ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের তথ্য অনুসারে (Covid-19 update), ৫ জুন, ২০২৫-এ গত একদিনে কোভিড-১৯-এর কারণে সাতজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে, দেশে সক্রিয় সংক্রমণের সংখ্যা ৪,৮৬৬ জন।
২৪ ঘণ্টায় ৫৬৪ জন আক্রান্ত, সুস্থ হয়েছেন ৬৭৪ জন (Covid-19 update)
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী (Covid-19 update), ৫ জুন ২০২৫ পর্যন্ত দেশে করোনায় মোট অ্যাক্টিভ কেস দাঁড়িয়েছে ৪,৮৬৬। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৫৬৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এই সময়ের মধ্যে ৬৭৪ জন করোনামুক্ত হয়েছেন।
গত একদিনে আরও সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। এই নিয়ে চলতি বছরে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৫১।
দিল্লি, কর্ণাটক ও মহারাষ্ট্রে মৃত্যু (Covid-19 update)
দিল্লিতে মৃত্যু হয়েছে দু’জনের (Covid-19 update)। মৃতদের মধ্যে একজন ৫ মাসের শিশু, যিনি GDD, সিজার ডিজঅর্ডার, নিউমোনিয়া ও রেসপিরেটরি ফেইলিওর-এ ভুগছিলেন। অপর একজন ৮৭ বছরের বৃদ্ধ, যাঁর ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হার্ট ও কিডনির অসুখ ছিল। তিনি সিভিয়ার ARDS ও সেপটিক শকের জেরে প্রাণ হারান।
আরও পড়ুন: Effects of Plastic: প্লাস্টিকের ছোঁয়ায় গুলিয়ে যাচ্ছে শরীরের ঘড়ি, বাড়ছে ঘুম ও রোগের সঙ্কট!
কর্ণাটকে মারা গেছেন দু’জন। ৬৫ বছরের এক বৃদ্ধ, যিনি কোলন ক্যানসারের জন্য কেমোথেরাপি নিচ্ছিলেন এবং তাঁর হাইপারটেনশন ও আইএইচডি ছিল। অন্যদিকে, ৪২ বছরের এক ব্যক্তি ইলিয়াল অবস্ট্রাকশনের কারণে সেপটিক শকে ভোগার পর কোভিড পজিটিভ অবস্থায় মারা যান।
মহারাষ্ট্রে মৃত্যু হয়েছে তিনজনের। ৭৬ বছরের এক ব্যক্তি অ্যাকিউট কিডনি ইনজুরির জেরে মারা যান। অন্য এক ৭৬ বছরের ব্যক্তি অ্যাটিপিকাল ভাইরাল নিউমোনিয়া, অ্যাকিউট করোনারি সিনড্রোম ও কার্ডিওজেনিক শকে মারা যান। ৭৯ বছরের এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে মাল্টি অর্গান ফেলিওর সহ কোভিড সংক্রমণের কারণে।
সতর্কতা নিতে রাজ্যগুলিকে নির্দেশ, মক ড্রিল চলছে
দেশে ফের করোনা বাড়ায় সতর্কতা নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। ২ ও ৩ জুন দেশের করোনা পরিস্থিতি ও প্রস্তুতি নিয়ে একাধিক বৈঠক হয়। এই বৈঠকে নেতৃত্ব দেন স্বাস্থ্য পরিষেবা বিভাগের ডিজি ডা. সুনীতা শর্মা।
আরও পড়ুন: Pistachio Benefit: পেস্তা বাদাম, সুস্বাস্থ্যের এক ছোট কিন্তু শক্তিশালী সঙ্গী!
এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট সেল, ইমার্জেন্সি রেসপন্স ম্যানেজমেন্ট সেল (EMR), ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল (NCDC), আইসিএমআর (ICMR), আইডিএসপি (IDSP) এবং দিল্লির কেন্দ্রীয় সরকার পরিচালিত হাসপাতালগুলি সহ সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রতিনিধিরা।
রাজ্যগুলিকে নির্দেশ
রাজ্যগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে— অক্সিজেন, আইসোলেশন বেড, ভেন্টিলেটর ও জরুরি ওষুধ যাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকে।
২ জুন দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে অক্সিজেন সরবরাহ ব্যবস্থা (PSA প্ল্যান্ট, LMO ট্যাঙ্ক, MGPS লাইন) নিয়ে একটি মক ড্রিল চালানো হয়। হাসপাতাল পর্যায়ে প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে ৪ ও ৫ জুন ফের মক ড্রিলের পরিকল্পনা করা হয়েছে।