযাপন, আতঙ্ক আর অসুবিধায় ভুগতে হয়েছে সকলকে। তিন বছর পর আবার করোনা ভাইরাসের নতুন সাব-ভ্যারিয়েন্ট NB.1.8.1 বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যেমন মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, হংকংয়ে দ্রুত ছড়াচ্ছে এবং ভারতে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে।
ভ্যাকসিন ও বুস্টার ডোজ নিয়ে আলোচনা তীব্র
এই অবস্থায় ভ্যাকসিন ও বুস্টার ডোজ নিয়ে আলোচনা তীব্র হয়েছে। তবে চিকিৎসকদের মতে, বর্তমান পরিস্থিতিতে সবাইকে বুস্টার ডোজ নেওয়া আবশ্যক নয়। কারণ করোনা ভ্যাকসিন এমন নয় যা আজীবন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দিয়ে রাখে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। তাই বুস্টার ডোজ নেওয়ার উদ্দেশ্য হল শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত রাখা।
বুস্টার ডোজ নেওয়ার পরামর্শ
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারতের দেওয়া টিকা এবং বুস্টার ডোজ এই নতুন সাব-ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে কার্যকর হবে। যদিও টিকা নেওয়া ব্যক্তিরাও সংক্রমিত হতে পারেন, তবে তা তুলনামূলক কম গুরুতর হয়। পূর্ববর্তী টিকা থেকে পাওয়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সময়ের সঙ্গে হ্রাস পাচ্ছে, তাই বয়স্ক ও ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিদের বুস্টার ডোজ নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
সংক্ষেপে, করোনার নতুন রূপের আগমনে আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই, তবে সতর্কতা অবলম্বন করা ও প্রয়োজন অনুসারে বুস্টার ডোজ নেওয়া প্রয়োজন। নিজস্ব নিরাপত্তার পাশাপাশি সমাজের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সচেতন থাকা সময়ের দাবি।